০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব উষ্ণায়ন ফল! তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, ফ্রান্সে বন্ধ স্কুল, ইতালির ১৭ শহরে সতর্কতা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 44

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা ইউরোপ। গরমের তাপে পুড়ছে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের মতো দেশগুলি। স্পেনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রির ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর। তীব্র দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে ফ্রান্স সরকার দেশের ১৯০০ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহে ইটালির ১৭টি শহরে জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রভাব পড়ছে ঐতিহ্যবাহী উইম্বলডন টেনিস চাম্পিয়নশিপ এবং আমেরিকারয় চলা ক্লাব বিশ্বকাপেও।

ভারতে বর্ষাকাল হলেও ইউরোপ ও আমেরিকায় এখন গ্রীষ্মকাল। শীতপ্রধান দেশে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা থাকে আরামদায়ক। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে গত এক দশক ধরে ইউরোপেও গরম পড়ছে লাগামছাড়া। গত কয়েক ধরে  গরমে নেজাল অবস্থা ফ্রান্স-স্পেন-ইতালির পাশাপাশি আমেরিকা-কানাডার। কোথাও কোথাও গরমের আগের সব রেকর্ড ভাঙছে। কোথাও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আবার কোথাও ৪৬ ডিগ্রি, কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: আগামী পাঁচ বছরে গ্লোবাল তাপমাত্রা হবে সর্বোচ্চে: ডব্লিউএমও

 

আরও পড়ুন: ফের করোনার চোখরাঙানি! নয়া স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ব, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর কেন্দ্রের

গরমে ফলে তুরস্কের জঙ্গলে দেখা দিয়েছে দাবানল। উষ্ণায়নের ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রাই ঊর্ধমুখী।  তবে ইউরোপে গরম বাড়ছে দ্বিগুণ গতিতে। ফ্রান্স সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্পেন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পর্তুগাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪৬.৬ ডিগ্রি, ইতালি , গ্রিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রিস এবং তুরস্কেও গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।  ব্রিটেনের তাপমাত্রাও ৩৩ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। গরমের ফলে উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের খেলা দেখতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক ব্যক্তি। আমেরিকা এবং কানাডার অবস্থাও তথৈবচ। গরমে সেখানকার সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। রাষ্ট্রনায়করা যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও পৃথিবীর উষ্ণায়ন নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যুদ্ধের চেয়েও জরুরি যে পরিবেশ তা ভুলতে বসেছেন পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়করা। আর প্রকৃতিও তার রুদ্র রূপ ধারন করছে। পৃথিবীর উষ্ণতা এভাবে বাড়তে থাকলে দুই গোলার্ধের বরফ গলে প্রাণীজাতি যে সংকটের মুখে পড়তে চলেছে তারই পূর্বাভাস শুরু হয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্ব উষ্ণায়ন ফল! তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, ফ্রান্সে বন্ধ স্কুল, ইতালির ১৭ শহরে সতর্কতা

আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা ইউরোপ। গরমের তাপে পুড়ছে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের মতো দেশগুলি। স্পেনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রির ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর। তীব্র দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে ফ্রান্স সরকার দেশের ১৯০০ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহে ইটালির ১৭টি শহরে জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রভাব পড়ছে ঐতিহ্যবাহী উইম্বলডন টেনিস চাম্পিয়নশিপ এবং আমেরিকারয় চলা ক্লাব বিশ্বকাপেও।

ভারতে বর্ষাকাল হলেও ইউরোপ ও আমেরিকায় এখন গ্রীষ্মকাল। শীতপ্রধান দেশে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা থাকে আরামদায়ক। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে গত এক দশক ধরে ইউরোপেও গরম পড়ছে লাগামছাড়া। গত কয়েক ধরে  গরমে নেজাল অবস্থা ফ্রান্স-স্পেন-ইতালির পাশাপাশি আমেরিকা-কানাডার। কোথাও কোথাও গরমের আগের সব রেকর্ড ভাঙছে। কোথাও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আবার কোথাও ৪৬ ডিগ্রি, কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: আগামী পাঁচ বছরে গ্লোবাল তাপমাত্রা হবে সর্বোচ্চে: ডব্লিউএমও

 

আরও পড়ুন: ফের করোনার চোখরাঙানি! নয়া স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ব, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর কেন্দ্রের

গরমে ফলে তুরস্কের জঙ্গলে দেখা দিয়েছে দাবানল। উষ্ণায়নের ফলে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রাই ঊর্ধমুখী।  তবে ইউরোপে গরম বাড়ছে দ্বিগুণ গতিতে। ফ্রান্স সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্পেন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পর্তুগাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪৬.৬ ডিগ্রি, ইতালি , গ্রিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রিস এবং তুরস্কেও গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।  ব্রিটেনের তাপমাত্রাও ৩৩ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। গরমের ফলে উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের খেলা দেখতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক ব্যক্তি। আমেরিকা এবং কানাডার অবস্থাও তথৈবচ। গরমে সেখানকার সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। রাষ্ট্রনায়করা যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও পৃথিবীর উষ্ণায়ন নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যুদ্ধের চেয়েও জরুরি যে পরিবেশ তা ভুলতে বসেছেন পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়করা। আর প্রকৃতিও তার রুদ্র রূপ ধারন করছে। পৃথিবীর উষ্ণতা এভাবে বাড়তে থাকলে দুই গোলার্ধের বরফ গলে প্রাণীজাতি যে সংকটের মুখে পড়তে চলেছে তারই পূর্বাভাস শুরু হয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।