০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীর : ২৩০০-র বেশি ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার, প্রায় ৫০ শতাংশ এখনও হেফাজতে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 119

নয়াদিল্লি, ৫ আগস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যাপক হারে প্রয়োগ করা হচ্ছে কঠোর ইউএপিএ ধারা। প্রশাসন কাকে কখন এই ধারায় আটক করবে তা নিয়ে আতঙ্কিত উপত্যকাবাসী। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩০০ জনের বেশি মানুষকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গণ নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার জনকে। এমনটাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্ট। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ইউএপিএ ধারায় আটক ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশ ও পিএসএ ধারায় আটক ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশ এখনও জেলে বন্দি। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার এক মাস পর গণ নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় ২৯০ জনকে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি সহ বহু রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, সমাজকর্মী ও তরুণ। পুলিশের নথি বলছে, ২০১৯ সালে পিএসএ ধারায় আটক করা হয়েছে ৬৯৯ জনকে, ২০২০ সালে ১৬০ জনকে এবং চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত ৯৫ জনকে। আটক হওয়া এই ব্যক্তিদের প্রায় ৩০ শতাংশ এখনও হাজতে। ২০১৯ সাল থেকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার হওয়া ২৩৬৪ জনের মধ্যে ১১০০ জন এখনও হেফাজতে রয়েছেন।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৪৩৭টি মামলায় ৯১৮ জনকে, ২০২০ সালে ৫৫৭টি মামলায় ৯৫৩ জনকে ও চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৭৫টি মামলায় ৪৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক আইন বিশেষজ্ঞ জানালেন, গণ নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে পুলিশ ইউএপিএ ধারা বেশি প্রয়োগ করছে, এর কারণ হল, পিএসএ ধারায় অভিযুক্তকে আটকে রাখতে হলে নিয়মিত মেয়াদ বাড়াতে হয়, কিন্তু ইউএপিএ ধারায় আটক ব্যক্তির জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ধারায় ৫৫০০ জনকে প্রিভেন্টিভ হেফাজতে নেওয় হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদের সকলকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার ফোরাম আবেদন করেছে, ২০১৯ সালের ৪ আগস্টের পর আটক করা সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু-কাশ্মীর : ২৩০০-র বেশি ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার, প্রায় ৫০ শতাংশ এখনও হেফাজতে

আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি, ৫ আগস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যাপক হারে প্রয়োগ করা হচ্ছে কঠোর ইউএপিএ ধারা। প্রশাসন কাকে কখন এই ধারায় আটক করবে তা নিয়ে আতঙ্কিত উপত্যকাবাসী। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩০০ জনের বেশি মানুষকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গণ নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার জনকে। এমনটাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্ট। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ইউএপিএ ধারায় আটক ব্যক্তিদের ৫০ শতাংশ ও পিএসএ ধারায় আটক ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশ এখনও জেলে বন্দি। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার এক মাস পর গণ নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় ২৯০ জনকে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি সহ বহু রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, সমাজকর্মী ও তরুণ। পুলিশের নথি বলছে, ২০১৯ সালে পিএসএ ধারায় আটক করা হয়েছে ৬৯৯ জনকে, ২০২০ সালে ১৬০ জনকে এবং চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত ৯৫ জনকে। আটক হওয়া এই ব্যক্তিদের প্রায় ৩০ শতাংশ এখনও হাজতে। ২০১৯ সাল থেকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার হওয়া ২৩৬৪ জনের মধ্যে ১১০০ জন এখনও হেফাজতে রয়েছেন।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৪৩৭টি মামলায় ৯১৮ জনকে, ২০২০ সালে ৫৫৭টি মামলায় ৯৫৩ জনকে ও চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৭৫টি মামলায় ৪৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক আইন বিশেষজ্ঞ জানালেন, গণ নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে পুলিশ ইউএপিএ ধারা বেশি প্রয়োগ করছে, এর কারণ হল, পিএসএ ধারায় অভিযুক্তকে আটকে রাখতে হলে নিয়মিত মেয়াদ বাড়াতে হয়, কিন্তু ইউএপিএ ধারায় আটক ব্যক্তির জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ধারায় ৫৫০০ জনকে প্রিভেন্টিভ হেফাজতে নেওয় হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদের সকলকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার ফোরাম আবেদন করেছে, ২০১৯ সালের ৪ আগস্টের পর আটক করা সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।