উদ্বেগে পরিবার
Nepal Gen Z Protest: অগ্নিগর্ভ নেপালে আটকে বাঁকুড়ার ৩০০ শ্রমিক
- আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 271
পুবের কলম প্রতিবেদক, বাঁকুড়া: অগ্নিগর্ভ নেপাল (Nepal Gen Z Protest)। বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে কাঠমান্ডু-সহ একাধিক শহর। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি হয়েছে কার্ফু। ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। এই অবস্থায় নেপালে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয় পর্যটক ও কর্মসূত্রে গিয়ে থাকা শ্রমিকরা। তাদের সাহায্যে হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে পড়েছেন বাঁকুড়া জেলার (Nepal Gen Z Protest) হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামের মানুষ। গ্রামটির প্রায় ৩০০ বাসিন্দা শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন নেপালের কাঠমান্ডুর নেপালগঞ্জ এলাকার কাঁসার বাসন তৈরির কারখানায়।
READ MORE: 2025 Nepalese Gen Z protests: মৃত বেড়ে ৩৪, আটকে একাধিক ভারতীয়
প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে তারা দেশে ফেরেন। এ বছরও ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কিন্তু ঠিক সেই সময় শুরু হয় অশান্তি। নেপালের একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, শ্রমিকরাও আটকে পড়েন কারখানা লাগোয়া আবাসগুলিতেই।
কারখানা মালিকদের পক্ষ থেকে খাবার ও জল সরবরাহ করা হলেও আতঙ্কে দিন কাটছে শ্রমিকদের। কারণ কারখানা চত্বর থেকে বাইরে বেরোনোও নিষিদ্ধ। কার্ফুর কারণে তাদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কার্যত বন্ধ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারগুলির।

এলাকারই শম্পা কর্মকার, যার স্বামী লব কর্মকার নেপালে আটকে আছেন, ‘জানিয়েছেন, ওরা খুব আতঙ্কে আছে। বর্ডারও বন্ধ। পুজোয় আসার কথা ছিল, কিন্তু মনে হচ্ছে আর আসতে পারবে না। শুধু আমার স্বামী নয়, আমাদের গ্রামের আরও অনেকে একইভাবে আটকে আছে।’
এই পরিস্থিতিতে আশার আলো জাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জলপাইগুড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, নেপালের অশান্তি কিছুটা কমলেই রাজ্যের আটকে পড়া বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি তাদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন একটাই— কবে স্বাভাবিক হবে নেপালের পরিস্থিতি এবং কবে নিরাপদে দেশে ফিরবেন বাঁকুড়ার এই প্রায় ৩০০ শ্রমিক।
উল্লেখ্য, ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির সরকারের সোশাল মিডিয়া সাইটকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সে দেশের যুবক-যুবতীরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে প্রাণ হারান ২৩জন তরুণ। সোশাল মিডিয়া ব্যানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলেও হিংসাত্মক আন্দোলন থামেনি, ছাত্র-যুব আন্দোলনের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।










































