এনআরসি চালুর পাঁয়তারা করছে বিজেপি সরকার’ সাংবাদিক সম্মেলনে সরব কুণাল-চন্দ্রিমা
- আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 194
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিজেপি সরকার এনআরসি চালু করতে চাইছে। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে কলকাতার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে একই ইস্যুতে তোপ দাগেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দিল্লিতে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস একা নয়, ইন্ডিয়া একজোট। সংসদ অধিবেশনের আগেই দিল্লিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে। ২১ জুলাই সংসদ অধিবেশন শুরুর পর ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরোধিতায় লাগাতার প্রতিবাদ চলবে। সংসদের ভিতরে ও বাইরে ধরনা প্রদর্শন করবে। ২০২১ সালে বাংলায় বিজেপির সিএএ আনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও একই ফল পাবে বিজেপি।
কলকাতায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রের সরকার নিরপেক্ষ সংস্থাগুলিকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। তারা বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আমরা চাই নিরপেক্ষ সংস্থাগুলো নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক। সব রাজ্য একটি রাজনৈতিক দলকে দখল করতে হবে, তাই স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার। ১৯৮৭-র ১ জুলাই থেকে ২০০৪-এর ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের জন্ম তাদের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে একটা বিশেষ ঘোষণাপত্রে সই করতে হবে, বাবা-মায়ের জন্মের সার্টিফিকেট দিতে হবে। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ ৮৭ সাল বাহা হল কেন? যাঁরা ওই সময় জন্মেছেন তাঁদের বাবা-মায়ের কত বয়স হবে, তাঁরা তাদের জন্মের সার্টিফিকেট জোগাড় করবেন কী করে? এসব ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা। ঘুরপথে এনআরসির দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত। রাজ্যের এবং দেশের ভোটাররা সচেতন থাকুন। এই অধিকার তাঁদের সংবিধান দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সকলের পাশে আছে। প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।
অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন, বিহারের ভোট শুধু বাহানা, আসল টার্গেট হল বাংলা। বিজেপি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বুঝতে পেরেছে বাংলায় ২০২৬-এর ভোটে ৪৮-এর বেশি আসন পাচ্ছে না। তাই ঘুরপথে ভোটার লিস্টে কারচুপি করে কৌশল খাটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলা লড়াই থেকে পিছু হটবে না। নির্বাচন কমিশন দলদাসের মতো আচরণ করলে, তৃণমূল কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। আর নিশ্চিত, আড়াইশোর বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চতুর্থবার মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলায় শপথ।



































