০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবান্ন অভিযান উত্তপ্ত, পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার মা

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 43

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগ, মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতে কপাল ফুলে যায় এবং হাতের শাঁখা ভেঙে যায়। শনিবার এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা, যেখানে অংশ নেয় বিজেপিও। ধর্মতলা থেকে শুরু হওয়া মিছিলে নির্যাতিতার মা-বাবা সহ বহু আন্দোলনকারী যোগ দেন। দুপুর ১২টা নাগাদ মিছিল পার্কস্ট্রিট হয়ে নবান্নের দিকে রওনা দেয়, কিন্তু পার্কস্ট্রিট মোড়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। এরপর শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, সেই সময়েই নির্যাতিতার মা আহত হন বলে অভিযোগ।

পার্কস্ট্রিটে সংঘর্ষের পর নির্ধারিত পথে রওনা দেন নির্যাতিতার মা-বাবা, সঙ্গে ছিলেন প্রায় ত্রিশ জন সমর্থক, বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী ও প্রীতম দত্ত। তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র‌্যাম্পের দিকে অগ্রসর হলে ফের পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকে দেয়—প্রথমে গ্রিল, পরে শালবল্লার কাঠামো এবং শেষে বাঁশের ব্যারিকেড।

মিছিলের শুরুতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের গাড়ি একাধিকবার আটকানো হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি করে এখানে পৌঁছেছি। হাই কোর্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিলেও সর্বত্র ব্যারিকেড করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর

বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৌনে ১২টায় ধর্মতলায় পৌঁছে জানান, ‘‘আমরা সংঘাতে জড়াব না। কিন্তু এত ব্যারিকেড কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি।’’ আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘তদন্ত আদালতের নির্দেশে হচ্ছে, অভিযোগ থাকলে আদালতেই জানাতে হবে।’’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ডাক ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে’, কলকাতা হাইকোর্ট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নবান্ন অভিযান উত্তপ্ত, পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার মা

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগ, মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতে কপাল ফুলে যায় এবং হাতের শাঁখা ভেঙে যায়। শনিবার এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা, যেখানে অংশ নেয় বিজেপিও। ধর্মতলা থেকে শুরু হওয়া মিছিলে নির্যাতিতার মা-বাবা সহ বহু আন্দোলনকারী যোগ দেন। দুপুর ১২টা নাগাদ মিছিল পার্কস্ট্রিট হয়ে নবান্নের দিকে রওনা দেয়, কিন্তু পার্কস্ট্রিট মোড়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। এরপর শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, সেই সময়েই নির্যাতিতার মা আহত হন বলে অভিযোগ।

পার্কস্ট্রিটে সংঘর্ষের পর নির্ধারিত পথে রওনা দেন নির্যাতিতার মা-বাবা, সঙ্গে ছিলেন প্রায় ত্রিশ জন সমর্থক, বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী ও প্রীতম দত্ত। তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র‌্যাম্পের দিকে অগ্রসর হলে ফের পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকে দেয়—প্রথমে গ্রিল, পরে শালবল্লার কাঠামো এবং শেষে বাঁশের ব্যারিকেড।

মিছিলের শুরুতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের গাড়ি একাধিকবার আটকানো হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি করে এখানে পৌঁছেছি। হাই কোর্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিলেও সর্বত্র ব্যারিকেড করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর

বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৌনে ১২টায় ধর্মতলায় পৌঁছে জানান, ‘‘আমরা সংঘাতে জড়াব না। কিন্তু এত ব্যারিকেড কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি।’’ আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘তদন্ত আদালতের নির্দেশে হচ্ছে, অভিযোগ থাকলে আদালতেই জানাতে হবে।’’

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ডাক ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে’, কলকাতা হাইকোর্ট