২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিমান কাটিয়ে, দিদি মমতার কাছে ফোঁটা নিলেন শোভন

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটা নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ তারা একসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যান। আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিমানের কালো মেঘ কেটেছে।  শোভন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব আদরের। আবার তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় বিজেপিতে থাকাকালীনও ভাইফোঁটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাজেই তাঁর কালীঘাটে আসার মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। তবে এদিন ভাইফোঁটার পর বেরিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।  এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদির সঙ্গে তো কথা হলোই, দিদির ডাকেই তো আসা। আর ভাইফোঁটায় দিদির কাছে এসে তার আশীর্বাদ পাওয়া একটা বিশাল বড় প্রাপ্তি।

আরও পড়ুন: ফের কি তৃণমূলে ফিরছেন শোভন!

এক্ষেত্রে শোভন যেমন ভাইফোঁটা পেল আমি ওর সঙ্গে থাকার জন্য আশীর্বাদ পেলাম। এইটা একটা খুব আনন্দের মুহূর্ত। এখানে এসে খুব ভালো লাগে ওঁনার মধ্যে একটা মমত্ব আছে। সেই মমত্ব নিয়ে সকলকে আদর করে ডাকা খাওয়ানো ফোঁটা দেওয়া-সবেতেই একটা অন্যরকম ছোঁয়া থাকে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক নিয়েও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন বৈশাখী।  তিনি বলেন, দিদি আর ভাইয়ের সম্পর্কটাকে আমি খুব এনজয় করি। ওদের দুজনের যে পারস্পরিক টান সেটা যে আবার মজবুত হচ্ছে, তাতে আমি খুব খুশি। আমি চাই এটা সারা জীবন থাকুক।

শোভন চট্টোপাধ্যায় তথা দিদির আদরের কানন কালীঘাটে এসেছেন আর রাজনীতির প্রশ্ন উঠবে না তা কি হয়।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দিদি সব সময় শোভনকে একজন সক্রিয় রাজনীতিক কর্মী হিসেবেই দেখে। কখনোই ওকে আন প্রডাক্টিভ থাকতে বলেননি। সব সময় বলেন, ‘কাজ কর।’

এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, দিদির আর ভাইয়ের সম্পর্কটা আমার মনে হয় এক জায়গাতেই ছিল। মাঝে কিছুদিনের জন্য একটা অভিমানের মেঘ তৈরি হয়েছিল। সেটা কেটে গেছে এটাই আনন্দের।  তিনি বলেন, এরপর শোভনের উচিত সক্রিয় রাজনীতি ফেরা।  আর ওকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা গেলে আমি তো ওকে সাহায্য করবই।

সাংবাদিকরা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন কবে!  জবাবে বৈশাখী বলেন, ওকে নতুন করে দলে ফেরানোর কোনো ব্যাপার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে প্রথম দিনের কর্মী হিসেবেই দেখেন। আজকে আর উনি কবে দলে ফিরবেন সেই আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই।

সর্বধিক পাঠিত

ভেহিকল মার্ক-৩ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, মহাকাশে ক্ষমতা দেখাল ভারত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অভিমান কাটিয়ে, দিদি মমতার কাছে ফোঁটা নিলেন শোভন

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটা নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ তারা একসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যান। আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিমানের কালো মেঘ কেটেছে।  শোভন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব আদরের। আবার তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় বিজেপিতে থাকাকালীনও ভাইফোঁটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাজেই তাঁর কালীঘাটে আসার মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। তবে এদিন ভাইফোঁটার পর বেরিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।  এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদির সঙ্গে তো কথা হলোই, দিদির ডাকেই তো আসা। আর ভাইফোঁটায় দিদির কাছে এসে তার আশীর্বাদ পাওয়া একটা বিশাল বড় প্রাপ্তি।

আরও পড়ুন: ফের কি তৃণমূলে ফিরছেন শোভন!

এক্ষেত্রে শোভন যেমন ভাইফোঁটা পেল আমি ওর সঙ্গে থাকার জন্য আশীর্বাদ পেলাম। এইটা একটা খুব আনন্দের মুহূর্ত। এখানে এসে খুব ভালো লাগে ওঁনার মধ্যে একটা মমত্ব আছে। সেই মমত্ব নিয়ে সকলকে আদর করে ডাকা খাওয়ানো ফোঁটা দেওয়া-সবেতেই একটা অন্যরকম ছোঁয়া থাকে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক নিয়েও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন বৈশাখী।  তিনি বলেন, দিদি আর ভাইয়ের সম্পর্কটাকে আমি খুব এনজয় করি। ওদের দুজনের যে পারস্পরিক টান সেটা যে আবার মজবুত হচ্ছে, তাতে আমি খুব খুশি। আমি চাই এটা সারা জীবন থাকুক।

শোভন চট্টোপাধ্যায় তথা দিদির আদরের কানন কালীঘাটে এসেছেন আর রাজনীতির প্রশ্ন উঠবে না তা কি হয়।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দিদি সব সময় শোভনকে একজন সক্রিয় রাজনীতিক কর্মী হিসেবেই দেখে। কখনোই ওকে আন প্রডাক্টিভ থাকতে বলেননি। সব সময় বলেন, ‘কাজ কর।’

এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, দিদির আর ভাইয়ের সম্পর্কটা আমার মনে হয় এক জায়গাতেই ছিল। মাঝে কিছুদিনের জন্য একটা অভিমানের মেঘ তৈরি হয়েছিল। সেটা কেটে গেছে এটাই আনন্দের।  তিনি বলেন, এরপর শোভনের উচিত সক্রিয় রাজনীতি ফেরা।  আর ওকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা গেলে আমি তো ওকে সাহায্য করবই।

সাংবাদিকরা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন কবে!  জবাবে বৈশাখী বলেন, ওকে নতুন করে দলে ফেরানোর কোনো ব্যাপার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে প্রথম দিনের কর্মী হিসেবেই দেখেন। আজকে আর উনি কবে দলে ফিরবেন সেই আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই।