শমীক ভট্টাচার্য হচ্ছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি: ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে নেতৃত্বে পরিবর্তন

- আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 25
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্যর নাম কার্যত চূড়ান্ত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি থাকলেও, বিজেপির তরফে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী মাত্র একটি বৈধ মনোনয়ন জমা পড়েছে, যা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে স্পষ্ট যে, শমীকই হচ্ছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি। তিনি হবেন সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য বিজেপিতে নেতৃত্বে পরিবর্তন এল ২০২৬ বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপি এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, “রাজ্য সভাপতির পদে একটি মাত্র পদ্ধতিগত ভাবে সঠিক মনোনয়ন জমা হয়েছে। তা গৃহীত হয়েছে।” সেই মনোনয়নটি ছিল শমীক ভট্টাচার্যের। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন। এই প্রক্রিয়া বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিজেপি নেতা অম্বুজাক্ষ মোহান্তি রাজ্য সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ১০ জন প্রদেশ পরিষদ সদস্যের সই না থাকায়, তাঁর মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে খারিজ হয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মনোনয়ন একটাই জমা পড়েছে। তবে কেউ মনোনয়ন জমা দিতেই পারেন। তার জন্য নিয়ম অনুযায়ী ১০ জন সদস্যের সই প্রয়োজন। সমর্থন না পেলে সাবমিশনই বৈধ হয় না।”
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটিতে বিজেপির পক্ষ থেকে শমীক ভট্টাচার্যকে সংবর্ধনা জানানো হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। এই অনুষ্ঠানে নতুন সভাপতির রাজনৈতিক দিশা ও কর্মসূচির রূপরেখা প্রকাশিত হতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছিল। তখন দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই বছরই সেপ্টেম্বরে তাঁর জায়গায় সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেন। এরপর ২০২৬ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে আবার নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটল। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত মেয়াদ শেষে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিজেপির রাজ্য সংগঠন এবার ২০২৬ বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে। নেতৃত্ব বদলের এই পদক্ষেপ দলকে নতুন দিশা দেবে কি না, তা এখনই বলা কঠিন। তবে বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চাইছে, এ সিদ্ধান্ত তার স্পষ্ট ইঙ্গিত। শমীকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সংগঠনিক দক্ষতা এবার কতটা কাজে আসে, তা দেখতে মুখিয়ে রাজনৈতিক মহল।