১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএসসি: দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় রাজ্যের তিন মুসলিম আর্শ,আয়ান ও রাঈশা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার
  • / 19

যময ভাই আর্শ মুস্তাফা, আয়ান মুস্তাফা ও রাঈশা পারবীন

সেখ কুতুবউদ্দিনঃ ‘কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সজামিনেশন’-এর ‘ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট’ (আইএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন দুই যমজ ভাই। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বর্ধমানের হলি রক স্কুলের রাঈশা পারবীন।

 

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

কলকাতার রিপন স্ট্রিটের ফ্রাঙ্ক অ্যান্টোনি পাবলিক স্কুলের মুহাম্মদ আর্শ মুস্তাফা (৯৯.৭৫ শতাংশ) কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা এবং রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আর্শ মুস্তাফা আগামীতে ডাক্তার হতে চান। আর্শের কথায়, এই সাফল্য আব্বা মায়ের সাফল্য। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাফল্য। আব্বা ও মা  দুজনেই শিক্ষক। তাই তাঁকে কোনও টিউশন টিচার নিতে হয়নি।  আর্শ আরও জানায়,  ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো ফলাফল আসবে।  পড়াশোনার পাশাপাশি আর্শ ফুটবল খেলা, মিউজিক শোনা ও  মিউজিক তৈরি  করাতে আর্শের আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া গল্পের বই পড়াতেও তাঁর নেশা। আগামীতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

 

আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেশের একাধিক রাজ্যে, জারি লাল ও কমলা সর্তকতা

আর্শের ভাই  মুহাম্মদ আয়ান মুস্তাফাও (৯৯.৫০ শতাংশ) একই কথা বলেন, তাঁর কথায়,  অঙ্কের শিক্ষক আব্বা হাবিব মুস্তাফা ও মা হালিমা মুস্তাফার কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদেরও সবরকম সহযোগিতা ছিল। এই ফলাফলে ভালো লাগছে। আগামীতেও যাতে সাফল্য ধরে রাখতে পারি তার চেষ্টা  করবো। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতে ইচ্ছা রয়েছে আয়ানের।  গল্পের  বইপড়াও ভালো লাগে তাঁর। আগামীতে চিকিৎসক হতে চায় আয়ান। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

 

পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের আইএসসিতে দ্বিতীয় স্থানাধিকারি রাঈশা  পারবীন (৯৯.৫০ শতাংশ) হতে চান চিকিৎসক। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু  করেছেন রাঈশা । এই সাফল্য প্রসঙ্গে রাইশা পুবের কলমকে জানান, ‘কঠোর  পরিশ্রম করেছি। তার ফলও পেয়েছি। এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই’। রাঈশা  আরও বলেন, এই সাফল্যের পিছনে স্কুলের শিক্ষক, টিউশন শিক্ষকদের পাশাপাশি  আব্বা রফিকুল ইসলাম মল্লিক,  মা উম্মুল হাসেমা বেগম এবং খালা সামসুন্নেহার  বেগমের অবদান রয়েছে। রাইশা পড়াশোনার পাশাপাশি গান শোনা, পরিবারের সঙ্গে  সময় দেওয়া ভালো বাসেন। পাশাপাশি গল্পের বইপড়তে ভালো লাগে তার। রাইশার  স্কুল অর্থাৎ হলিরক স্কুলের  প্রিন্সিপ্যাল স্বর্ণাভ সাকসেনা জানান,  রাঈশা পারবীন এবং পুষ্পিতা নাহা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এতে স্কুলের শিক্ষকরা গর্বিত।

 

আইএসসি’র দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে প্রথম স্থানে বাংলার ৬ পড়ুয়া। বোর্ডের তরফে  জানানো হয়েছে,  ২০২২ সালে পাশের হার ৯৯.৩৮ শতাংশ। আইএসসিতেও ছাত্রদের  পিছনে ফেলে পাশের হারে এগিয়ে গিয়েছে ছাত্রীরা। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল  ৯৬ হাজার ৯৪০ জন। অল ইন্ডিয়ার্ যাঙ্কে প্রথম স্থানে রয়েছে ১৮ জন পড়ুয়া।  আইএসসি সর্বভারতীয় মেধা তালিকা রয়েছেন মোট ১৫৪ জন, প্রথম স্থান অধিকারী ১৮ জন,  তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭৫ শতাংশ। তার মধ্যেই রয়েছেন বাংলার ৬ পড়ুয়া।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইএসসি: দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় রাজ্যের তিন মুসলিম আর্শ,আয়ান ও রাঈশা

