ভারত-পাক সীমান্তে নজরদারি চালাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ৬৭টি ড্রোন চুক্তির পথে ভারত
- আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার
- / 51
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কের মাঝখানে ড্রোন আমদানি নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে ভারত। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পথে একটি ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা কোম্পানি। চুক্তি সম্পন্ন হলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে ৬৭টি ড্রোন সরবরাহ করা হবে ভারতকে।
সূত্রের খবর, এই ড্রোনগুলি সম্ভবত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কিছু অংশে মোতায়েন করা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংস্থা। এর পরেও কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি অ্যারোস্পেস কোম্পানি(আইএআই) তিন বিলিয়ন ডলার চুক্তি পেতে পারে বলে জানা গেছে। এই ৬৭টি রোটারি উইং ড্রোনের জন্য দরপত্রের ডাক দেওয়া হয় চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম দিকে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২ মে। সূত্রের খবর, ড্রোনগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত।
এগুলি ভূখন্ড থেকে ৫০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। ফলে ইন্দো-পাক সীমান্তে নজরদারি চালানোর জন্য ইসরায়েলি ড্রোনগুলি সব দিক দিয়ে সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভারতেই প্রস্তুত করা হবে এই ড্রোনগুলি। এই ড্রোনগুলিতে হেলিকপ্টারের মতো রোটারি পাখাযুক্ত থাকবে। যার ফলে এই ড্রোনগুলি সোজা হয়ে উড়তে ও নামতে পারবে, চলাচলে কোনও অসুবিধা হবে না। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোনগুলি উষ্ণ তাপমাত্রা থেকে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম হবে। এই ড্রোনগুলি দিন-রাতের ছবি স্পষ্ট করে তুলতে সক্ষ্মম। মাইনাস ৫ ডিগ্রি থেকে ৫৫ ডিগ্রি উষ্ণ তাপমাত্রাতেও ছবি তুলতে সক্ষম হবে। এছাড়া সঠিক সময়ের ভিডিও প্রেরণ করতে পারবে। ক্যামেরাগুলির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল যে একটি অপারেশন শেষ হয়ে গেলে রেকর্ডিং মোডটি বন্ধ করা যেতে পারে।
সূত্রের খবর, যে আইএআই ড্রোনগুলি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিশেষত রাজস্থান, পঞ্জাব এবং গুজরাটে নজরদারি চালানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।এমনকী উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে হঠাৎ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ক্ষেত্রেও খোঁজ দিতে সাহায্য করবে এই ড্রোনগুলি। আইএআই যৌথভাবে এমআরএসএএম এয়ার অ্যান্ড মিসাইল সিস্টেমের মতো কৌশলগত ব্যবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। সেইসঙ্গে এবং রাডার, বিমান প্রতিরক্ষা সহ আরও বিভিন্ন প্রকল্পে বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে ভারতীয় বাহিনীতে সহায়তা প্রদান করে।


















































