০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ওড়িশায় গ্রেফতার ২ ভাই, পলাতক ১

দিনের পর দিন ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা হতেই কিশোরীকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার ছক দুই ভাইয়ের 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 333

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: দিনের পর দিন ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ দুই ভাইয়ের। নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হতেই জীবন্ত পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা। ফের একবার খবরের শিরোনামে বিজেপি শাসিত ওড়িশা। রাজ্যের জগৎসিংপুর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নাম ভাগ্যধর দাস ও পঞ্চানন দাস। বানশবাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তবে তৃতীয় অভিযুক্ত টুলু এখনও পলাতক। তাকে ধরতে পুলিসি তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ওড়িশার আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা। একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে অভিযুক্তরা জানতে পারে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

 

বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্তরা। তার জন্য প্রয়োজনীয় খরচও দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

 

অভিযোগ, দুই যুবকের কথায় গর্ভপাত করাতে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে প্রথমে কাউকে দেখতে পায়নি নির্যাতিতা। পরে সে খেয়াল করে মাঠের মধ্যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে। অভিযুক্তদের হাত থেকে যেভাবে হোক বেঁচে নির্যাতিতা তার বাবাকে সব কথা জানায়।অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। ঘটনার তদন্তে নেমে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

 

বলা বাহুল্য, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নারী নিরাপত্তা যেন সোনার পাথরবাটি হয়ে গেছে। বিশেষ করে ওড়িশায, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে। সেখানে নারীদের ওপর ঘটা অত্যাচার তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সম্প্রতি ওড়িশা থেকে নারী নির্যাতন থেকে গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যুর মতো একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। গত মাসে ওড়িশা রাজ্যে থেকে অন্তত ১২টি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে । জুন মাসে ১০ দিনের মধ্যে ৫টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওড়িশায় গ্রেফতার ২ ভাই, পলাতক ১

দিনের পর দিন ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা হতেই কিশোরীকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার ছক দুই ভাইয়ের 

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: দিনের পর দিন ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ দুই ভাইয়ের। নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হতেই জীবন্ত পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা। ফের একবার খবরের শিরোনামে বিজেপি শাসিত ওড়িশা। রাজ্যের জগৎসিংপুর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নাম ভাগ্যধর দাস ও পঞ্চানন দাস। বানশবাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তবে তৃতীয় অভিযুক্ত টুলু এখনও পলাতক। তাকে ধরতে পুলিসি তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ওড়িশার আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা। একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে অভিযুক্তরা জানতে পারে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

 

বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্তরা। তার জন্য প্রয়োজনীয় খরচও দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

 

অভিযোগ, দুই যুবকের কথায় গর্ভপাত করাতে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে প্রথমে কাউকে দেখতে পায়নি নির্যাতিতা। পরে সে খেয়াল করে মাঠের মধ্যে গর্ত খোঁড়া হয়েছে। অভিযুক্তদের হাত থেকে যেভাবে হোক বেঁচে নির্যাতিতা তার বাবাকে সব কথা জানায়।অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। ঘটনার তদন্তে নেমে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

 

বলা বাহুল্য, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নারী নিরাপত্তা যেন সোনার পাথরবাটি হয়ে গেছে। বিশেষ করে ওড়িশায, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে। সেখানে নারীদের ওপর ঘটা অত্যাচার তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সম্প্রতি ওড়িশা থেকে নারী নির্যাতন থেকে গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যুর মতো একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। গত মাসে ওড়িশা রাজ্যে থেকে অন্তত ১২টি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে । জুন মাসে ১০ দিনের মধ্যে ৫টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।