৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওড়িশার পর অসমেও বাঙালি নিগ্রহ, প্রশ্নের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য

 

ওড়িশার পর এবার বিজেপি-শাসিত অসমেও বাংলাভাষী ফেরিওয়ালা নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে অসমের কাছাড় জেলার শিলচর শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় মুর্শিদাবাদের সূতির নুরপুরের বাসিন্দা রিঙ্কু শেখকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করা হয়। অভিযোগ, তাঁর বাংলা উচ্চারণ শুনে কয়েকজন যুবক তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে নির্মমভাবে আক্রমণ করে।
রিঙ্কু শেখ জানান, সিভিল হাসপাতাল ট্রাফিক পয়েন্টের কাছে দু’জন ব্যক্তি প্রথমে তাঁকে দাঁড় করিয়ে “বাংলাদেশি ধরা পড়েছে” বলে চিৎকার শুরু করে। পরিচয় জানতে চেয়ে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। বাড়ি মুর্শিদাবাদ বলতেই তাঁকে বাংলাদেশি বলে আখ্যা দেওয়া হয়। মুহূর্তে আরও লোক জড়ো হয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে তাঁকে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে। অভিযোগ, তাঁর বাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলে পালাতে বাধ্য হন তিনি। রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
একই ধরনের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ায়ও। সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম সেখানে হকারি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন। তাঁকে জোর করে ধর্মীয় স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয় এবং এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ভাষা ও ধর্মের নামে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর বারবার হামলা হলেও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। বিরোধীদের মতে, ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের রাজ্যগুলিতেই এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওড়িশার পর অসমেও বাঙালি নিগ্রহ, প্রশ্নের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

 

ওড়িশার পর এবার বিজেপি-শাসিত অসমেও বাংলাভাষী ফেরিওয়ালা নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে অসমের কাছাড় জেলার শিলচর শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় মুর্শিদাবাদের সূতির নুরপুরের বাসিন্দা রিঙ্কু শেখকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করা হয়। অভিযোগ, তাঁর বাংলা উচ্চারণ শুনে কয়েকজন যুবক তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে নির্মমভাবে আক্রমণ করে।
রিঙ্কু শেখ জানান, সিভিল হাসপাতাল ট্রাফিক পয়েন্টের কাছে দু’জন ব্যক্তি প্রথমে তাঁকে দাঁড় করিয়ে “বাংলাদেশি ধরা পড়েছে” বলে চিৎকার শুরু করে। পরিচয় জানতে চেয়ে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। বাড়ি মুর্শিদাবাদ বলতেই তাঁকে বাংলাদেশি বলে আখ্যা দেওয়া হয়। মুহূর্তে আরও লোক জড়ো হয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে তাঁকে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে। অভিযোগ, তাঁর বাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলে পালাতে বাধ্য হন তিনি। রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
একই ধরনের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ায়ও। সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম সেখানে হকারি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন। তাঁকে জোর করে ধর্মীয় স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয় এবং এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ভাষা ও ধর্মের নামে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর বারবার হামলা হলেও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। বিরোধীদের মতে, ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের রাজ্যগুলিতেই এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে