২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাকাশে ফলল কাঁচা লঙ্কা! ছবি শেয়ার করলেন মহাকাশচারীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 22

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এই প্রথম মহাকাশে ফলল কাঁচা লঙ্কা। এমনটাই জানিয়েছেন মহাকাশচারীরা। ইতিমধ্যেই তারা কাঁচা লঙ্কা হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন। নাসার নভশ্চরচারী ম্যাকআর্থারের মতে, এই প্রথম মহাকাশচারীরা মহাকাশে লঙ্কার ফলন করতে সক্ষম হলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কাঁচা লঙ্কাগুলির ফলন হয়েছে। এই সুন্দর ফসল তাদের মনোবলকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ভেতরটা লম্বা টানেলের মতো। শূন্য মাধ্যাকর্ষণেই থাকতে হয়। তাই ভেসে ভেসে, ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করতে হয় নভশ্চরদের। স্পেস স্টেশনে বসেই মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারীরা। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ বা জিরো গ্র্যাভিটি নিয়েও চলে গবেষণা। এই বিরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সমস্যায় পড়েছেন মহাকাশচারীরা। স্পেস স্টেশনের শৌচাগারটি খারাপ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ২০ ঘন্টা ডায়াপার পরে পৃথিবীতে ফিরতে হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুন: অবশেষে মহাকাশে পাড়ি শুভাংশু শুক্লার, ৪১ বছর পর ফের ইতিহাসের দোরগোড়ায় দেশ

বুধবার রাতের আগেই তাদের ফেরার কথা। খারাপ আবহাওয়া ও স্পেস ক্যাপসুলের মধ্যে একজনের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য মহাকাশযানটির ফিরতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: জানেন কি জল খেলে কেন ঝাল কমেনা

নাসার নভশ্চর মেগান ম্যাক আর্থার জানিয়েছেন, অবস্থা আয়ত্ত্বে আনা গেছে। আমার সঙ্গে থাকা তিনজন ক্রুমেট স্পেস ক্যাপসুলে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২০ ঘন্টা এইভাবেই ডায়াপার পরে কাটাবে। তবে এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ নিতে শেখাল। তবে আমরা আমাদের মিশন সম্পূর্ণ করার জন্য এখানে এসেছি, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।


মেগান ম্যাক আর্থারের সঙ্গে থাকা নভশ্চর থমাস পেসকেট জানিয়েছেন গত প্রায় ছ’মাস ধরে তারা মহাকাশে রয়েছেন। মহাকাশচারীরা স্টেশনের পাওয়ার গ্রিড আপগ্রেড করতে একাধিক স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে এই শৌচাগারের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। তবে স্পেসএক্স ক্যাপসুলের টয়লেটটি ঠিক করেছে, কিন্তু কক্ষপথে থাকাটিকে অব্যবহারযোগ্য বলে মনে করেছে।
ম্যাকআর্থার এবং পেসকুয়েটের সঙ্গে ফিরে আসছেন নাসার মহাকাশচারী শেন কিমব্রো এবং জাপানি মহাকাশচারী আকিহিকো হোশিদে। স্পেস ক্যাপসুলটি স্পেস স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায় গত ২৩ এপ্রিল।


ক্যাপসুলটির সর্বোচ্চ মেয়াদ ২১০দিন। সেখানে মহাকাশে এই শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১৯৬ দিন কাটিয়ে ফেলেছে। এবার নাসা যত দ্রুত সম্ভব তাদের পৃথিবীতে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে তাদের ফেরার পর স্পেস সেন্টারে একজন আমেরিকার ও দু’জন রাশিয়ান মহাকাশচারী থাকবেন।

  
 








 








   
 




 
 
 
 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহাকাশে ফলল কাঁচা লঙ্কা! ছবি শেয়ার করলেন মহাকাশচারীরা

আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এই প্রথম মহাকাশে ফলল কাঁচা লঙ্কা। এমনটাই জানিয়েছেন মহাকাশচারীরা। ইতিমধ্যেই তারা কাঁচা লঙ্কা হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন। নাসার নভশ্চরচারী ম্যাকআর্থারের মতে, এই প্রথম মহাকাশচারীরা মহাকাশে লঙ্কার ফলন করতে সক্ষম হলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কাঁচা লঙ্কাগুলির ফলন হয়েছে। এই সুন্দর ফসল তাদের মনোবলকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ভেতরটা লম্বা টানেলের মতো। শূন্য মাধ্যাকর্ষণেই থাকতে হয়। তাই ভেসে ভেসে, ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করতে হয় নভশ্চরদের। স্পেস স্টেশনে বসেই মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন মহাকাশচারীরা। শূন্য মাধ্যাকর্ষণ বা জিরো গ্র্যাভিটি নিয়েও চলে গবেষণা। এই বিরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সমস্যায় পড়েছেন মহাকাশচারীরা। স্পেস স্টেশনের শৌচাগারটি খারাপ হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ২০ ঘন্টা ডায়াপার পরে পৃথিবীতে ফিরতে হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুন: অবশেষে মহাকাশে পাড়ি শুভাংশু শুক্লার, ৪১ বছর পর ফের ইতিহাসের দোরগোড়ায় দেশ

বুধবার রাতের আগেই তাদের ফেরার কথা। খারাপ আবহাওয়া ও স্পেস ক্যাপসুলের মধ্যে একজনের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য মহাকাশযানটির ফিরতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: জানেন কি জল খেলে কেন ঝাল কমেনা

নাসার নভশ্চর মেগান ম্যাক আর্থার জানিয়েছেন, অবস্থা আয়ত্ত্বে আনা গেছে। আমার সঙ্গে থাকা তিনজন ক্রুমেট স্পেস ক্যাপসুলে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২০ ঘন্টা এইভাবেই ডায়াপার পরে কাটাবে। তবে এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ নিতে শেখাল। তবে আমরা আমাদের মিশন সম্পূর্ণ করার জন্য এখানে এসেছি, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।


মেগান ম্যাক আর্থারের সঙ্গে থাকা নভশ্চর থমাস পেসকেট জানিয়েছেন গত প্রায় ছ’মাস ধরে তারা মহাকাশে রয়েছেন। মহাকাশচারীরা স্টেশনের পাওয়ার গ্রিড আপগ্রেড করতে একাধিক স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে এই শৌচাগারের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। তবে স্পেসএক্স ক্যাপসুলের টয়লেটটি ঠিক করেছে, কিন্তু কক্ষপথে থাকাটিকে অব্যবহারযোগ্য বলে মনে করেছে।
ম্যাকআর্থার এবং পেসকুয়েটের সঙ্গে ফিরে আসছেন নাসার মহাকাশচারী শেন কিমব্রো এবং জাপানি মহাকাশচারী আকিহিকো হোশিদে। স্পেস ক্যাপসুলটি স্পেস স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায় গত ২৩ এপ্রিল।


ক্যাপসুলটির সর্বোচ্চ মেয়াদ ২১০দিন। সেখানে মহাকাশে এই শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১৯৬ দিন কাটিয়ে ফেলেছে। এবার নাসা যত দ্রুত সম্ভব তাদের পৃথিবীতে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে তাদের ফেরার পর স্পেস সেন্টারে একজন আমেরিকার ও দু’জন রাশিয়ান মহাকাশচারী থাকবেন।