২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজাব বিতর্কে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, তদন্ত চলাকালীন ইংরেজি বিভাগের প্রধানের অপসারণ চেয়ে পড়ুয়াদের দাবি

 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বিতর্ক ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল। বিতর্কের তদন্ত চলাকালীন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা। শুধু অপসারণই নয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে কার্যনির্বাহী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধানকে পরীক্ষার ইনভিজিলেশন ও ই–ভ্যালুয়েশন (মূল্যায়ন) প্রক্রিয়া থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার দাবি ওঠে।
শুক্রবার শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অনলাইন বৈঠকে পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। বৈঠকে ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিভাগীয় প্রধান ওই বৈঠকে অংশ নেননি। তৃতীয় বর্ষের সমস্ত পড়ুয়া এবং অন্যান্য বর্ষ থেকে পাঁচ জন করে প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেন। অভিযোগকারী দুই ছাত্রীও বৈঠকে ছিলেন এবং তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, ক্যাম্পাস ও বিভাগে আগে কখনও এমন নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেননি।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নবান্ন থেকেও বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের ফুল বেঞ্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপাচার্য জানান, তদন্ত কমিটি ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পড়ুয়াদের তরফে মোট চারটি দাবি তোলা হয়েছে, যার অন্যতম হল— ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর ক্যাম্পাসে না ঘটে এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পড়ুয়াদের জানানো হয়।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

নববর্ষের আগে ‘অপারেশন আঘাত’, দিল্লি জুড়ে তল্লাশি ও ধরপাকড়ে গ্রেপ্তার শতাধিক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিজাব বিতর্কে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, তদন্ত চলাকালীন ইংরেজি বিভাগের প্রধানের অপসারণ চেয়ে পড়ুয়াদের দাবি

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার

 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বিতর্ক ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল। বিতর্কের তদন্ত চলাকালীন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা। শুধু অপসারণই নয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে কার্যনির্বাহী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধানকে পরীক্ষার ইনভিজিলেশন ও ই–ভ্যালুয়েশন (মূল্যায়ন) প্রক্রিয়া থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার দাবি ওঠে।
শুক্রবার শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অনলাইন বৈঠকে পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। বৈঠকে ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিভাগীয় প্রধান ওই বৈঠকে অংশ নেননি। তৃতীয় বর্ষের সমস্ত পড়ুয়া এবং অন্যান্য বর্ষ থেকে পাঁচ জন করে প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেন। অভিযোগকারী দুই ছাত্রীও বৈঠকে ছিলেন এবং তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, ক্যাম্পাস ও বিভাগে আগে কখনও এমন নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেননি।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নবান্ন থেকেও বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের ফুল বেঞ্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপাচার্য জানান, তদন্ত কমিটি ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পড়ুয়াদের তরফে মোট চারটি দাবি তোলা হয়েছে, যার অন্যতম হল— ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর ক্যাম্পাসে না ঘটে এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পড়ুয়াদের জানানো হয়।