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার

সেখ কুতুবউদ্দিনঃ ‘কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সজামিনেশন’-এর ‘ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট’ (আইএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন দুই যমজ ভাই। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বর্ধমানের হলি রক স্কুলের রাঈশা পারবীন।

 

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

কলকাতার রিপন স্ট্রিটের ফ্রাঙ্ক অ্যান্টোনি পাবলিক স্কুলের মুহাম্মদ আর্শ মুস্তাফা (৯৯.৭৫ শতাংশ) কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা এবং রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আর্শ মুস্তাফা আগামীতে ডাক্তার হতে চান। আর্শের কথায়, এই সাফল্য আব্বা মায়ের সাফল্য। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাফল্য। আব্বা ও মা  দুজনেই শিক্ষক। তাই তাঁকে কোনও টিউশন টিচার নিতে হয়নি।  আর্শ আরও জানায়,  ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো ফলাফল আসবে।  পড়াশোনার পাশাপাশি আর্শ ফুটবল খেলা, মিউজিক শোনা ও  মিউজিক তৈরি  করাতে আর্শের আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া গল্পের বই পড়াতেও তাঁর নেশা। আগামীতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

 

আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেশের একাধিক রাজ্যে, জারি লাল ও কমলা সর্তকতা

আর্শের ভাই  মুহাম্মদ আয়ান মুস্তাফাও (৯৯.৫০ শতাংশ) একই কথা বলেন, তাঁর কথায়,  অঙ্কের শিক্ষক আব্বা হাবিব মুস্তাফা ও মা হালিমা মুস্তাফার কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদেরও সবরকম সহযোগিতা ছিল। এই ফলাফলে ভালো লাগছে। আগামীতেও যাতে সাফল্য ধরে রাখতে পারি তার চেষ্টা  করবো। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতে ইচ্ছা রয়েছে আয়ানের।  গল্পের  বইপড়াও ভালো লাগে তাঁর। আগামীতে চিকিৎসক হতে চায় আয়ান। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

 

পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের আইএসসিতে দ্বিতীয় স্থানাধিকারি রাঈশা  পারবীন (৯৯.৫০ শতাংশ) হতে চান চিকিৎসক। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু  করেছেন রাঈশা । এই সাফল্য প্রসঙ্গে রাইশা পুবের কলমকে জানান, ‘কঠোর  পরিশ্রম করেছি। তার ফলও পেয়েছি। এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই’। রাঈশা  আরও বলেন, এই সাফল্যের পিছনে স্কুলের শিক্ষক, টিউশন শিক্ষকদের পাশাপাশি  আব্বা রফিকুল ইসলাম মল্লিক,  মা উম্মুল হাসেমা বেগম এবং খালা সামসুন্নেহার  বেগমের অবদান রয়েছে। রাইশা পড়াশোনার পাশাপাশি গান শোনা, পরিবারের সঙ্গে  সময় দেওয়া ভালো বাসেন। পাশাপাশি গল্পের বইপড়তে ভালো লাগে তার। রাইশার  স্কুল অর্থাৎ হলিরক স্কুলের  প্রিন্সিপ্যাল স্বর্ণাভ সাকসেনা জানান,  রাঈশা পারবীন এবং পুষ্পিতা নাহা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এতে স্কুলের শিক্ষকরা গর্বিত।

 

আইএসসি’র দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে প্রথম স্থানে বাংলার ৬ পড়ুয়া। বোর্ডের তরফে  জানানো হয়েছে,  ২০২২ সালে পাশের হার ৯৯.৩৮ শতাংশ। আইএসসিতেও ছাত্রদের  পিছনে ফেলে পাশের হারে এগিয়ে গিয়েছে ছাত্রীরা। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল  ৯৬ হাজার ৯৪০ জন। অল ইন্ডিয়ার্ যাঙ্কে প্রথম স্থানে রয়েছে ১৮ জন পড়ুয়া।  আইএসসি সর্বভারতীয় মেধা তালিকা রয়েছেন মোট ১৫৪ জন, প্রথম স্থান অধিকারী ১৮ জন,  তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭৫ শতাংশ। তার মধ্যেই রয়েছেন বাংলার ৬ পড়ুয়া।