২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ: ব্রিটেনকে ক্ষমা চাইতে বললেন ধনকুবের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
  • / 46

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অতীতে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশরা যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার জন্য বর্তমান ব্রিটিশ সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ধনকুবের মুনিব আল মাসরি। এজন্য তিনি একটি পিটিশন দায়ের করবেন।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরাইলকেও মেনে নেবে ইন্দোনেশিয়া

মুনিব আল মাসরি প্রয়াত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি ইসরাইল অকিৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে বাস করেন। তিনিও ব্রিটিশ শাসনের ভুক্তভোগী ছিলেন।

আরও পড়ুন: গাজায় আশ্রয়শিবিরে হামলা ইসরাইলের, ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু

১৯১৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল। সে-সময় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা; নির্যাতন; মানবাল হিসেবে ব্যবহার এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশরা।

আরও পড়ুন: উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করলেন ফিলিস্তিনি নেতা আব্বাস

মাসরির পিটিশনে ফিলিস্তিনিদের কাছে ব্রিটেনকে ক্ষমা চাইতে বলা হবে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় করা হয়েছে; সেগুলোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ারও ডাক দেওয়া হয়েছে।

৮৮ বছরের ব্যবসায়ী মাসরি বলেন; ‘ব্রিটিশরা আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আমি দেখেছি কীভাবে মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের সুরক্ষা ছিল না এবং আমাদের বাঁচানোর মতোও কেউ ছিল না।’

তিনি দাবি করেন; এ জন্য ব্রিটেনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া সাহসের সঙ্গে নিজের অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই পিটিশনের সঙ্গে ৩০০ পৃষ্ঠার একটি নথিও দেওয়া হবে। এতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিভিন্ন বিবর এবং প্রমাণ যুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন দু’জন আন্তর্জাতিক আইনজীবী। এদের একজন হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টের প্রাক্তন প্রান প্রসিকিউটর লুইস মোরেনো; অপরজন ব্রিটিশ ব্যারিষ্টার বেন এমারসন।

তিনি মানবাকিার ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন প্রতিবেদক ছিলেন। এমারসন জানান; ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ব্রিটিশ বাহিনী দ্বারা সংঘটিত জঘন্য অপরারে প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন তারা।

মাসরি চলতি বছরের শেষে ব্রিটেনের কাছে ফাইলটি উপস্থাপন করবেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়; তৎকালীন ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে-সম্পর্কে তারা অবগত। এ সংক্রান্ত যে কোনও প্রমাণ দেওয়া হলে তা পর্যালোচনা করা হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ: ব্রিটেনকে ক্ষমা চাইতে বললেন ধনকুবের

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অতীতে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশরা যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার জন্য বর্তমান ব্রিটিশ সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ধনকুবের মুনিব আল মাসরি। এজন্য তিনি একটি পিটিশন দায়ের করবেন।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরাইলকেও মেনে নেবে ইন্দোনেশিয়া

মুনিব আল মাসরি প্রয়াত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি ইসরাইল অকিৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসে বাস করেন। তিনিও ব্রিটিশ শাসনের ভুক্তভোগী ছিলেন।

আরও পড়ুন: গাজায় আশ্রয়শিবিরে হামলা ইসরাইলের, ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু

১৯১৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল। সে-সময় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা; নির্যাতন; মানবাল হিসেবে ব্যবহার এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশরা।

আরও পড়ুন: উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করলেন ফিলিস্তিনি নেতা আব্বাস

মাসরির পিটিশনে ফিলিস্তিনিদের কাছে ব্রিটেনকে ক্ষমা চাইতে বলা হবে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় করা হয়েছে; সেগুলোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ারও ডাক দেওয়া হয়েছে।

৮৮ বছরের ব্যবসায়ী মাসরি বলেন; ‘ব্রিটিশরা আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আমি দেখেছি কীভাবে মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের সুরক্ষা ছিল না এবং আমাদের বাঁচানোর মতোও কেউ ছিল না।’

তিনি দাবি করেন; এ জন্য ব্রিটেনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া সাহসের সঙ্গে নিজের অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই পিটিশনের সঙ্গে ৩০০ পৃষ্ঠার একটি নথিও দেওয়া হবে। এতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিভিন্ন বিবর এবং প্রমাণ যুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন দু’জন আন্তর্জাতিক আইনজীবী। এদের একজন হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টের প্রাক্তন প্রান প্রসিকিউটর লুইস মোরেনো; অপরজন ব্রিটিশ ব্যারিষ্টার বেন এমারসন।

তিনি মানবাকিার ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন প্রতিবেদক ছিলেন। এমারসন জানান; ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ব্রিটিশ বাহিনী দ্বারা সংঘটিত জঘন্য অপরারে প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন তারা।

মাসরি চলতি বছরের শেষে ব্রিটেনের কাছে ফাইলটি উপস্থাপন করবেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়; তৎকালীন ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে-সম্পর্কে তারা অবগত। এ সংক্রান্ত যে কোনও প্রমাণ দেওয়া হলে তা পর্যালোচনা করা হবে।