০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লির সরকারি স্কুলে আরএসএস বন্দনা বাধ্যতামূলক, ‘রাষ্ট্রনীতি’ পাঠে উঠছে বিতর্কের ঝড়

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
  • / 122

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লির সরকারি স্কুলে এবার সরাসরি পাঠ্যসূচির অংশ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। বিজেপি সরকারের উদ্যোগে নতুন নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচি ‘রাষ্ট্রনীতি’র বিশেষ মডিউলে প্রথম শ্রেণি থেকেই পড়ুয়াদের শেখানো হবে সংঘের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দেশ গঠনে তাদের ভূমিকা। পাঠ্যসূচিতে সাভারকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবনীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ হ্যান্ডবুক ও প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।

প্রতি শনিবার ‘রাষ্ট্রনীতি’ ক্লাস নেওয়া হবে, যাতে অন্য বিষয়গুলোর সময় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।বিরোধীরা বলছে, এটি শিক্ষাক্ষেত্রে সরাসরি “গেরুয়াকরণের” প্রচেষ্টা এবং ইতিহাস বিকৃতির অংশ। অন্যদিকে, বিজেপি বলছে, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রাষ্ট্র গঠনে সংঘের ভূমিকা জানানোই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ।

‘স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে’—দেশের মানুষকে এই কথা বোঝাতে দীর্ঘদিন ধরেই অতি তৎপর বিজেপি তথা গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিরোধী দলগুলি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংঘ পরিবারের কোনওরকম অবদান মানতে নারাজ।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এবার স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের ভূমিকার পাঠ দিতেই মূলত উদ্যোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেইমতো ‘রাষ্ট্রনীতি’তে সংঘ পরিবারের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে যেমন আলোচনার পরিকল্পনা হয়েছে, তেমনই বিগত ৮০-১০০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র গঠনে তারা কী ভূমিকা পালন করেছে, তাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করার ব্যাপারে ভাবা হয়েছে।

পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর কীভাবে রক্তদান শিবির কিংবা ত্রাণ সরবরাহ অথবা অন্য পন্থায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য সংঘ কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, বিশেষ মডিউলে তারও উল্লেখ থাকছে। কিন্তু স্কুলের পড়ুয়ারা কেন সংঘের ইতিহাস, সংস্কৃতির পাঠ নেবে? এটা কি সরাসরি গেরুয়াকরণের চেষ্টা নয়? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে আপ, সিপিএমের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লির সরকারি স্কুলে আরএসএস বন্দনা বাধ্যতামূলক, ‘রাষ্ট্রনীতি’ পাঠে উঠছে বিতর্কের ঝড়

আপডেট : ৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লির সরকারি স্কুলে এবার সরাসরি পাঠ্যসূচির অংশ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। বিজেপি সরকারের উদ্যোগে নতুন নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচি ‘রাষ্ট্রনীতি’র বিশেষ মডিউলে প্রথম শ্রেণি থেকেই পড়ুয়াদের শেখানো হবে সংঘের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দেশ গঠনে তাদের ভূমিকা। পাঠ্যসূচিতে সাভারকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবনীও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ হ্যান্ডবুক ও প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।

প্রতি শনিবার ‘রাষ্ট্রনীতি’ ক্লাস নেওয়া হবে, যাতে অন্য বিষয়গুলোর সময় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।বিরোধীরা বলছে, এটি শিক্ষাক্ষেত্রে সরাসরি “গেরুয়াকরণের” প্রচেষ্টা এবং ইতিহাস বিকৃতির অংশ। অন্যদিকে, বিজেপি বলছে, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রাষ্ট্র গঠনে সংঘের ভূমিকা জানানোই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ।

‘স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে’—দেশের মানুষকে এই কথা বোঝাতে দীর্ঘদিন ধরেই অতি তৎপর বিজেপি তথা গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিরোধী দলগুলি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংঘ পরিবারের কোনওরকম অবদান মানতে নারাজ।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এবার স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের ভূমিকার পাঠ দিতেই মূলত উদ্যোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেইমতো ‘রাষ্ট্রনীতি’তে সংঘ পরিবারের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে যেমন আলোচনার পরিকল্পনা হয়েছে, তেমনই বিগত ৮০-১০০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র গঠনে তারা কী ভূমিকা পালন করেছে, তাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করার ব্যাপারে ভাবা হয়েছে।

পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর কীভাবে রক্তদান শিবির কিংবা ত্রাণ সরবরাহ অথবা অন্য পন্থায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য সংঘ কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, বিশেষ মডিউলে তারও উল্লেখ থাকছে। কিন্তু স্কুলের পড়ুয়ারা কেন সংঘের ইতিহাস, সংস্কৃতির পাঠ নেবে? এটা কি সরাসরি গেরুয়াকরণের চেষ্টা নয়? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে আপ, সিপিএমের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।