২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদিনের টানা ভারত বনধে বিপর্যস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 46

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বনধের প্রভাব পড়ল ব্যাঙ্কিং পরিষেবায়। আটকে গেল কয়েক কোটি টাকার চেক ক্লিয়ারেন্স থেকে লেনদেন। বন্ধ এটিএম পরিষেবাও। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দুই দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। আর ভুক্তভোগী হতে হল গ্রাহকদের। আজ বনধের দ্বিতীয়দিনেও অচল থাকল এই পরিষেবা।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (এআইবিইএ) সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটাচালাম বলেন, ‘আমাদের রিপোর্ট অনুযায়ী চেন্নাইয়ের সাউদার্ন গ্রিডে সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ৬ লক্ষ চেক ক্লিয়ারেন্সের জন্য পাঠানো যায়নি। কারণ ধর্মঘটের কারণে শাখাগুলি কাজ করেনি।” জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রায় ২০ লক্ষ চেক ক্লিয়ার করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন ভেঙ্কটাচালাম।

আরও পড়ুন: China’s foreign minister: সীমান্ত নিয়ে আলোচনায় ভারতে আসছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী

সারা দেশ জুড়ে ২৮ ও ২৯ মার্চ ট্রেড ইউনিয়নগুলি ও  সর্বভারতীয় কর্মচারী ফেডারেশন-এর যৌথ মঞ্চ ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে সারা ভারতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।  সিআইটিইউ-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এই ধর্মঘটের কারণগুলি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, গোটা দেশের সাধারণ মানুষ মূল্যবৃদ্ধির তীব্র যন্ত্রণায় জর্জরিত। পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। বরং তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। যার ফলে প্রতিটি মানুষের আর্থিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। সারা দেশে বেকার সমস্যা তীব্র হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যাগুলির সমাধানে বাজেটে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কোনও অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও নেই।  অনাদি সাহু আরও বলেন, এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে ১০ লক্ষ পদ শূন্য। রেলে লক্ষ লক্ষ পদ শূন্য। অথচ বেকারদের কর্মসংস্থানের কোনও উদ্যোগ নেই। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া মানুষেরাও এখনও কাজ ফিরে পায়নি। যার ফলে গোটা দেশজুড়ে এখনও কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন। এই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তার পরিবর্তে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হার ও স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমিয়ে দিচ্ছে। মানুষ কিভাবে বাঁচবে বলে প্রশ্ন তোলেন সিআইটিইউ-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু।

আরও পড়ুন: ভারতে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক নাও চাপতে পারে, ইঙ্গিত ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুদিনের টানা ভারত বনধে বিপর্যস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বনধের প্রভাব পড়ল ব্যাঙ্কিং পরিষেবায়। আটকে গেল কয়েক কোটি টাকার চেক ক্লিয়ারেন্স থেকে লেনদেন। বন্ধ এটিএম পরিষেবাও। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দুই দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। আর ভুক্তভোগী হতে হল গ্রাহকদের। আজ বনধের দ্বিতীয়দিনেও অচল থাকল এই পরিষেবা।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (এআইবিইএ) সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটাচালাম বলেন, ‘আমাদের রিপোর্ট অনুযায়ী চেন্নাইয়ের সাউদার্ন গ্রিডে সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ৬ লক্ষ চেক ক্লিয়ারেন্সের জন্য পাঠানো যায়নি। কারণ ধর্মঘটের কারণে শাখাগুলি কাজ করেনি।” জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রায় ২০ লক্ষ চেক ক্লিয়ার করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন ভেঙ্কটাচালাম।

আরও পড়ুন: China’s foreign minister: সীমান্ত নিয়ে আলোচনায় ভারতে আসছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী

সারা দেশ জুড়ে ২৮ ও ২৯ মার্চ ট্রেড ইউনিয়নগুলি ও  সর্বভারতীয় কর্মচারী ফেডারেশন-এর যৌথ মঞ্চ ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে সারা ভারতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়।  সিআইটিইউ-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এই ধর্মঘটের কারণগুলি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, গোটা দেশের সাধারণ মানুষ মূল্যবৃদ্ধির তীব্র যন্ত্রণায় জর্জরিত। পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। বরং তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। যার ফলে প্রতিটি মানুষের আর্থিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। সারা দেশে বেকার সমস্যা তীব্র হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যাগুলির সমাধানে বাজেটে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কোনও অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও নেই।  অনাদি সাহু আরও বলেন, এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে ১০ লক্ষ পদ শূন্য। রেলে লক্ষ লক্ষ পদ শূন্য। অথচ বেকারদের কর্মসংস্থানের কোনও উদ্যোগ নেই। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া মানুষেরাও এখনও কাজ ফিরে পায়নি। যার ফলে গোটা দেশজুড়ে এখনও কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন। এই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তার পরিবর্তে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের হার ও স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমিয়ে দিচ্ছে। মানুষ কিভাবে বাঁচবে বলে প্রশ্ন তোলেন সিআইটিইউ-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু।

আরও পড়ুন: ভারতে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক নাও চাপতে পারে, ইঙ্গিত ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট