ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল হামাস

- আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
- / 156
দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটির দাবি, গাজায় কোনো নিরাপত্তা শূন্যতা তৈরি হতে দেওয়া হবে না; জনগণের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস গাজায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে ইসরায়েলকে সহযোগিতা ও হামাসের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জের অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যুদ্ধবিরতির পর হামাস এখন ধীরে ধীরে প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠনে মনোযোগী। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, কিছু এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্থিরতা রুখতে গোষ্ঠীটি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির সময় তারা গাজার অভ্যন্তরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চায়।
হামাস সরকারের মুখপাত্র ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, “আমরা গাজায় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণের নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যদি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, হামাস তার অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের অধীনে সমর্পণ করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য গাজায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার, যাতে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রগঠনের প্রক্রিয়ায় গাজার স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।