২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি নাকচ করল বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ

 

বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে। রবিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুলিশ দাবি করে, হাদি হত্যা মামলার অভিযুক্তরা মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। এই দাবিকে ঘিরে দুই দেশেই চাঞ্চল্য ছড়ালেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা স্পষ্টভাবে নস্যাৎ করে দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এন এন মহম্মদ নজরুল ইসলাম দাবি করেন, অভিযুক্ত ফয়সল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে মেঘালয়ের তুরা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিএসএফ (মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার)-এর আইজি ওপি উপাধ্যায় এই দাবি ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর কথায়, সীমান্তে এমন কোনও অনুপ্রবেশের প্রমাণ নেই।
মেঘালয় পুলিশের শীর্ষ কর্তৃপক্ষও জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি এবং অভিযুক্তদের উপস্থিতি বা গ্রেপ্তারের কোনও তথ্য নেই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

হাদি হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি নাকচ করল বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাদি হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি নাকচ করল বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার

 

বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে। রবিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুলিশ দাবি করে, হাদি হত্যা মামলার অভিযুক্তরা মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। এই দাবিকে ঘিরে দুই দেশেই চাঞ্চল্য ছড়ালেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা স্পষ্টভাবে নস্যাৎ করে দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এন এন মহম্মদ নজরুল ইসলাম দাবি করেন, অভিযুক্ত ফয়সল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে মেঘালয়ের তুরা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিএসএফ (মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার)-এর আইজি ওপি উপাধ্যায় এই দাবি ‘ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর কথায়, সীমান্তে এমন কোনও অনুপ্রবেশের প্রমাণ নেই।
মেঘালয় পুলিশের শীর্ষ কর্তৃপক্ষও জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি এবং অভিযুক্তদের উপস্থিতি বা গ্রেপ্তারের কোনও তথ্য নেই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।