১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়াত অলিম্পিক সোনা জয়ী হকি দলের অধিনায়ক চরণজিৎ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 28

পুবের কলম প্রতিবেদক ঃ প্রয়াত হলেন ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক চরণজিৎ সিং।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন চরণজিৎ। দীর্ঘ দিন রোগ ভোগের  পরে হিমাচল প্রদেশের উনায় নিজের বাড়িতে বৃহস্পতিবার  তিনি মারা যান। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ১২ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।

বছর পাঁচেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন  চরণজিৎ। তখন থেকেই তাঁর কর্মক্ষমতা চলে  যায়। তাঁর ছোট ছেলে ভিপি সিং জানিয়েছেন– ‘পাঁচ বছর আগে বাবার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকে বাবা সেভাবে নড়াচড়া করতে পারতেন না। আগে তবুও লাঠি নিয়ে অল্পসল্প হাঁটাচলা করতে পারতেন– তবে গত দু’মাস ধরে তাঁর শরীর খুবই  খারাপ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে  তিনি প্রয়াত  হন।’ চরণজিতের বড় ছেলে কানাডায় ডাক্তারি করেন।

১৯৬৪ সালে অলিম্পিকে হকির সোনা জয় ছাড়াও– তার আগের অলিম্পিকে অর্থাৎ ১৯৬০ সালে রোমে রুপোজয়ী দলের সদস্য ছিলেন চরণজিৎ। ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী দলেও ছিলেন তিনি।

গতবছর টোকিও অলিম্পিকের আগে হকি ইন্ডিয়ার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে চরণজিৎ বলেন– ‘সেই সময় ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দলই দারুণ শক্তিশালী ছিল। ওদের  বিরুদ্ধে খেলা  বরাবরই কঠিন ছিল। অলিম্পিকের ফাইনালে দিন আমি সতীর্থদের বলেছিলাম– সময় নষ্ট না করে খেলায়  মনোনিবেশ করতে। ফাইনালে আমরা দুর্দান্ত খেলে সোনা জিতেছিলাম।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রয়াত অলিম্পিক সোনা জয়ী হকি দলের অধিনায়ক চরণজিৎ

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক ঃ প্রয়াত হলেন ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক চরণজিৎ সিং।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন চরণজিৎ। দীর্ঘ দিন রোগ ভোগের  পরে হিমাচল প্রদেশের উনায় নিজের বাড়িতে বৃহস্পতিবার  তিনি মারা যান। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ১২ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।

বছর পাঁচেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন  চরণজিৎ। তখন থেকেই তাঁর কর্মক্ষমতা চলে  যায়। তাঁর ছোট ছেলে ভিপি সিং জানিয়েছেন– ‘পাঁচ বছর আগে বাবার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকে বাবা সেভাবে নড়াচড়া করতে পারতেন না। আগে তবুও লাঠি নিয়ে অল্পসল্প হাঁটাচলা করতে পারতেন– তবে গত দু’মাস ধরে তাঁর শরীর খুবই  খারাপ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে  তিনি প্রয়াত  হন।’ চরণজিতের বড় ছেলে কানাডায় ডাক্তারি করেন।

১৯৬৪ সালে অলিম্পিকে হকির সোনা জয় ছাড়াও– তার আগের অলিম্পিকে অর্থাৎ ১৯৬০ সালে রোমে রুপোজয়ী দলের সদস্য ছিলেন চরণজিৎ। ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী দলেও ছিলেন তিনি।

গতবছর টোকিও অলিম্পিকের আগে হকি ইন্ডিয়ার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে চরণজিৎ বলেন– ‘সেই সময় ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দলই দারুণ শক্তিশালী ছিল। ওদের  বিরুদ্ধে খেলা  বরাবরই কঠিন ছিল। অলিম্পিকের ফাইনালে দিন আমি সতীর্থদের বলেছিলাম– সময় নষ্ট না করে খেলায়  মনোনিবেশ করতে। ফাইনালে আমরা দুর্দান্ত খেলে সোনা জিতেছিলাম।’