বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণের দাবি J&K Congress-এর

- আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
- / 101
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : বন্যা-বিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরে (J&K Congress) অবিলম্বে ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা (flood relief measures) এবং ওই বন্যাবিধ্বস্ত রাজ্যকে জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগপীড়িত হিসেবে গণ্য করার দাবি জানালো কংগ্রেস ।
জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের সভাপতি (J&K Congress) তারিক হামিদ কারা বলেছেন, গত মাসে কিসতওয়ার এবং রিয়াসি জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে দুটি ঘটনায় ১০০-রও বেশি তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এঁদের কেউ বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন, কেউ বা মাশাইল মাতার মন্দিরে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: Red Sea cable cut: লোহিত সাগরে কেবল কাটার জেরে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিভ্রাট
এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, কেন আগে থেকে এঁদের সুরক্ষার কথা ভাবা হয়নি? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বন্যাদুর্গত এলাকা যেভাবে সফর করেছেন তাতে স্থানীয় মানুষজন হতাশ। ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ যে আশা করেছিলেন তা ধূলিসাৎ হয়েছে। তিনি দায়সারা ভাবে ঘুরে চলে গেলেন। দু এক জায়গায় তিনি যান। কারও সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন নি।
বিজেপি শাসিত কেন্দ্র কাশ্মীরে আগের মহাপ্লাবন থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। একটা সুপরিকল্পিত প্রকল্প দরকার। যাদের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে তা গড়ে দেওয়া দরকার। কৃষকদের যে ফসল নষ্ট হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার। কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কিছুই করেনি।
২০১৫ সালে নেপালে ভূকম্পের সময়ে কেন্দ্র যেভাবে সাহায্য দিয়েছিল সেই রকম সাহায্য জম্মু-কাশ্মীর কেন পাবে না? বিজেপির লোকেরাও এখানে আক্ষেপ করছেন।২০১৪ সালে কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যার পর অনেক নিয়ম শিথিল করে কেন্দ্র পাশে দাঁড়িয়েছিল। কৃষকদের ফের চাষ করে লাভের মুখ দেখা পর্যন্ত বিনা খরচায় বিদ্যুৎ দেওয়া উচিত। জম্মুর বেশ কিছু গ্রামে অনেকদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই।
বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৬ মাস বিনা অর্থে রেশন দেওয়া হোক। কাররা বলেছেন, আবহাওয়া অফিস আগেই বলেছিল যে, প্রচণ্ড বৃষ্টি হবে। তারপরও কেন দুই মন্দিরে সফরে অনুমতি দেওয়া হয়? এই মৃত্যুর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে। তাছাড়া জলবাহিত রোগও ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্র কী করছে?