ডিমের দামে আগুন, পোল্ট্রি ৭, দেশি ১২
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বড় দিন আসতে দেরি। তার আগে বাজার ধরতে মরিয়া কেক প্রস্তুতকারীরা। এদিকে শীত এখনও জমিয়ে পড়েনি। তার আগে ডিমের দামে আগুন।
মাঝে কমে ডিমের দাম ৬ টাকা হয়েছিল। ব্রয়লার অর্থাৎ পোলট্রির ডিমের দাম ডিসেম্বরের শুরুতেই ৭ টাকা। আর দেশী মুরগির ডিম ১২ টাকা! এখন দিন দশেক পর বাজারে ডিমের যোগানে ভাঁটা পড়বে। কারণ তখন পোলট্রি বা হ্যাচারি থেকে সরাসরি ডিম চলে যাবে বিভিন্ন বেকারিতে, বড়দিনে আকাশ ছোঁয়া কেকের চাহিদা মেটাতে। তাই প্রতিবার ডিসেম্বরে ডিমের দাম এমনিতেই চড়া থাকে। কিন্তু সেই চড়া দাম ক্রেতাকে চোকাতে হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে। এবার মাসের শুরুতেই সেই দাম বেড়ে যাওয়ায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ।
দেশে ডিমের দামের নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি আজ সকালে ডিমের দামের যে পাইকারি তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে কলকাতায় ১০০ পিস ডিমের পাইকারি দাম ৫৮৫ টাকা। অর্থাৎ একটি ডিমের পাইকারি দাম ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এক্ষেত্রে হিসেব মতো পরিবহণ ও আনুষঙ্গিক খরচ এবং বিক্রেতার মুনাফা ধরে শহরের খুচরো বাজারে ডিমের দাম হওয়া উচিৎ সাড়ে ৬ টাকা। কিন্তু বাজারে ৫০ পয়সার পাট চুকেছে বছর তিনেক আগেই। তাই সাড়ে ৬ টাকা দাম ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে ডিম প্রতি গাঁট থেকে খসাতে হবে ৭ টাকা।
শীতকাল মানেই জমিয়ে খাওয়ার সময়। অনেকেই ভাবেন শীতকালে একটু মন ভরে ডিম খাবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছায় বাদ সাধল অতিরিক্ত দাম। একেবারে হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমের দাম সাড়ে ৬টাকায় গিয়ে পৌঁচেছে। তবে সেই ডিমের সাইজও যথেষ্ট ছোট। ডিমের দাম বৃদ্ধির জেরে কার্যত মাথায় হাত সাধারণ মধ্যবিত্তের।
এদিকে ন্যাশানাল এগ কো অর্ডিনেশন কমিটি ডিমের দামের নিয়ামক সংস্থা। তারাই ডিমের দাম নির্ধারন করে। তারা ডিমের দামের পাইকারি বিক্রির তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় প্রতি ১০০ পিস ডিমের দাম ৫৮৫টাকা। তাহলে একটি ডিমের পাইকারি দাম যাচ্ছে ৫টা ৮৫ পয়সা। আর সেই ডিমই দোকানে খুচরো বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬টাকা থেকে ৭টাকা। তপসিয়ার এক দোকানে ডিম কিনতে আসা সাজিদুর রহমানের কথায়, ডিমের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে ডিম খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। জাঁকিয়ে শীত পড়লে ডিমের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ডিমের দামের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।