১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন মাস্ক, নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 309

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, নতুন দলটির নাম হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। তিনি বলেন, “আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো।”

 

মাস্কের এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনীতিতে হইচই শুরু হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

এর আগে মাস্ক এক্সে একটি জরিপ চালান যেখানে প্রশ্ন ছিল, “যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?”। দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দেন। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন: মানুষের শান্তি কেড়ে ‘ শান্তিতে পুরস্কার ‘ পেতে চাচ্ছেন, ট্রাম্পের নোবেল আটকাতে কমিটিকে চিঠি কেরলবাসীর

 

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয়বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক এই ঘোষণাটি দেন। তিনি বিলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য “দেউলিয়াত্বের দিকের ধাক্কা” বলে মন্তব্য করেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অতীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা মাস্ক দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ট্রাম্পের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং তাঁর প্রচারণায় অর্থসাহায্যও করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন যে, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করা আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনে হারাতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করবেন।

 

এই বিরোধের জেরে ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে ভর্তুElon Musk announces the formation of a new political party in the United States, called ‘America Party’কি পায়, তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বন্দ্ব রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও বাড়াতে পারে এবং ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন মাস্ক, নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, নতুন দলটির নাম হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। তিনি বলেন, “আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো।”

 

মাস্কের এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনীতিতে হইচই শুরু হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

এর আগে মাস্ক এক্সে একটি জরিপ চালান যেখানে প্রশ্ন ছিল, “যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দল দরকার?”। দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দেন। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন: মানুষের শান্তি কেড়ে ‘ শান্তিতে পুরস্কার ‘ পেতে চাচ্ছেন, ট্রাম্পের নোবেল আটকাতে কমিটিকে চিঠি কেরলবাসীর

 

গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয়বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক এই ঘোষণাটি দেন। তিনি বিলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য “দেউলিয়াত্বের দিকের ধাক্কা” বলে মন্তব্য করেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অতীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা মাস্ক দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ট্রাম্পের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং তাঁর প্রচারণায় অর্থসাহায্যও করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন যে, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করা আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনে হারাতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করবেন।

 

এই বিরোধের জেরে ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে ভর্তুElon Musk announces the formation of a new political party in the United States, called ‘America Party’কি পায়, তা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বন্দ্ব রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও বাড়াতে পারে এবং ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।