০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪২ হাজার অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, রবিবার
  • / 85

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে জোর করে ফিরিয়ে  দিয়েছে গ্রিস। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনেকেই হয়েছেন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার। তুরস্কের ওমবুডসম্যান ইনস্টিটিউশন দ্বারা প্রকাশিত ‘পুশব্যাকস অ্যান্ড ড্রাউনিং হিউম্যান রাইটস ইন দ্য এজিয়ান’ শিরোনামের প্রতিবেদনে গ্রিসের আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইনের লঙ্ঘনের বিষয়গুলি সামনে এসেছে। তুরস্কের মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ৩১ মে ২০২০ থেকে ২০২২-এর মধ্যে মোট ৪১,৫২৩ আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস বাহিনী। আইন অনুযায়ী, এভাবে জোর করে ফেরত পাঠানো সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গ্রিস সীমান্তে আসা ৮ হাজার আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশকেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সবচেয়ে দু:খজনক বিষয় হল এই আশ্রয়প্রার্থীদের অনেকেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গ্রিসের অমানবিক নীতির কারণে গত বছর ৫৩ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছেন ঠান্ডায় জমে গিয়ে। মেরিক নদীতে ডুবে মারা যান বেশ কয়েকজন। হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে অবৈধভাবে ফেরত পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

আরও পড়ুন: গ্রিসে  ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭  

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪২ হাজার অভিবাসীকে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস

আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২০২০ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে জোর করে ফিরিয়ে  দিয়েছে গ্রিস। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনেকেই হয়েছেন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার। তুরস্কের ওমবুডসম্যান ইনস্টিটিউশন দ্বারা প্রকাশিত ‘পুশব্যাকস অ্যান্ড ড্রাউনিং হিউম্যান রাইটস ইন দ্য এজিয়ান’ শিরোনামের প্রতিবেদনে গ্রিসের আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইনের লঙ্ঘনের বিষয়গুলি সামনে এসেছে। তুরস্কের মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ৩১ মে ২০২০ থেকে ২০২২-এর মধ্যে মোট ৪১,৫২৩ আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে গ্রিস বাহিনী। আইন অনুযায়ী, এভাবে জোর করে ফেরত পাঠানো সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গ্রিস সীমান্তে আসা ৮ হাজার আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশকেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সবচেয়ে দু:খজনক বিষয় হল এই আশ্রয়প্রার্থীদের অনেকেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গ্রিসের অমানবিক নীতির কারণে গত বছর ৫৩ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছেন ঠান্ডায় জমে গিয়ে। মেরিক নদীতে ডুবে মারা যান বেশ কয়েকজন। হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে অবৈধভাবে ফেরত পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

আরও পড়ুন: গ্রিসে  ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