২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ লাখ বছর পর জেগে উঠছে ইরানের ‘নিষ্ক্রিয়’ আগ্নেয়গিরি তাফতান

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 136

দীর্ঘ ৭ লাখ ১০ হাজার বছর নিস্তব্ধ থাকার পর জেগে উঠতে পারে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মাত্র ১০ মাসে আগ্নেয়গিরির চূড়ার কাছে ভূমি ৩.৫ ইঞ্চি (প্রায় ৯ সেন্টিমিটার) উঁচু হয়েছে-যা পৃষ্ঠের নিচে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে। গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের আগ্নেয়গিরিবিদ পাবলো গঞ্জালেজ বলেন, “এই পরিবর্তন দেখায়, তাফতান আগ্নেয়গিরি আর পুরোপুরি বিলুপ্ত নয়, বরং ‘সুপ্ত’ অবস্থায় আছে।”

তাফতান একটি ১২,৯২৭ ফুট উঁচু স্ট্র্যাটোভলকানো, যা ইউরেশিয়ান ও আরবীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এতে বর্তমানে সক্রিয় সালফার-নিঃসরণকারী ভেন্ট রয়েছে, যদিও মানব ইতিহাসে এর অগ্ন্যুৎপাতের কোনো রেকর্ড নেই।

২০২৩ সালে স্থানীয়রা আগ্নেয়গিরি থেকে গ্যাসীয় ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেন, যা ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল। পরবর্তীতে স্যাটেলাইট চিত্রে ভূমি উঁচু হওয়ার প্রমাণ মেলে।

গবেষকদের মতে, এই উত্থানের পেছনে থাকতে পারে ম্যাগমা বা গ্যাসের স্থানান্তর, যা ভবিষ্যতে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে তারা আশঙ্কা করছেন না যে এটি অতি দ্রুত অগ্ন্যুৎপাত ঘটাবে, বরং বলছেন,“এখনই দরকার সতর্ক নজরদারি ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৭ লাখ বছর পর জেগে উঠছে ইরানের ‘নিষ্ক্রিয়’ আগ্নেয়গিরি তাফতান

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

দীর্ঘ ৭ লাখ ১০ হাজার বছর নিস্তব্ধ থাকার পর জেগে উঠতে পারে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মাত্র ১০ মাসে আগ্নেয়গিরির চূড়ার কাছে ভূমি ৩.৫ ইঞ্চি (প্রায় ৯ সেন্টিমিটার) উঁচু হয়েছে-যা পৃষ্ঠের নিচে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে। গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের আগ্নেয়গিরিবিদ পাবলো গঞ্জালেজ বলেন, “এই পরিবর্তন দেখায়, তাফতান আগ্নেয়গিরি আর পুরোপুরি বিলুপ্ত নয়, বরং ‘সুপ্ত’ অবস্থায় আছে।”

তাফতান একটি ১২,৯২৭ ফুট উঁচু স্ট্র্যাটোভলকানো, যা ইউরেশিয়ান ও আরবীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এতে বর্তমানে সক্রিয় সালফার-নিঃসরণকারী ভেন্ট রয়েছে, যদিও মানব ইতিহাসে এর অগ্ন্যুৎপাতের কোনো রেকর্ড নেই।

২০২৩ সালে স্থানীয়রা আগ্নেয়গিরি থেকে গ্যাসীয় ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেন, যা ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল। পরবর্তীতে স্যাটেলাইট চিত্রে ভূমি উঁচু হওয়ার প্রমাণ মেলে।

গবেষকদের মতে, এই উত্থানের পেছনে থাকতে পারে ম্যাগমা বা গ্যাসের স্থানান্তর, যা ভবিষ্যতে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে তারা আশঙ্কা করছেন না যে এটি অতি দ্রুত অগ্ন্যুৎপাত ঘটাবে, বরং বলছেন,“এখনই দরকার সতর্ক নজরদারি ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ।”