১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতির রূদ্ররূপে ধ্বংস পাকিস্তান, মৃত ৬৫৭

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রবল বৃষ্টির দাপটে কার্যত একপ্রকার নরকযন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষজন। গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণের ফলে হড়পা বান ও ভূমিধসে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫৭ জন মানুষ। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।

গত তিন মাস ধরে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া এই দুর্যোগ সামলাতে শাহবাজ শরিফের সরকার যে একেবারে নাজেহাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। খাইবার পাখতুনখোয়ায় এই দুর্যোগের জেরে মৃত্যুর পরিমাণ সবথেকে বেশি। ফলবশত সাধারণ মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমসূত্রে খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বৃষ্টির পরিমাণ অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ধস সহ হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, ৪৮ ঘন্টায় মৃত প্রায় ৩৫০

জানা গিয়েছে, ৬৫৭ জনের মধ্যে ১৭১ জন শিশু, ৯৪ জন মহিলা ও ৩৯২ জন পুরুষ। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির জন্য আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর আগেও হড়পা বান সহ অন্যান্য দুর্যোগে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯৪ জন। সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে এর মধ্যে শিশু ৫৯ জন এবং ৪৩ জন মহিলা। এই হড়পা বানে ৬১টি সরকারি স্কুল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Pak Independence Day: স্বাধীনতার দিনে রকেটের বার্তা পাকিস্তানের

এমনকি এই দুর্যোগের প্রভাব পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও পড়েছে বলে খবর। মৃত্যু সহ নিখোঁজের সংখ্যা অগণিত। কিন্তু এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার অবস্থা সংকটজনক। প্রশাসনের তরফ থেকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য জোরকদমে উদ্ধার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় খাবার থেকে শুরু করে অস্থায়ী তাঁবু এবং ওষুধপত্র সবকিছুই পাঠানো হচ্ছে দুঃস্থদের।

আরও পড়ুন: পরমাণু সংঘাতে অর্ধেক বিশ্ব দখল করার হুমকি আসিম মুনিরের, নিন্দায় দিল্লি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রকৃতির রূদ্ররূপে ধ্বংস পাকিস্তান, মৃত ৬৫৭

আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রবল বৃষ্টির দাপটে কার্যত একপ্রকার নরকযন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষজন। গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণের ফলে হড়পা বান ও ভূমিধসে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫৭ জন মানুষ। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।

গত তিন মাস ধরে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া এই দুর্যোগ সামলাতে শাহবাজ শরিফের সরকার যে একেবারে নাজেহাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। খাইবার পাখতুনখোয়ায় এই দুর্যোগের জেরে মৃত্যুর পরিমাণ সবথেকে বেশি। ফলবশত সাধারণ মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমসূত্রে খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বৃষ্টির পরিমাণ অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ধস সহ হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, ৪৮ ঘন্টায় মৃত প্রায় ৩৫০

জানা গিয়েছে, ৬৫৭ জনের মধ্যে ১৭১ জন শিশু, ৯৪ জন মহিলা ও ৩৯২ জন পুরুষ। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির জন্য আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর আগেও হড়পা বান সহ অন্যান্য দুর্যোগে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯৪ জন। সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে এর মধ্যে শিশু ৫৯ জন এবং ৪৩ জন মহিলা। এই হড়পা বানে ৬১টি সরকারি স্কুল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Pak Independence Day: স্বাধীনতার দিনে রকেটের বার্তা পাকিস্তানের

এমনকি এই দুর্যোগের প্রভাব পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও পড়েছে বলে খবর। মৃত্যু সহ নিখোঁজের সংখ্যা অগণিত। কিন্তু এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার অবস্থা সংকটজনক। প্রশাসনের তরফ থেকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য জোরকদমে উদ্ধার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় খাবার থেকে শুরু করে অস্থায়ী তাঁবু এবং ওষুধপত্র সবকিছুই পাঠানো হচ্ছে দুঃস্থদের।

আরও পড়ুন: পরমাণু সংঘাতে অর্ধেক বিশ্ব দখল করার হুমকি আসিম মুনিরের, নিন্দায় দিল্লি