৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাবুল থেকে দিল্লি; ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে কিশোরের রোমাঞ্চকর যাত্রা

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের ১৩ বছরের এক কিশোরের রোমাঞ্চকর ঘটনার খবর এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনাম। রোববার সে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাম এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের (আরকিউ–৪৪০১) ল্যান্ডিং গিয়ারের কম্পার্টমেন্টে লুকিয়ে দিল্লি পৌঁছে যায়। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি দেখে হতবাক হয়ে যায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীরা।

পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি দিল্লিতে অবতরণের পর ক্রু সদস্যরা বিমানটির নিচে এক কিশোরকে ঘোরাফেরা করতে দেখে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের খবর দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরটি জানায়, সে গোপনে কাবুল বিমানবন্দরে প্রবেশ করে বিমানের পিছনের অংশের সেন্ট্রাল ল্যান্ডিং কম্পার্টমেন্টে উঠে পড়ে। বিমানটির নিরাপত্তা তল্লাশিতে একটি ছোট লাল রঙের স্পিকারও উদ্ধার হয়, যা সম্ভবত কিশোরটির ছিল।

ঘটনার পর বিমানটি পুনরায় তল্লাশি করে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়। দিল্লি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিশোরটিকে একই বিমানে করে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনা কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। তালিবান সরকারের সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র আবিদুল্লাহ ফারুকি বিবিসির পশতু সার্ভিসকে জানিয়েছেন যে তারা ঘটনাটি তদন্ত করছেন।

তিনি দাবি করেন, রানওয়েতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি থাকে এবং কারও পক্ষে অবৈধভাবে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যান্ডিং গিয়ারের কম্পার্টমেন্টে এত উচ্চতায় অক্সিজেনের ঘাটতি ও প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এত কিছুর পরেও কিশোরটির জীবিত থাকা একেবারেই অবিশ্বাস্য এবং অনেকেই এটিকে ‘চমৎকার বেঁচে ফেরা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

এই ঘটনা একদিকে যেমন কিশোরটির দুঃসাহসী প্রয়াসকে সামনে নিয়ে এসেছে, তেমনি আফগানিস্তানের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিকও প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কিভাবে এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে একটি কিশোর বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে উঠে পড়ল এবং প্রাণে বেঁচে গেল।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

মানুষকে বড্ড হয়রান হতে হচ্ছে, অশুভ শক্তির বিনাশ হোক: এসআইআর নিয়ে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাবুল থেকে দিল্লি; ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে কিশোরের রোমাঞ্চকর যাত্রা

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের ১৩ বছরের এক কিশোরের রোমাঞ্চকর ঘটনার খবর এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনাম। রোববার সে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাম এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের (আরকিউ–৪৪০১) ল্যান্ডিং গিয়ারের কম্পার্টমেন্টে লুকিয়ে দিল্লি পৌঁছে যায়। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি দেখে হতবাক হয়ে যায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীরা।

পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি দিল্লিতে অবতরণের পর ক্রু সদস্যরা বিমানটির নিচে এক কিশোরকে ঘোরাফেরা করতে দেখে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের খবর দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরটি জানায়, সে গোপনে কাবুল বিমানবন্দরে প্রবেশ করে বিমানের পিছনের অংশের সেন্ট্রাল ল্যান্ডিং কম্পার্টমেন্টে উঠে পড়ে। বিমানটির নিরাপত্তা তল্লাশিতে একটি ছোট লাল রঙের স্পিকারও উদ্ধার হয়, যা সম্ভবত কিশোরটির ছিল।

ঘটনার পর বিমানটি পুনরায় তল্লাশি করে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়। দিল্লি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিশোরটিকে একই বিমানে করে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনা কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। তালিবান সরকারের সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র আবিদুল্লাহ ফারুকি বিবিসির পশতু সার্ভিসকে জানিয়েছেন যে তারা ঘটনাটি তদন্ত করছেন।

তিনি দাবি করেন, রানওয়েতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি থাকে এবং কারও পক্ষে অবৈধভাবে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যান্ডিং গিয়ারের কম্পার্টমেন্টে এত উচ্চতায় অক্সিজেনের ঘাটতি ও প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এত কিছুর পরেও কিশোরটির জীবিত থাকা একেবারেই অবিশ্বাস্য এবং অনেকেই এটিকে ‘চমৎকার বেঁচে ফেরা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

এই ঘটনা একদিকে যেমন কিশোরটির দুঃসাহসী প্রয়াসকে সামনে নিয়ে এসেছে, তেমনি আফগানিস্তানের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিকও প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কিভাবে এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে একটি কিশোর বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে উঠে পড়ল এবং প্রাণে বেঁচে গেল।