২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষককে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এএমইউ জুড়ে

উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) ক্যাম্পাসে বুধবার রাতে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হলো এক শিক্ষককে। নিহত শিক্ষকের নাম রাও দানিশ আলী (৪৫)। তিনি এএমইউ-র অধীন এবিকে হাই স্কুলের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে ৯টা থেকে ৯টার মধ্যে দানিশ আলী দুই বন্ধুর সঙ্গে লাইব্রেরির ক্যান্টিনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্কুটারে করে আসা দুই মুখোশধারী দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। অভিযোগ, হামলাকারীদের একজন দানিশের সঙ্গে কথা বলার পর খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে, ফলে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত অবস্থায় তাঁকে জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সিনিয়র পুলিশ সুপার নীরজ জাদন জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তদন্ত চলছে।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষককে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এএমইউ জুড়ে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষককে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এএমইউ জুড়ে

আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার

উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) ক্যাম্পাসে বুধবার রাতে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হলো এক শিক্ষককে। নিহত শিক্ষকের নাম রাও দানিশ আলী (৪৫)। তিনি এএমইউ-র অধীন এবিকে হাই স্কুলের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে ৯টা থেকে ৯টার মধ্যে দানিশ আলী দুই বন্ধুর সঙ্গে লাইব্রেরির ক্যান্টিনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্কুটারে করে আসা দুই মুখোশধারী দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। অভিযোগ, হামলাকারীদের একজন দানিশের সঙ্গে কথা বলার পর খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে, ফলে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত অবস্থায় তাঁকে জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সিনিয়র পুলিশ সুপার নীরজ জাদন জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তদন্ত চলছে।