০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের ৬৯টি দেশ, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার
  • / 90

বিশেষ প্রতিবেদন: বিশ্বের এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে সরকারের কাজে খুশি নয় আমজনতা।

অর্থনৈতিক সংকটে রুজি-রুটি হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনী সামগ্রীর দাম বাড়ায় জীবনযাপন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এরকম অসহায় ও বেহাল দেশের কথা ভাবলে শ্রীলঙ্কার কথা মনে আসবে। তবে বিশ্বের আরও ৬৯টি এমন দেশ রয়েছে যেগুলির অবস্থা ঠিক শ্রীলঙ্কার মতো। রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সংস্থা সংকটগ্রস্ত দেশগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনের জেরে তছনছ শ্রীলঙ্কা, বিপর্যয়ে দ্বীপরাষ্ট্রকে সাহায্যের আশ্বাস মোদির

যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে পৃথিবীতে ৬৯টি দেশ শ্রীলঙ্কার মতো সংকট মাথায় নিয়ে লড়ে যাচ্ছে। এসব দেশের সামনে মূলত তিনটি সমস্যা। খাদ্য সংকট, জ্বালানি সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দা। ১০৭টি দেশ বসবাস করছে এই তিন সংকটের একটি নিয়ে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

তিন সংকটের তিনটি নিয়েই লড়ছে এমন দেশের মধ্যে আফ্রিকায় আছে ২৫টি এশিয়া-প্যাসিফিকে ২৫টি এবং লাতিন আমেরিকায় ১৯টি।

আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

ইতিমধ্যেই মিশর এবং তিউনিশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আইএমএফ। দেশ দুটিকে সংকট থেকে বাঁচাতে চায় সংস্থাটি। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে উৎপাদিত গমের প্রধান আমদানিকারক এই দুই দেশ। ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানও আছে বিপদে। বিদ্যুৎ সংকটে আছে দেশটি। ইসলামাবাদকে চড়া দামে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের ৬৯টি দেশ, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

এদিকে সাব-সাহারান দেশগুলোকে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজরদারিতে।

এর মধ্যে ঘানা-কেনিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইথিওপিয়া আছে তালিকার শীর্ষে। সম্প্রতি আইএমএফের সঙ্গে আর্জেন্টিনা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের একটি ঋণচুক্তি করেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এল সালভাদর এবং পেরু আছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। তুরস্ক এখনও ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে আছে। তীব্র অব্যবস্থাপনা আর ৭০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির পরও নুইয়ে পড়েনি দেশটি। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভর্তুকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন।

রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একটু একটু করে বৈশ্বিক মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের নানা দেশ।

বিশ্বের এই চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রথম শিকার হল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কেউই কলম্বোর পাশে দাঁড়ায়নি। তবে আইএমএফ চলতি সপ্তাহে কাজ শুরু করেছে লঙ্কান কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার মতো রাষ্ট্রের এমন অবস্থার পেছনে শুধু অব্যবস্থাপনাই দায়ী নয়, আছে আরও অনেক কিছু। তিন বছর ধরে মহামারি যার অন্যতম কারণ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের ৬৯টি দেশ, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

আপডেট : ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার

বিশেষ প্রতিবেদন: বিশ্বের এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে সরকারের কাজে খুশি নয় আমজনতা।

অর্থনৈতিক সংকটে রুজি-রুটি হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনী সামগ্রীর দাম বাড়ায় জীবনযাপন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এরকম অসহায় ও বেহাল দেশের কথা ভাবলে শ্রীলঙ্কার কথা মনে আসবে। তবে বিশ্বের আরও ৬৯টি এমন দেশ রয়েছে যেগুলির অবস্থা ঠিক শ্রীলঙ্কার মতো। রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সংস্থা সংকটগ্রস্ত দেশগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনের জেরে তছনছ শ্রীলঙ্কা, বিপর্যয়ে দ্বীপরাষ্ট্রকে সাহায্যের আশ্বাস মোদির

যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে পৃথিবীতে ৬৯টি দেশ শ্রীলঙ্কার মতো সংকট মাথায় নিয়ে লড়ে যাচ্ছে। এসব দেশের সামনে মূলত তিনটি সমস্যা। খাদ্য সংকট, জ্বালানি সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দা। ১০৭টি দেশ বসবাস করছে এই তিন সংকটের একটি নিয়ে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

তিন সংকটের তিনটি নিয়েই লড়ছে এমন দেশের মধ্যে আফ্রিকায় আছে ২৫টি এশিয়া-প্যাসিফিকে ২৫টি এবং লাতিন আমেরিকায় ১৯টি।

আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

ইতিমধ্যেই মিশর এবং তিউনিশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আইএমএফ। দেশ দুটিকে সংকট থেকে বাঁচাতে চায় সংস্থাটি। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে উৎপাদিত গমের প্রধান আমদানিকারক এই দুই দেশ। ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানও আছে বিপদে। বিদ্যুৎ সংকটে আছে দেশটি। ইসলামাবাদকে চড়া দামে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের ৬৯টি দেশ, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

এদিকে সাব-সাহারান দেশগুলোকে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজরদারিতে।

এর মধ্যে ঘানা-কেনিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইথিওপিয়া আছে তালিকার শীর্ষে। সম্প্রতি আইএমএফের সঙ্গে আর্জেন্টিনা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের একটি ঋণচুক্তি করেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এল সালভাদর এবং পেরু আছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। তুরস্ক এখনও ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে আছে। তীব্র অব্যবস্থাপনা আর ৭০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির পরও নুইয়ে পড়েনি দেশটি। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভর্তুকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন।

রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একটু একটু করে বৈশ্বিক মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের নানা দেশ।

বিশ্বের এই চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রথম শিকার হল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কেউই কলম্বোর পাশে দাঁড়ায়নি। তবে আইএমএফ চলতি সপ্তাহে কাজ শুরু করেছে লঙ্কান কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার মতো রাষ্ট্রের এমন অবস্থার পেছনে শুধু অব্যবস্থাপনাই দায়ী নয়, আছে আরও অনেক কিছু। তিন বছর ধরে মহামারি যার অন্যতম কারণ।