০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে অংশগ্রহণ মহিলাদের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার
  • / 303

ইনামুল হক, বসিরহাট: বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে বাঁচাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের সোনাই নদীতে নৌকার হাল ধরলেন এবার মহিলারাও। পাল্লা দিয়ে মহিলা নৌকা চালকদের দাপট দেখার জন্য সোনাই এর দুই তীর বরাবর হাজারো দর্শকের ভিড়।

বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে একদল ছাত্র যুবের উদ্যোগে বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের স্বরূপনগর-বাংলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠেরপোল এলাকায় সোনাই নদীতে আয়োজিত হয় এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। একদা নদীমাতৃক গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা ছিল নৌকা বাইচ। যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু কালের নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ঐতিহ্য।

তাই বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসে এলাকার ছাত্র-যুবরা। সুজন, সঞ্জীব, রতন ও প্রীতমসহর স্থানীয় বহু ছাত্র-যুবর উদ্যোগে এই বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরূপনগর বাঙলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী সরকার ও তেঁতুলিয়া মৎস্যজীবী গোষ্ঠীর সদস্যরা। এই বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিলা নৌকা বাইচ আরোহীরাও অংশগ্রহণ করেন।

সেরকমই এক মহিলা প্রতিযোগী মুক্তা সরকার বলেন, “আমরা নারী, আমরা এই বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলাম যে ছেলেদের সঙ্গে আমরা পাল্লা দিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারি। আমরা কোনো অংশে তাদের থেকে কম যাই না।” এই প্রতিযোগিতার অন‍্যতম উদ্যোক্তা রতন বিশ্বাস বলেন, “বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচাতে স্থানীয় সমাজসেবী সঞ্জীব পালের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাইচ প্রতিযোগিতা করে আসছি।

হালিশহর, হাড়োয়া, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৩০টি দল এখানে অংশগ্রহণ করে। যা দেখতে সোনাই নদীর ভিড় জমান বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে আগত ২০-২৫ হাজার মানুষ। যার ফলে এখানে এক মেলার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।” প্রতিযোগীদের পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি, নগদ অর্থ ও বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি গামছা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে অংশগ্রহণ মহিলাদের

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার

ইনামুল হক, বসিরহাট: বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে বাঁচাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের সোনাই নদীতে নৌকার হাল ধরলেন এবার মহিলারাও। পাল্লা দিয়ে মহিলা নৌকা চালকদের দাপট দেখার জন্য সোনাই এর দুই তীর বরাবর হাজারো দর্শকের ভিড়।

বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে একদল ছাত্র যুবের উদ্যোগে বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের স্বরূপনগর-বাংলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠেরপোল এলাকায় সোনাই নদীতে আয়োজিত হয় এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। একদা নদীমাতৃক গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা ছিল নৌকা বাইচ। যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু কালের নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ঐতিহ্য।

তাই বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসে এলাকার ছাত্র-যুবরা। সুজন, সঞ্জীব, রতন ও প্রীতমসহর স্থানীয় বহু ছাত্র-যুবর উদ্যোগে এই বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরূপনগর বাঙলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী সরকার ও তেঁতুলিয়া মৎস্যজীবী গোষ্ঠীর সদস্যরা। এই বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিলা নৌকা বাইচ আরোহীরাও অংশগ্রহণ করেন।

সেরকমই এক মহিলা প্রতিযোগী মুক্তা সরকার বলেন, “আমরা নারী, আমরা এই বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলাম যে ছেলেদের সঙ্গে আমরা পাল্লা দিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারি। আমরা কোনো অংশে তাদের থেকে কম যাই না।” এই প্রতিযোগিতার অন‍্যতম উদ্যোক্তা রতন বিশ্বাস বলেন, “বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচাতে স্থানীয় সমাজসেবী সঞ্জীব পালের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাইচ প্রতিযোগিতা করে আসছি।

হালিশহর, হাড়োয়া, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৩০টি দল এখানে অংশগ্রহণ করে। যা দেখতে সোনাই নদীর ভিড় জমান বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে আগত ২০-২৫ হাজার মানুষ। যার ফলে এখানে এক মেলার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।” প্রতিযোগীদের পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি, নগদ অর্থ ও বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি গামছা।