২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার দিনেই খলিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হলেন শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি সিমরনজিৎ সিং মান

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি তথা ( অমৃতসর) সাংসদ সিমরনজিৎ সিং মান  সোমবার  শিখদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সোচ্চার হন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এইভাবে খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

সিমরনজিৎ সিং মান খুব সম্প্রতি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর থেকে লোকসভা আসনে  উপনির্বাচনে জয়ী হন। গত সোমবার অন্য তিনজন নতুন সাংসদের সঙ্গে তিনি শপথও নিয়েছেন। সাংসদ হিসেবে হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়ও সৃষ্টি হয় বিতর্ক। লোকসভার স্পিকারের নিজস্ব চেম্বারে তিনি শপথ নেন।লুধিয়ানার সাংসদ রবনীত সিং বিট্টু সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এর বিরুদ্ধে হাউসের ভিতরেই প্রতিবাদ করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ ক্যাম্পেনকে বয়কটের ডাক দিলেন শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি তথা সাংসদ সিমরনজিৎ সিং মান, পঞ্জাব জুড়ে বিতর্কের ঝড়

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী মানের কেন্দ্রেই পরাজয় আপের, জয়ী শিরোমণি অকালি দল ( অমৃতসর)

তবে শপথ নেওয়ার পরেই ভগৎ সিংকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সিমরনজিৎ সিং। সদ্য নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব লেন “ভগত সিং একজন তরুণ, ইংরেজ নৌ অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। তিনি একজন শিখ কনস্টেবলকেও  হত্যা করেছিলেন।” তিনি আরও  দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আরও বলেন এখনও খলিস্তানি আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। সোমবার শপথ নেওয়ার পরেই তিনি বলেন “শিখদের জন্য আলাদা দেশ হওয়া উচিত। এবং খালিস্তান দুটি পারমাণবিক রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘বাফার দেশ’ বা মধ্যপন্থী দেশ হিসাবে কাজ করবে,”

 

এখন দেখে নেওয়া যাক এই খলিস্তানি আন্দোলনের নেপথ্যে কোন ঘটনা রয়েছে।খ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবী করেন যে শিখরা বরাবরই একটি পৃথক ও সার্বভৌম জাতি ছিল, এবং দক্ষিণ এশিয়ার শিখ অধ্যুষিত এলাকাগুলো  দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে  ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হবার আগে পর্যন্ত বহু শতাব্দী ধরে স্বাধীন ছিল। খলিস্তান শব্দের অর্থ বিশিদ্ধ ভূমি। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার  পঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম দেশের দাবি  জানিয়ে আসছে।

১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের  মাধ্যমে মুসলীম লিগ  যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতেভারত বিভাজিত হলে শিখ সম্প্রদায়ের কোন স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পঞ্জাব  অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামে একটি শিখ রাষ্ট্রের প্রস্তাব দেন।

সর্বধিক পাঠিত

জুম্মার নামাজের পর সিরিয়ার মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৬

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার দিনেই খলিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হলেন শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি সিমরনজিৎ সিং মান

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি তথা ( অমৃতসর) সাংসদ সিমরনজিৎ সিং মান  সোমবার  শিখদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সোচ্চার হন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এইভাবে খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

সিমরনজিৎ সিং মান খুব সম্প্রতি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর থেকে লোকসভা আসনে  উপনির্বাচনে জয়ী হন। গত সোমবার অন্য তিনজন নতুন সাংসদের সঙ্গে তিনি শপথও নিয়েছেন। সাংসদ হিসেবে হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়ও সৃষ্টি হয় বিতর্ক। লোকসভার স্পিকারের নিজস্ব চেম্বারে তিনি শপথ নেন।লুধিয়ানার সাংসদ রবনীত সিং বিট্টু সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এর বিরুদ্ধে হাউসের ভিতরেই প্রতিবাদ করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ ক্যাম্পেনকে বয়কটের ডাক দিলেন শিরোমনি অকালি দলের সভাপতি তথা সাংসদ সিমরনজিৎ সিং মান, পঞ্জাব জুড়ে বিতর্কের ঝড়

 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী মানের কেন্দ্রেই পরাজয় আপের, জয়ী শিরোমণি অকালি দল ( অমৃতসর)

তবে শপথ নেওয়ার পরেই ভগৎ সিংকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সিমরনজিৎ সিং। সদ্য নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব লেন “ভগত সিং একজন তরুণ, ইংরেজ নৌ অফিসারকে হত্যা করেছিলেন। তিনি একজন শিখ কনস্টেবলকেও  হত্যা করেছিলেন।” তিনি আরও  দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আরও বলেন এখনও খলিস্তানি আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। সোমবার শপথ নেওয়ার পরেই তিনি বলেন “শিখদের জন্য আলাদা দেশ হওয়া উচিত। এবং খালিস্তান দুটি পারমাণবিক রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘বাফার দেশ’ বা মধ্যপন্থী দেশ হিসাবে কাজ করবে,”

 

এখন দেখে নেওয়া যাক এই খলিস্তানি আন্দোলনের নেপথ্যে কোন ঘটনা রয়েছে।খ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবী করেন যে শিখরা বরাবরই একটি পৃথক ও সার্বভৌম জাতি ছিল, এবং দক্ষিণ এশিয়ার শিখ অধ্যুষিত এলাকাগুলো  দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে  ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হবার আগে পর্যন্ত বহু শতাব্দী ধরে স্বাধীন ছিল। খলিস্তান শব্দের অর্থ বিশিদ্ধ ভূমি। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার  পঞ্জাব অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম দেশের দাবি  জানিয়ে আসছে।

১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের  মাধ্যমে মুসলীম লিগ  যখন মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানায়, তখন কিছু শিখ নেতা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে হিন্দু ও মুসলিমের ভিত্তিতেভারত বিভাজিত হলে শিখ সম্প্রদায়ের কোন স্বাধীন মাতৃভূমি থাকবে না। তারা তখন বৃহত্তর পঞ্জাব  অঞ্চলে বিস্তৃত খালিস্তান নামে একটি শিখ রাষ্ট্রের প্রস্তাব দেন।