১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের, ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 252

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। শনিবার একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর কমিশনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে।

এডিআর-এর দাবি, এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ ও ৩২৬ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের ‘প্রতিনিধিত্ব আইন’ ও ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভূক্তকরণ নিয়মের পরিপন্থী। জন্মের শংসাপত্রের জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভোটারদের নাগরিকত্ব প্রমাণের দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সাধারণ ও প্রান্তিক জনগণের অধিকারে হস্তক্ষেপ। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদেরকে আলাদাভাবে প্রমাণপত্র দিতে হবে।

২০০৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে, শুধু নিজের নয়, পিতা-মাতার নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিভাবকের কেউ যদি বিদেশি হন, তাহলে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি চাওয়া হচ্ছে। এডিআর এর আশঙ্কা এই নিয়মগুলো বাস্তবসম্মত নয়, বিশেষ করে বিহারের মতো রাজ্যে যেখানে বহু মানুষের কাছে জন্মের শংসাপত্র বা প্রয়োজনীয় নথি নেই। এতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি প্রকৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

আরও পড়ুন: নভেম্বরে বিএসএফ, ইডি শুল্ক-সহ ২২টি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন

 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভোটার তালিকা সংশোধনে পরিচয়পত্র হিসেবে আধার গ্রহণের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’ ভিডিও বিভ্রান্তিকর, জানাল নির্বাচন কমিশন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের, ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। শনিবার একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর কমিশনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে।

এডিআর-এর দাবি, এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ ও ৩২৬ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের ‘প্রতিনিধিত্ব আইন’ ও ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভূক্তকরণ নিয়মের পরিপন্থী। জন্মের শংসাপত্রের জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভোটারদের নাগরিকত্ব প্রমাণের দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সাধারণ ও প্রান্তিক জনগণের অধিকারে হস্তক্ষেপ। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদেরকে আলাদাভাবে প্রমাণপত্র দিতে হবে।

২০০৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে, শুধু নিজের নয়, পিতা-মাতার নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিভাবকের কেউ যদি বিদেশি হন, তাহলে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি চাওয়া হচ্ছে। এডিআর এর আশঙ্কা এই নিয়মগুলো বাস্তবসম্মত নয়, বিশেষ করে বিহারের মতো রাজ্যে যেখানে বহু মানুষের কাছে জন্মের শংসাপত্র বা প্রয়োজনীয় নথি নেই। এতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি প্রকৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

আরও পড়ুন: নভেম্বরে বিএসএফ, ইডি শুল্ক-সহ ২২টি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন

 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভোটার তালিকা সংশোধনে পরিচয়পত্র হিসেবে আধার গ্রহণের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’ ভিডিও বিভ্রান্তিকর, জানাল নির্বাচন কমিশন