০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পথচারীদের হয়রানি রুখতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 22

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই অফিস টাইমে নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রী থেকে আমজনতা। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে নতুন সিক্স লেন এলিভেটেড তৈরির কাজ চলছে। যার জেরে নিত্য যানজটে জেরবার হচ্ছেন পথচারীরা। তার উপর সামনেই পুজোর মরসুম। ভিড় বাড়বে শহরে। তাই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহন করল পুলিশ। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পণ্যবাহী যান চলাচল।

শুক্রবার সকালে লালবাজারে কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। আগামী রবিবার থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে কলকাতায় প্রবেশ করত পণ্যবাহী গাড়ি।

তবে লালবাজার জানিয়েছে, আগামী রবিবার থেকে ওই পথে কলকাতায় আসতে পারবে না পণ্যবাহী গাড়িগুলি। এবার থেকে সেই গাড়িগুলিকে ডানলপ থেকে নিবেদিতা সেতু এবং টালা সেতু হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করতে হবে। ফলত কিছুটা হলেও যান চলাচলে চাপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এতদিন দুপুরের দিকে মাঝারি এবং হালকা পণ্যবাহী গাড়িকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কলকাতায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবে আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। তবে গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়ি, জ্বালানিবাহী গাড়ি, ওষুধ, সব্জি, ফল, মাছ, দুধ এবং অক্সিজেনবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে না।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ছ’লেনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর ফলে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের উভয় দিকেই যানজট তৈরি হচ্ছে।

রাস্তা সরু হওয়ার কারণেও দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে পড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে অনেক পণ্যবাহী গাড়ি হাওড়ার উপর দিয়ে কলকাতা বা ডানকুনির দিকে যায়। কিন্তু এখন রাস্তার কাজের জন্য তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু আর মাস খানেকের মধ্যেই দুর্গাপুজো। ফলে ট্রাফিকের চাপ বাড়বে।

এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই শহরের পুলিশ যৌথ ভাবে বৈঠক করেছে। ছোট গাড়ি যাতে যানজটের মধ্যে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে এই যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে কত দিন পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে, তা এখনই নিশ্চিত করেননি পুলিশকর্তারা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পথচারীদের হয়রানি রুখতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই অফিস টাইমে নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রী থেকে আমজনতা। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে নতুন সিক্স লেন এলিভেটেড তৈরির কাজ চলছে। যার জেরে নিত্য যানজটে জেরবার হচ্ছেন পথচারীরা। তার উপর সামনেই পুজোর মরসুম। ভিড় বাড়বে শহরে। তাই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহন করল পুলিশ। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পণ্যবাহী যান চলাচল।

শুক্রবার সকালে লালবাজারে কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। আগামী রবিবার থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে কলকাতায় প্রবেশ করত পণ্যবাহী গাড়ি।

তবে লালবাজার জানিয়েছে, আগামী রবিবার থেকে ওই পথে কলকাতায় আসতে পারবে না পণ্যবাহী গাড়িগুলি। এবার থেকে সেই গাড়িগুলিকে ডানলপ থেকে নিবেদিতা সেতু এবং টালা সেতু হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করতে হবে। ফলত কিছুটা হলেও যান চলাচলে চাপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এতদিন দুপুরের দিকে মাঝারি এবং হালকা পণ্যবাহী গাড়িকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কলকাতায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবে আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। তবে গ্যাস সিলিন্ডারের গাড়ি, জ্বালানিবাহী গাড়ি, ওষুধ, সব্জি, ফল, মাছ, দুধ এবং অক্সিজেনবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে না।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ছ’লেনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর ফলে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের উভয় দিকেই যানজট তৈরি হচ্ছে।

রাস্তা সরু হওয়ার কারণেও দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে পড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে অনেক পণ্যবাহী গাড়ি হাওড়ার উপর দিয়ে কলকাতা বা ডানকুনির দিকে যায়। কিন্তু এখন রাস্তার কাজের জন্য তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু আর মাস খানেকের মধ্যেই দুর্গাপুজো। ফলে ট্রাফিকের চাপ বাড়বে।

এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই শহরের পুলিশ যৌথ ভাবে বৈঠক করেছে। ছোট গাড়ি যাতে যানজটের মধ্যে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে এই যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে কত দিন পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে, তা এখনই নিশ্চিত করেননি পুলিশকর্তারা।