০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশু মেলায় অশ্লীল নাচের অনুষ্ঠান, মান্দসৌরের মুখ্য পৌর আধিকারিককে বরখাস্ত করল মধ্যপ্রদেশ সরকার

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১০ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 13

Representative image

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মন্দসৌরের সাসপেন্ড মান্দসৌরের মুখ্য পৌর আধিকারিককে বরখাস্ত করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার এই খবর জানানো হয়েছে। স্থানীয় মেলায় এক মহিলার অশ্লীল নৃত্যপ্রদর্শনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকার কারনেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই পুর প্রধানকে। এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের এক আধিকারিক।

 

আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদে’ সম্মতি কেন? হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষকোর্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার

মন্দসৌর জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০  কিলোমিটার দূরে শামগড় শহরে ‘মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবী মেলা’ চলাকালীন রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই  নৃত্য অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে  ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন: হিন্দিতে এমবিবিএস চালু করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার, কিন্তু ভালো পাঠ্যবই কোথায়, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে যে মহিলা নৃত্য প্রর্দশন করছেন তার পিছনে দেখা যাচ্ছে একটি ব্যানার তাতে রয়েছে ব্যানারে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হরদীপ সিং ডাং এবং মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবীর ছবি। এই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পরেই  শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আরও পড়ুন: খারগোন সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থদের কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ সরকার

ঘটনার পর, ডাং রাজ্যের পুরনগরোন্নয়ন  মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংকে একটি চিঠি লিখে মান্দসৌরের প্রধান পৌর কর্মকর্তা নাসির আলি খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন  “এই ধরণের অনুষ্ঠান  মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে”।

মন্দসৌর জেলা কালেক্টরকে অবিলম্বে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে উজ্জয়নির ডিভিশনাল কমিশনার সন্দীপ যাদভ  নাশির আলি খানের সাসপেনসনের কথা জানান।

ওই পৌর আধকারিক কে বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে “যে মঞ্চে ওই  অশ্লীল নাচের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবী এবং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রধান পৌর কর্মকর্তা, নাসির আলি খান, কোন কিছু না জেনেই জেনেই অবাধে অনুমতি দিয়েছিলেন। ধর্মীয় ভাবাবেগের  পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তীও এর ফলে নষ্ট হয়েছে। (

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশু মেলায় অশ্লীল নাচের অনুষ্ঠান, মান্দসৌরের মুখ্য পৌর আধিকারিককে বরখাস্ত করল মধ্যপ্রদেশ সরকার

আপডেট : ১০ মে ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মন্দসৌরের সাসপেন্ড মান্দসৌরের মুখ্য পৌর আধিকারিককে বরখাস্ত করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার এই খবর জানানো হয়েছে। স্থানীয় মেলায় এক মহিলার অশ্লীল নৃত্যপ্রদর্শনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকার কারনেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই পুর প্রধানকে। এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের এক আধিকারিক।

 

আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদে’ সম্মতি কেন? হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষকোর্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার

মন্দসৌর জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০  কিলোমিটার দূরে শামগড় শহরে ‘মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবী মেলা’ চলাকালীন রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই  নৃত্য অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে  ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন: হিন্দিতে এমবিবিএস চালু করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার, কিন্তু ভালো পাঠ্যবই কোথায়, প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে যে মহিলা নৃত্য প্রর্দশন করছেন তার পিছনে দেখা যাচ্ছে একটি ব্যানার তাতে রয়েছে ব্যানারে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হরদীপ সিং ডাং এবং মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবীর ছবি। এই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পরেই  শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আরও পড়ুন: খারগোন সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থদের কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ সরকার

ঘটনার পর, ডাং রাজ্যের পুরনগরোন্নয়ন  মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংকে একটি চিঠি লিখে মান্দসৌরের প্রধান পৌর কর্মকর্তা নাসির আলি খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন  “এই ধরণের অনুষ্ঠান  মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে”।

মন্দসৌর জেলা কালেক্টরকে অবিলম্বে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে উজ্জয়নির ডিভিশনাল কমিশনার সন্দীপ যাদভ  নাশির আলি খানের সাসপেনসনের কথা জানান।

ওই পৌর আধকারিক কে বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে “যে মঞ্চে ওই  অশ্লীল নাচের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে মা মহিষাসুর মর্দিনী দেবী এবং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রধান পৌর কর্মকর্তা, নাসির আলি খান, কোন কিছু না জেনেই জেনেই অবাধে অনুমতি দিয়েছিলেন। ধর্মীয় ভাবাবেগের  পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তীও এর ফলে নষ্ট হয়েছে। (