সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ

- আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 36
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে। মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ সংক্রান্ত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল – সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সংশোধনী বিল এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন সংশোধনী বিল – ঘিরে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। এর মধ্যে প্রথম দু’টি সরাসরিই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীসহ সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের অপসারণ নিয়ে। তৃতীয় বিলটি জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠনের হলেও সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে একইভাবে অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।
১৩০তম সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী – এঁরা কেউ যদি গুরুতর অভিযোগে অন্তত ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন এবং সেই মামলায় সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে ৩১তম দিনে তাঁকে পদ ছাড়তে হবে। এর জন্য সংবিধানের ৭৫, ১৬৪ ও ২৩৯এএ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এই বিল লোকসভায় পেশ হতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লেখেন, “ব্ল্যাক ডে, ব্ল্যাক বিল। সুপার-ইমার্জেন্সির থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু যদি থেকে থাকে, তবে এই বিল টেবিল করাই তার উদাহরণ। এর অর্থ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও ভারতের গণতন্ত্রকে চিরতরে শেষ করে দেওয়া।”
মমতার অভিযোগ, বিশেষ ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)-এর নামে ভোটাধিকার খর্ব করার পর এবার এই বিল বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে শেষ করে দিতে চলেছে। তাঁর দাবি, “হিটলারের শাসনকালে যেভাবে একচেটিয়া নির্যাতন চালানো হতো, এই বিলও তার থেকে কোনো অংশে কম নয়।”
তিনি আরও বলেন, আদালতকে দুর্বল করার মাধ্যমে আসলে জনগণকে দুর্বল করা হচ্ছে। এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর সরাসরি আঘাত। মমতার বক্তব্য, “আমরা অবশ্যই এই বিল প্রতিহত করার চেষ্টা করব। সংবিধান ক্ষমতাসীনের সম্পত্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। যে কোনো মূল্যে এই বিল রুখতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন – এই মুহূর্তে গণতন্ত্র রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।