০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় আরও ধারা যুক্ত, পুলিশেই আস্থা নির্যাতিতার পরিবারের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 44

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের মামলায় আরও কয়েকটি ধারা যুক্ত করল পুলিশ।  অপহরণ-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে ৬টি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বুধবার কসবায় আইন গণধর্ষণের মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তের যাবতীয় নথি, বৈদ্যুতিন নথি ও কেস ডায়েরি কসবার আধিকারিকদের হাত থেকে নিজেদের হাতে নেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মামলার চার অভিযুক্তকেও গোয়েন্দারা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লালবাজারে জেরা করবেন বলে খবর। এছাড়া এই মামলায় সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করেছে লালবাজার। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ১৬ জন কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও বাইরের কয়েকজনকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশের উপরই ভরসা রেখেছেন নির্যাতিতার মা ও বাবা বলে খবর। নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্ত চান না বলে কলকাতা পুলিশের তদন্তের উপরই ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই কসবা-কাণ্ডে হাই কোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে। হাই কোর্টের মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে আইনজীবীও নিযুক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন: কসবা ল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়ে গেল রায়দিঘিতে

লালবাজারের সূত্রে খবর,  কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬টি নতুন ধারা যুক্ত করা হল। ইতিমধ্যেই গণধর্ষণ, আটকে রেখে অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের ধারা অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে। নতুন যে ৬টি ধারা যোগ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যেই চারটিই জামিন অযোগ্য। এর মধ্যে অপহরণের তিনটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও নির্যাতিতাকে না জানিয়ে তাঁর ছবি বা ভিডিও তোলা, মারধর, গুরুতর হুমকি যা ক্ষতিসাধন করতে পারে, এমন তিনটি ধারাও যোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে ৩ টি জনস্বার্থ মামলা ডিভিশন বেঞ্চে, শুনানি বৃহস্পতিবার?

ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১৪০ (৩), ১৪০(৪), ১৪২ ধারা যোগ করা হয়। এ ছাড়াও গার্ডরুমে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করার সময় ঘটনাটির ভিডিও তোলে মনোজিতের দুই সঙ্গী। সেই কারণে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ৭৭ ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার উপর যৌন নির্যাতনের সময় তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে হকিস্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে যৌন নির্যাতন ও গণধর্ষণের পর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর বন্ধুকে খুন ও মা বাবাকে গ্রেফতারির হুমকি দেয় মনোজিৎ ও তার সঙ্গীরা। সেই কারণে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১১৮(১) ও ৩৫১ (৩) ধারা যোগ করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় আরও ধারা যুক্ত, পুলিশেই আস্থা নির্যাতিতার পরিবারের

আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের মামলায় আরও কয়েকটি ধারা যুক্ত করল পুলিশ।  অপহরণ-সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে ৬টি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বুধবার কসবায় আইন গণধর্ষণের মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তের যাবতীয় নথি, বৈদ্যুতিন নথি ও কেস ডায়েরি কসবার আধিকারিকদের হাত থেকে নিজেদের হাতে নেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মামলার চার অভিযুক্তকেও গোয়েন্দারা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লালবাজারে জেরা করবেন বলে খবর। এছাড়া এই মামলায় সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করেছে লালবাজার। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ১৬ জন কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও বাইরের কয়েকজনকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশের উপরই ভরসা রেখেছেন নির্যাতিতার মা ও বাবা বলে খবর। নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্ত চান না বলে কলকাতা পুলিশের তদন্তের উপরই ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই কসবা-কাণ্ডে হাই কোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে। হাই কোর্টের মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে আইনজীবীও নিযুক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন: কসবা ল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়ে গেল রায়দিঘিতে

লালবাজারের সূত্রে খবর,  কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬টি নতুন ধারা যুক্ত করা হল। ইতিমধ্যেই গণধর্ষণ, আটকে রেখে অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের ধারা অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছে। নতুন যে ৬টি ধারা যোগ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যেই চারটিই জামিন অযোগ্য। এর মধ্যে অপহরণের তিনটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও নির্যাতিতাকে না জানিয়ে তাঁর ছবি বা ভিডিও তোলা, মারধর, গুরুতর হুমকি যা ক্ষতিসাধন করতে পারে, এমন তিনটি ধারাও যোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে ৩ টি জনস্বার্থ মামলা ডিভিশন বেঞ্চে, শুনানি বৃহস্পতিবার?

ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১৪০ (৩), ১৪০(৪), ১৪২ ধারা যোগ করা হয়। এ ছাড়াও গার্ডরুমে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করার সময় ঘটনাটির ভিডিও তোলে মনোজিতের দুই সঙ্গী। সেই কারণে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ৭৭ ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার উপর যৌন নির্যাতনের সময় তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে হকিস্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে যৌন নির্যাতন ও গণধর্ষণের পর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর বন্ধুকে খুন ও মা বাবাকে গ্রেফতারির হুমকি দেয় মনোজিৎ ও তার সঙ্গীরা। সেই কারণে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ১১৮(১) ও ৩৫১ (৩) ধারা যোগ করা হয়েছে।