২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের হরিয়ানায় আত্মঘাতী পুলিশকর্তা, ১০ দিনে তিন পুলিশকর্তা আত্মহত্যা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 201

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইপিএস পুরন কুমারের পর পর এবার আত্মঘাতী হলেন আরও এক পুলিশকর্তা। হরিয়ানায় একের পর এক পুলিশ কর্তার আত্মহত্যা নিয়ে রীতিমত চিন্তায় সরকার। জানা গিয়েছে, মৃত চল্লিশ বছর বয়সী পুলিশ কর্তার নাম কৃষ্ণ যাদব। এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই নিয়ে গত ১০ দিনে ৩ জন পুলিশকর্তা আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ আধিকারিকের বাড়ি হরিয়ানার রেওয়াড়ি জেলার জৈনবাদ গ্রামে। শুক্রবার নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোককে দায়ী করেছেন পুলিশ কর্তা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ কর্তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা দম্পতির

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিয়ানার চণ্ডীগড়ে বাড়ির বেসমেন্ট থেকে আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন বলে জানায় পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় হরিয়ানার একাধিক উচ্চপদস্থ আমলাদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। সূত্রের খবর, নিহত আইপিএস অফিসারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর, রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজর্নিয়া এবং ৩ আইএএস অফিসার-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জানা গিয়েছে, আইপিএস অফিসারের আত্মঘাতী হওয়ার দু’দিন পরে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। মূলত পূরণ কুমারকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সেখানকার ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের ১৫ কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পাক হামলা: বন্ধ স্কুল-কলেজ

নিহত আইপিএস অফিসারের স্ত্রী অনমিত পি কুমার অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে একাধিক পুলিশ অফিসার ও আমলার নামে প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন ওয়াই পূরণ কুমার। তাঁর স্বামীকে জাতপাত তুলে হেনস্থা করা হয়েছে। আত্মহত্যার আগে পূরণ কুমার যে সুইসাইড নোট লিখে যান তাতে তাঁকে জাতপাত তুলে অপমানের উল্লেখ ছিল। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর চণ্ডীগড় সেক্টর ১১-এ বাড়ির বেসমেন্ট থেকে ওয়াই পূরণ কুমারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। বাড়ির বেসমেন্টে তাঁর মেয়ে প্রথম দেহ দেখতে পান।

আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে পাক জেলে বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবী, নির্যাতনে আত্মহত্যা!

রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব অনুরাগ রাস্তোগি, অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব টিবি এসএন প্রসাদ, অবসরপ্রাপ্ত ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর, মনোজ যাদব, পিকে আগরওয়াল, সচিব কলা রামচন্দ্রন, এডিজি সন্দীপ খিরভার, অমিতাভ ঢিল্লোঁ, সঞ্জয় কুমার, মাতা রবি কিরণ, কমিশনার শিবাস কবিরাজ, আইজি পঙ্কজ নৈন, কুলবিন্দর সিংহ এবং পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজর্নিয়া।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের হরিয়ানায় আত্মঘাতী পুলিশকর্তা, ১০ দিনে তিন পুলিশকর্তা আত্মহত্যা

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইপিএস পুরন কুমারের পর পর এবার আত্মঘাতী হলেন আরও এক পুলিশকর্তা। হরিয়ানায় একের পর এক পুলিশ কর্তার আত্মহত্যা নিয়ে রীতিমত চিন্তায় সরকার। জানা গিয়েছে, মৃত চল্লিশ বছর বয়সী পুলিশ কর্তার নাম কৃষ্ণ যাদব। এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই নিয়ে গত ১০ দিনে ৩ জন পুলিশকর্তা আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ আধিকারিকের বাড়ি হরিয়ানার রেওয়াড়ি জেলার জৈনবাদ গ্রামে। শুক্রবার নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোককে দায়ী করেছেন পুলিশ কর্তা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ কর্তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা দম্পতির

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিয়ানার চণ্ডীগড়ে বাড়ির বেসমেন্ট থেকে আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন বলে জানায় পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় হরিয়ানার একাধিক উচ্চপদস্থ আমলাদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। সূত্রের খবর, নিহত আইপিএস অফিসারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর, রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজর্নিয়া এবং ৩ আইএএস অফিসার-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জানা গিয়েছে, আইপিএস অফিসারের আত্মঘাতী হওয়ার দু’দিন পরে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। মূলত পূরণ কুমারকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সেখানকার ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের ১৫ কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পাক হামলা: বন্ধ স্কুল-কলেজ

নিহত আইপিএস অফিসারের স্ত্রী অনমিত পি কুমার অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে একাধিক পুলিশ অফিসার ও আমলার নামে প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন ওয়াই পূরণ কুমার। তাঁর স্বামীকে জাতপাত তুলে হেনস্থা করা হয়েছে। আত্মহত্যার আগে পূরণ কুমার যে সুইসাইড নোট লিখে যান তাতে তাঁকে জাতপাত তুলে অপমানের উল্লেখ ছিল। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর চণ্ডীগড় সেক্টর ১১-এ বাড়ির বেসমেন্ট থেকে ওয়াই পূরণ কুমারের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। বাড়ির বেসমেন্টে তাঁর মেয়ে প্রথম দেহ দেখতে পান।

আরও পড়ুন: ৫ বছর ধরে পাক জেলে বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবী, নির্যাতনে আত্মহত্যা!

রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব অনুরাগ রাস্তোগি, অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব টিবি এসএন প্রসাদ, অবসরপ্রাপ্ত ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর, মনোজ যাদব, পিকে আগরওয়াল, সচিব কলা রামচন্দ্রন, এডিজি সন্দীপ খিরভার, অমিতাভ ঢিল্লোঁ, সঞ্জয় কুমার, মাতা রবি কিরণ, কমিশনার শিবাস কবিরাজ, আইজি পঙ্কজ নৈন, কুলবিন্দর সিংহ এবং পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজর্নিয়া।