১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তীব্র হট্টগোল সংসদে

- আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 41
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সকাল থেকেই সংসদে উত্তেজনার আবহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ মঙ্গলবার লোকসভায় একসঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করতেই শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। বিশেষ করে সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল ২০২৫, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হলে তাঁদের অপসারণ সংক্রান্ত বিধান নিয়ে আসতেই বিরোধী শিবিরের সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। এমনকী অভিযোগ উঠেছে, বিরোধী সাংসদরা বিলের খসড়া কপি ছিঁড়ে অমিত শাহের দিকে ছুড়ে মারেন।
শুরুতেই বিরোধীদের স্লোগান ও চিৎকার-চেঁচামেচিতে সংসদ মুলতুবি হয়ে যায়। পরে ফের কার্যক্রম শুরু হলে অমিত শাহ একে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল ২০২৫ পেশ করেন। এই তিন বিলের বিরোধিতা করে বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন ও বিলের খসড়া ছিঁড়ে ফেলেন। সংসদজুড়ে তখন প্রবল হট্টগোল।
অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই অমিত শাহ স্পষ্ট বার্তা দেন, এই বিলগুলি হঠাৎ আনা হয়নি, বরং তা নিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিরোধী দলগুলিও সেখানে নিজেদের পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন। তবে শাহের ব্যাখ্যা বা আশ্বাসে বিরোধীদের ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং ক্রমাগত আক্রমণাত্মক অবস্থানেই থাকেন সাংসদরা।
এই পরিস্থিতিতে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারব না যে গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে বসে থাকব।” তাঁর এই মন্তব্যে আরও এক দফা ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। ফলে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল ঘিরে সংসদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।