০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

SIR আতঙ্কে মারা গেলেন হাসিনা!

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 281

 

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি:

পানিহাটি, টিটাগড়, ইলামবাজার ও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পর এবার হুগলির ডানকুনিতে এসআইআর আতঙ্কে মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ। জানা গেছে, মৃতের নাম হাসিনা বেগম(৬০)। ওই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, মৃত হাসিনা বেগম ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে তিনি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুলপল্লিতে তার মেয়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি ওই এলাকায় এসআইআর সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোন কারনে হাসিনা বেগমের নাম ছিল না বলে পরিবারের দাবি। বিষয়টি জানার পর হাসিনা বেগম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত চিন্তায় বাড়তে থাকে প্রচন্ড মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।
জানা গেছে, হাসিনা ওই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। সপরিবার থাকেন। পরিবারের দাবি, মানসিক চাপে তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। আর সেই আতঙ্ক ও মানসিক চাপে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা হাসিনা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অভিযোগ করে বলেছেন, “এই এসআইআর নিয়ে বিজেপি প্যানিক তৈরি করেছে। অর্থাৎ ধরে বের করে দেব, নাম কেটে দেব, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব। এই চাপে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কেউ আত্মহত্যা করছেন। কেউ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন। কেউ উদ্বেগজনিত চাপে হৃদ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করছি। এই যে বিপদজনক দিকে আমজনতাকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও তাদের দ্বারা পরিচালিত জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক চক্রান্তের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা করছি।”
হাসিনা বেগমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে হাসিনা বেগমদের বাড়িতে দ্রুত ছুটে যান ডানকুনি পুরসভার চেয়ারম্যান হাসিনা শবনম। হাসিনা শবনমের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় হাসিনা বেগমের নাম নেই। সেই খবর জানার পর থেকেই তিনি আতঙ্কে ভুগছিলেন। আর তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসিনা বেগমের মৃত্যু হয়। শুধু ওই মহিলাই নন, এসআইআর আতঙ্কে আরও একজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন হাসিনা শবনম।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

SIR আতঙ্কে মারা গেলেন হাসিনা!

আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার

 

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি:

পানিহাটি, টিটাগড়, ইলামবাজার ও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পর এবার হুগলির ডানকুনিতে এসআইআর আতঙ্কে মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ। জানা গেছে, মৃতের নাম হাসিনা বেগম(৬০)। ওই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, মৃত হাসিনা বেগম ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে তিনি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুলপল্লিতে তার মেয়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি ওই এলাকায় এসআইআর সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোন কারনে হাসিনা বেগমের নাম ছিল না বলে পরিবারের দাবি। বিষয়টি জানার পর হাসিনা বেগম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত চিন্তায় বাড়তে থাকে প্রচন্ড মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।
জানা গেছে, হাসিনা ওই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। সপরিবার থাকেন। পরিবারের দাবি, মানসিক চাপে তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। আর সেই আতঙ্ক ও মানসিক চাপে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা হাসিনা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অভিযোগ করে বলেছেন, “এই এসআইআর নিয়ে বিজেপি প্যানিক তৈরি করেছে। অর্থাৎ ধরে বের করে দেব, নাম কেটে দেব, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব। এই চাপে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কেউ আত্মহত্যা করছেন। কেউ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন। কেউ উদ্বেগজনিত চাপে হৃদ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করছি। এই যে বিপদজনক দিকে আমজনতাকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও তাদের দ্বারা পরিচালিত জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক চক্রান্তের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা করছি।”
হাসিনা বেগমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে হাসিনা বেগমদের বাড়িতে দ্রুত ছুটে যান ডানকুনি পুরসভার চেয়ারম্যান হাসিনা শবনম। হাসিনা শবনমের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় হাসিনা বেগমের নাম নেই। সেই খবর জানার পর থেকেই তিনি আতঙ্কে ভুগছিলেন। আর তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসিনা বেগমের মৃত্যু হয়। শুধু ওই মহিলাই নন, এসআইআর আতঙ্কে আরও একজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন হাসিনা শবনম।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।