১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিট পরীক্ষায় সফল বাসন্তীর কৃষক পরিবারে সন্তান

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 33

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ‘নিট’ এ নজর কাড়া সাফল্য পেল বাসন্তীর দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। প্রতিকুলতা থাকলেও মনের দৃঢ়তার জোরে সেই বাধা অতিক্রম করেছেন সুন্দরবনের বাসন্তীর আমঝাড়া পঞ্চায়েতের ধুঁড়ি  গ্রামের মহিনুর খান।

বাবা মোনাব্বর খান পেশায় কৃষক। মা তানজিলা গৃহবধু। খান দম্পতির তিন সন্তান তারিফ আজিজ, তৌসিফ ও মহিনুর ।মহিনুর পরিবারের ছোট। ২০১৯ সালে পিতৃ বিয়োগ হয়। সমস্যায় পড়ে যায় খান পরিবার। তবে দুই দাদা আর মায়ের মিলিত চেষ্টায় পড়াশোনায় জন্য কোন আপোশ করেননি।

২০২০ সালে ৫৮২ অর্থাৎ  ৮৩.১৪ % নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করে। ২০২২ এ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭০ অর্থাৎ ৯৪% শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করে। এবছর নিট পরীক্ষায়  ৫৩০ নম্বর পেয়েছে। সর্বভারতীয়স্তরে স্থান ২৫৬২৪ তম।মহিনুরের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করা। কারণ সুন্দরবন দরিদ্র মানুষজন যাতে গ্রামেই চিকিৎসা পরিষেবা পায়। তিনি পৃথিবীতে নেই। তবে তাঁর সেই আশা এবং স্বপ্ন পূরণ করতে বদ্ধ পরিকর।

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্টান্স পরীক্ষায় সফল জয়নগরের বহড়ুর মেধাবী ছাত্রী তিস্তা

মহিনুরের কথায় ‘আমার বাবা ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন জুগিয়েছিলেন। তিনি নেই। তাঁর সেই দৃঢ় স্বপ্ন আমাকে বাস্তবায়িত করতেই হবে।মা এবং দুই দাদার অক্লান্ত অনুপ্রেরণা এবং চেষ্টায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিকিৎসক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। চিকিৎসক হয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে চাই।পাশাপাশি বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। ’

আরও পড়ুন: হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে জাকারিয়ার নজরকাড়া সাফল্য, নিট পরীক্ষায় কাঁপিয়ে দিল কালিয়াচক

অন্যদিকে ছেলের এমন সাফল্যে গর্বিত তানজিলা খান জানিয়েছেন, ‘ওর বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করা। তিনি প্রয়াত হয়েছেন। ছেলের সাফল্য দেখে যেতে পারেন নি।খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে মহিনুর তার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারায় খুশি। আগামী দিনে চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় যাতে নিয়জিত হয় সেই উপদেশ দিয়েছি ছেলেকে।’

আরও পড়ুন: BREAKING, প্রকাশিত হল  নিট ইউজি ২০২৫ সালের ফলাফল, প্রথম মহেশ কুমার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিট পরীক্ষায় সফল বাসন্তীর কৃষক পরিবারে সন্তান

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ‘নিট’ এ নজর কাড়া সাফল্য পেল বাসন্তীর দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। প্রতিকুলতা থাকলেও মনের দৃঢ়তার জোরে সেই বাধা অতিক্রম করেছেন সুন্দরবনের বাসন্তীর আমঝাড়া পঞ্চায়েতের ধুঁড়ি  গ্রামের মহিনুর খান।

বাবা মোনাব্বর খান পেশায় কৃষক। মা তানজিলা গৃহবধু। খান দম্পতির তিন সন্তান তারিফ আজিজ, তৌসিফ ও মহিনুর ।মহিনুর পরিবারের ছোট। ২০১৯ সালে পিতৃ বিয়োগ হয়। সমস্যায় পড়ে যায় খান পরিবার। তবে দুই দাদা আর মায়ের মিলিত চেষ্টায় পড়াশোনায় জন্য কোন আপোশ করেননি।

২০২০ সালে ৫৮২ অর্থাৎ  ৮৩.১৪ % নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করে। ২০২২ এ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭০ অর্থাৎ ৯৪% শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করে। এবছর নিট পরীক্ষায়  ৫৩০ নম্বর পেয়েছে। সর্বভারতীয়স্তরে স্থান ২৫৬২৪ তম।মহিনুরের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করা। কারণ সুন্দরবন দরিদ্র মানুষজন যাতে গ্রামেই চিকিৎসা পরিষেবা পায়। তিনি পৃথিবীতে নেই। তবে তাঁর সেই আশা এবং স্বপ্ন পূরণ করতে বদ্ধ পরিকর।

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্টান্স পরীক্ষায় সফল জয়নগরের বহড়ুর মেধাবী ছাত্রী তিস্তা

মহিনুরের কথায় ‘আমার বাবা ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন জুগিয়েছিলেন। তিনি নেই। তাঁর সেই দৃঢ় স্বপ্ন আমাকে বাস্তবায়িত করতেই হবে।মা এবং দুই দাদার অক্লান্ত অনুপ্রেরণা এবং চেষ্টায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিকিৎসক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। চিকিৎসক হয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে চাই।পাশাপাশি বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। ’

আরও পড়ুন: হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে জাকারিয়ার নজরকাড়া সাফল্য, নিট পরীক্ষায় কাঁপিয়ে দিল কালিয়াচক

অন্যদিকে ছেলের এমন সাফল্যে গর্বিত তানজিলা খান জানিয়েছেন, ‘ওর বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করা। তিনি প্রয়াত হয়েছেন। ছেলের সাফল্য দেখে যেতে পারেন নি।খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে মহিনুর তার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারায় খুশি। আগামী দিনে চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় যাতে নিয়জিত হয় সেই উপদেশ দিয়েছি ছেলেকে।’

আরও পড়ুন: BREAKING, প্রকাশিত হল  নিট ইউজি ২০২৫ সালের ফলাফল, প্রথম মহেশ কুমার