০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গত ৩ বছরে পুলিশি হেফাজতে ৩৪৮ জনের মৃত্যু, ১১৮৯ জন নিগৃহীত, লোকসভায় জানাল কেন্দ্র

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 63

নয়াদিল্লি, 5 আগস্ট : গত বছর করোনাজনিত লকডাউন কার্যকরের সময় কোনও রকম পুলিশি হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার লোকসভায় বলেন, গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩৪৮ জন পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছে এবং ১১৮৯ জনকে আটকে রেখে পুলিশ প্রহার করেছে। রাইয়ের মুখে এই কথাগুলি উঠে আসার কারণ হল, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভারতে হেফাজতে মৃত্যু ও অত্যাচারের হার বাড়ছে কিনা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছে ১৩৬ জন, ২০১৯ সালে ৪১১ জন ও ২০২০ সালে ২৩৬ জন।
যাইহোক, কার্তি এও জানতে চেয়েছিলেন, অতিমারিজনিত লকডাউন বলবৎ করার সময় পুলিশি হিংসার বিষয়টির দিকে সরকার নজর দিয়েছে কিনা এবং ‘অভিযুক্ত’ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ সরকার কি নিয়েছে? এর প্রত্যুত্তরে রাই জানান, এই ব্যাপারে আলাদা করে কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। তিনি বলেন, সংবিধানের সপ্তম পরিশিষ্ট অনুযায়ী, ‘পুলিশ’ ও ‘গণশৃঙ্খলা’ রাজ্যের আওতাধীন বিষয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, তদন্ত করা, অপরাধের নথিভুক্তিকরণ, অভিযুক্তের সাজা দেওয়া, মানুষ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয় প্রাথমিকভাবে দেখার দায়িত্ব রাজ্যগুলির। অথচ, লকডাউন কার্যকর করতে বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনি মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রের চালু করা নিয়ম ভঙ্গ করার অপরাধে প্রশাসনের হাতে সাধারণ মানুষের হেনস্থার খবরও মিলেছে নানা জায়গায়। ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার সময় পরিযায়ী শ্রমিকরাও পুলিশি নির্যাতনের মুখে পড়েছিলেন। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গত ৩ বছরে পুলিশি হেফাজতে ৩৪৮ জনের মৃত্যু, ১১৮৯ জন নিগৃহীত, লোকসভায় জানাল কেন্দ্র

আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি, 5 আগস্ট : গত বছর করোনাজনিত লকডাউন কার্যকরের সময় কোনও রকম পুলিশি হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার লোকসভায় বলেন, গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩৪৮ জন পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছে এবং ১১৮৯ জনকে আটকে রেখে পুলিশ প্রহার করেছে। রাইয়ের মুখে এই কথাগুলি উঠে আসার কারণ হল, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম প্রশ্ন করেছিলেন যে, ভারতে হেফাজতে মৃত্যু ও অত্যাচারের হার বাড়ছে কিনা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছে ১৩৬ জন, ২০১৯ সালে ৪১১ জন ও ২০২০ সালে ২৩৬ জন।
যাইহোক, কার্তি এও জানতে চেয়েছিলেন, অতিমারিজনিত লকডাউন বলবৎ করার সময় পুলিশি হিংসার বিষয়টির দিকে সরকার নজর দিয়েছে কিনা এবং ‘অভিযুক্ত’ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ সরকার কি নিয়েছে? এর প্রত্যুত্তরে রাই জানান, এই ব্যাপারে আলাদা করে কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। তিনি বলেন, সংবিধানের সপ্তম পরিশিষ্ট অনুযায়ী, ‘পুলিশ’ ও ‘গণশৃঙ্খলা’ রাজ্যের আওতাধীন বিষয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, তদন্ত করা, অপরাধের নথিভুক্তিকরণ, অভিযুক্তের সাজা দেওয়া, মানুষ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয় প্রাথমিকভাবে দেখার দায়িত্ব রাজ্যগুলির। অথচ, লকডাউন কার্যকর করতে বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনি মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রের চালু করা নিয়ম ভঙ্গ করার অপরাধে প্রশাসনের হাতে সাধারণ মানুষের হেনস্থার খবরও মিলেছে নানা জায়গায়। ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার সময় পরিযায়ী শ্রমিকরাও পুলিশি নির্যাতনের মুখে পড়েছিলেন। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।