০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৃশংস! চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে খুন নাজিমুদ্দিনকে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 10

পুবের কলম প্রতিবেদক– নদিয়া ও বহরমপুর:­ এক বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের ব্যাগ চুরি হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হল বছর পঁচিশের তরতাজা যুবক নাজিমুদ্দিনকে। চলন্ত ট্রেন থেকে নামিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নিত্যযাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ– দেবগ্রাম স্টেশনে ছানা ব্যবসায়ীরা ওই যুবককে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে মারধর শুরু করে এবং ফের ট্রেন চলতে শুরু করলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে লাইনে ফেলে দেয়। ট্রেনে কাটা পড়ে দু’টুকরো হয়ে যায় নাজিমুদ্দিনের দেহ। নৃশংস এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার দেবগ্রামে।

 

জানা গেছে, দেবগ্রাম রেলস্টেশনের কাছে লাইনের ওপর বীভৎস অবস্থায় উদ্ধার হয় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার এক যুবকের দেহ। মৃতের নাম নাজিমুদ্দিন শেখ (২৫)। রেললাইনের দু’পাশে তাঁর দেহের দুটি টুকরো পড়েছিল। মাথা থেকে বুক পর্যন্ত পড়ে রয়েছে একদিকে। অপরদিকে উলটো হয়ে পড়ে রয়েছে কোমর থেকে দেহের বাকি নীচের অংশ। মাঝখান থেকে কাটা!

 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে– নাজিমুদ্দিন পেশায় স্কুল ভ্যানের চালক। সম্প্রতি তিনি হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। সোমবার তিনি ট্রেন-পথে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরার দুশ্চিন্তা বাড়ে। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার দেবগ্রাম স্টেশনের রেললাইনের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

 

নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনের থেকে খবর নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন– ট্রেনে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন নাজিমুদ্দিন। তাঁকে কয়েকজন মারধর করেন। দেবগ্রাম স্টেশনে ট্রেন এলে ছানা ব্যবসায়ীরা তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।

 

নাজিমুদ্দিনের ভাই আতিউর রহমানের অভিযোগ যাদের সঙ্গে বচসাই জড়িয়েছিলেন নাজিমুদ্দিন– তারা ছানা ব্যবসায়ী। ওই ছানা ব্যবসায়ীদের বাড়ি দেবগ্রামে। তিনি জানান– ট্রেনে এক বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের একটি ব্যাগ হারিয়ে যায়। ওই সময় বৃদ্ধা কান্নাকাটি শুরু করলে তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন নাজিমুদ্দিন। এক ছানা ব্যবসায়ীর দুধের ক্যান থেকে ওই বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের ব্যাগটি উদ্ধার করে দেন তিনি। এর পরই আরও বাক্-বিতণ্ডা শুরু হয় নিজামুদ্দিনের সঙ্গে। শেষমেশ ট্রেনটি দেবগ্রাম স্টেশনে এলে ছানা ব্যবসায়ীরা নিজামুদ্দিনকে মারতে মারতে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেয়। এর পর ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে ওই সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের তলায় ফেলে দেয় বলে আতিউর রহমান অভিযোগ করেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নৃশংস! চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে খুন নাজিমুদ্দিনকে

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক– নদিয়া ও বহরমপুর:­ এক বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের ব্যাগ চুরি হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হল বছর পঁচিশের তরতাজা যুবক নাজিমুদ্দিনকে। চলন্ত ট্রেন থেকে নামিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নিত্যযাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ– দেবগ্রাম স্টেশনে ছানা ব্যবসায়ীরা ওই যুবককে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে মারধর শুরু করে এবং ফের ট্রেন চলতে শুরু করলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে লাইনে ফেলে দেয়। ট্রেনে কাটা পড়ে দু’টুকরো হয়ে যায় নাজিমুদ্দিনের দেহ। নৃশংস এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার দেবগ্রামে।

 

জানা গেছে, দেবগ্রাম রেলস্টেশনের কাছে লাইনের ওপর বীভৎস অবস্থায় উদ্ধার হয় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার এক যুবকের দেহ। মৃতের নাম নাজিমুদ্দিন শেখ (২৫)। রেললাইনের দু’পাশে তাঁর দেহের দুটি টুকরো পড়েছিল। মাথা থেকে বুক পর্যন্ত পড়ে রয়েছে একদিকে। অপরদিকে উলটো হয়ে পড়ে রয়েছে কোমর থেকে দেহের বাকি নীচের অংশ। মাঝখান থেকে কাটা!

 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে– নাজিমুদ্দিন পেশায় স্কুল ভ্যানের চালক। সম্প্রতি তিনি হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। সোমবার তিনি ট্রেন-পথে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরার দুশ্চিন্তা বাড়ে। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার দেবগ্রাম স্টেশনের রেললাইনের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

 

নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনের থেকে খবর নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন– ট্রেনে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন নাজিমুদ্দিন। তাঁকে কয়েকজন মারধর করেন। দেবগ্রাম স্টেশনে ট্রেন এলে ছানা ব্যবসায়ীরা তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।

 

নাজিমুদ্দিনের ভাই আতিউর রহমানের অভিযোগ যাদের সঙ্গে বচসাই জড়িয়েছিলেন নাজিমুদ্দিন– তারা ছানা ব্যবসায়ী। ওই ছানা ব্যবসায়ীদের বাড়ি দেবগ্রামে। তিনি জানান– ট্রেনে এক বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের একটি ব্যাগ হারিয়ে যায়। ওই সময় বৃদ্ধা কান্নাকাটি শুরু করলে তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন নাজিমুদ্দিন। এক ছানা ব্যবসায়ীর দুধের ক্যান থেকে ওই বৃদ্ধার ক্যাপসিকামের ব্যাগটি উদ্ধার করে দেন তিনি। এর পরই আরও বাক্-বিতণ্ডা শুরু হয় নিজামুদ্দিনের সঙ্গে। শেষমেশ ট্রেনটি দেবগ্রাম স্টেশনে এলে ছানা ব্যবসায়ীরা নিজামুদ্দিনকে মারতে মারতে ট্রেন থেকে নামিয়ে নেয়। এর পর ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে ওই সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের তলায় ফেলে দেয় বলে আতিউর রহমান অভিযোগ করেন।