রেবাউল মণ্ডলঃ করিমপুর রসুনের দাম না পাওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন করিমপুরের রসুন চাষিরা। চড়া দামে সার কিনে চাষ করলেও এখন দাম চলতি বাজারে কুইন্টাল প্রতি দু’হাজার টাকায় রসুন বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা, খরচই উঠছে না বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। নদিয়ার করিমপুর-১ ও ২ ব্লকের কানাইখালি, গড়াইমারি, খানজিপুর, গোয়াস, কাঁঠালিয়া, নন্দনপুর , নাজিরপুর, বার্বাকপুর, থানারপাড়া প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর ভাল প্রজাতির রসুন চাষ হয়। এখানকার লরি লরি রসুন পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যেও। চাষিদের আক্ষেপ, এ বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দরুণ রসুনের ফলনও তেমন হয়নি। এমনিতেই দাম কম, তার উপর ফেটে যাওয়া রসুনগুলির বিক্রি নেই। ফলে অন্যের জমি চুক্তিতে চাষ করা চাষিদের দুর্ভোগ বেড়েছে। থানারপাড়ার ভাগ চাষি ভাদু মণ্ডল ১৫ হাজার টাকায় জমি নিয়ে এক বিঘে রসুন লাগিয়েছিলেন।

তার কথায়, ‘২ হাজার টাকায় রসুন বেঁচলে ১৫ কুইন্টাল রসুনের দাম পাব ৩০ হাজার টাকা। জমিতে খরচ করেছি ২৫ হাজার। চাষের খরচ উঠতেই গা-বাধা। জমির মালিককে এবার ঘর থেকে টাকা দিতে হবে। এভাবে কি চাষি বাঁচে!’গমাখালির ব্যবসায়ী নাজিবুল বিশ্বাসের কথায়, ‘কলকাতার বাজার এখন কুইন্টাল প্রতি ২০০০-২২০০ টাকা। তার চেয়েও দু-একশ টাকা বেশি দিয়ে চাষিদের থেকে কাঁচা রসুন কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আগামীতে বাজার যদি না বাড়ে তাহলে আমাদের ভিটে-মাটি বিক্রি ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’