২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 22

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার কুলতলির থানার কৈখালি।সারা বছর এই কৈখালি দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ সুন্দরবনে বেড়াতে যায়।দীর্ঘ দিন ধরে একটি জেটি ঘাট দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছিল।তার ওপর গত আমফানের পর থেকে জেটি ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্থ ছিলো।তাই দীর্ঘ দিন ধরে দাবি উঠেছিলো নতুন জেটি ঘাটের।আর সাধারণ মানুষের সেই দাবি মেনে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের উদ্যোগে কৈখালিতে একসঙ্গে দুটি আধুনিক জেটিঘাট তৈরি হচছে।

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

নৈপুকুরিয়া নদীর উপরে মোট ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই দুটি জেটিঘাট তৈরি করা হবে।কাজ শুরু হবে সোমবার থেকে। কুলতলি বিধানসভার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল রবিবার এই নতুন জেটি ঘাটের শিলান্যাস করেন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবন -এর ডাবু এলাকাকে ঘিরে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে সরকার

সুন্দরবন ভ্রমণের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কুলতলির কৈখালি।কৈখালি থেকে ফেরি চলাচল করে দেউলবাড়ি ও কাটামারি বাজার পর্যন্ত।এমনকি লঞ্চে ঝড়খালি ও সুন্দরবনের একাধিক এলাকায় যাওয়া যায়।এতদিন জেটি ঘাটের অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। বৃষ্টিতে কাদার উপর দিয়েই চলতো ঝুঁকির যাতায়াত।

আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় বিজ্ঞান বিভাগের ১১ জন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় সমস্যায় কুলতলি ভগবান চন্দ্র হাইস্কুল

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

তাই স্থানীয়দের দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি ছিল, যাতে ওই এলাকায় কংক্রিটের জেটি ঘাট তৈরি করা হয়। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।জেটিঘাট নির্মাণের ফলে উপকৃত হবেন ছাত্রছাত্রী, মৎস্যজীবী এবং পর্যটক-সহ সাধারণ মানুষ।পাশাপাশি এই জেটিঘাটটি তৈরি হলে গ্রামেরও অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।স্থানীয় বাসিন্দারা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন দুটি জেটিঘাট তৈরি হলে নদী পারাপার করতে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক সবারই সুবিধা হবে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন,এই জেটিঘাটটি তৈরি হলে মৎস্যজীবীদের সুবিধা হবে। মাছ ধরে ফিরে এসে আর বিপদে তাদের পড়তে হবে না।রবিবার অনুষ্ঠান করে জেটিঘাটের শিলান্যাস করা হয়। এ দিন এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,এলাকার মানুষের দাবি মেনে দুটি নতুন কংক্রীটের জেটি ঘাটের কাজ শুরু হলো।

এছাড়া কৈখালিতে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যে পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কথা চলছে। খুব তাড়াতাড়িই কৈখালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস পরিষেবা ও চালু করা হবে।আর এই দুই নতুন জেটিঘাট সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নয়ন এনে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।বিধায়কের হাত ধরে কুলতলিতে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার কুলতলির থানার কৈখালি।সারা বছর এই কৈখালি দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ সুন্দরবনে বেড়াতে যায়।দীর্ঘ দিন ধরে একটি জেটি ঘাট দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছিল।তার ওপর গত আমফানের পর থেকে জেটি ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্থ ছিলো।তাই দীর্ঘ দিন ধরে দাবি উঠেছিলো নতুন জেটি ঘাটের।আর সাধারণ মানুষের সেই দাবি মেনে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের উদ্যোগে কৈখালিতে একসঙ্গে দুটি আধুনিক জেটিঘাট তৈরি হচছে।

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

নৈপুকুরিয়া নদীর উপরে মোট ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই দুটি জেটিঘাট তৈরি করা হবে।কাজ শুরু হবে সোমবার থেকে। কুলতলি বিধানসভার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল রবিবার এই নতুন জেটি ঘাটের শিলান্যাস করেন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবন -এর ডাবু এলাকাকে ঘিরে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে সরকার

সুন্দরবন ভ্রমণের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কুলতলির কৈখালি।কৈখালি থেকে ফেরি চলাচল করে দেউলবাড়ি ও কাটামারি বাজার পর্যন্ত।এমনকি লঞ্চে ঝড়খালি ও সুন্দরবনের একাধিক এলাকায় যাওয়া যায়।এতদিন জেটি ঘাটের অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। বৃষ্টিতে কাদার উপর দিয়েই চলতো ঝুঁকির যাতায়াত।

আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় বিজ্ঞান বিভাগের ১১ জন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় সমস্যায় কুলতলি ভগবান চন্দ্র হাইস্কুল

সুন্দরবনের কৈখালিতে দুটি নতুন জেটিঘাটের শিলান্যাস করলেন কুলতলির বিধায়ক

তাই স্থানীয়দের দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি ছিল, যাতে ওই এলাকায় কংক্রিটের জেটি ঘাট তৈরি করা হয়। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।জেটিঘাট নির্মাণের ফলে উপকৃত হবেন ছাত্রছাত্রী, মৎস্যজীবী এবং পর্যটক-সহ সাধারণ মানুষ।পাশাপাশি এই জেটিঘাটটি তৈরি হলে গ্রামেরও অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।স্থানীয় বাসিন্দারা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন দুটি জেটিঘাট তৈরি হলে নদী পারাপার করতে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক সবারই সুবিধা হবে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন,এই জেটিঘাটটি তৈরি হলে মৎস্যজীবীদের সুবিধা হবে। মাছ ধরে ফিরে এসে আর বিপদে তাদের পড়তে হবে না।রবিবার অনুষ্ঠান করে জেটিঘাটের শিলান্যাস করা হয়। এ দিন এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,এলাকার মানুষের দাবি মেনে দুটি নতুন কংক্রীটের জেটি ঘাটের কাজ শুরু হলো।

এছাড়া কৈখালিতে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যে পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কথা চলছে। খুব তাড়াতাড়িই কৈখালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস পরিষেবা ও চালু করা হবে।আর এই দুই নতুন জেটিঘাট সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নয়ন এনে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।বিধায়কের হাত ধরে কুলতলিতে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।