১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মেঝে ছিল মাটির, নিজেরাই গোবর দিয়ে মুছতাম’, ভুবনেশ্বরে নিজের গ্রামের স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ রাষ্ট্রপতি মুর্মু

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 25

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভুবনেশ্বরে নিজের গ্রামের স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্মৃতিচারণায় ভেসে উঠল শৈশবের কথা। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সেই আবেগ ভাগ করে নিলেন রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে উপরবেদায় আলমা মাতের শহরে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানেই জন্ম তাঁর। সেখান থেকেই খন্ডগিরিতে তপোবন হাইস্কুল ও আলমা মাতের ক্যাপিটাল স্কুলে যান তিনি। স্কুলে গিয়ে রাষ্ট্রপতি শৈশবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সময় স্কুলের ঘর ছিল মাটির তৈরি, ছাদ ছিল ছাউনি দিয়ে ঘেরা, স্কুলের মেঝেটাও ঠিক মতো ছিল না। শৈশবে আমরা আমাদের ক্লাসরুমগুলি নিজেরাই পরিষ্কার করতাম। মেঝে মাটির ছিল, তাই নিজেরাই সপ্তাহে একদিন গোবর দিয়ে সেই ঘর মুছতাম। এদিন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করে পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে বলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আমাদের প্রত্যেককে জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। চ্যালেঞ্জ সামনে আসবেই, কিন্তু আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা আমাদের জীবনে যা হতে চাই তা অর্জন করা’।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গাফিলতির অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

রাষ্ট্রপতি বলেন, তবে এখন সময় পাল্টেছে, অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেই সময়ের মতো অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না।  ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় শৈশবের দিনগুলিতে তিনি কিভাবে কষ্ট করে তার স্বপ্নগুলিকে সফল করতে এগিয়ে গিয়ে ছিলেন সেই নিয়ে কথাও বলেন তিনি।  পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে খুশি ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার আদর্শ ছিলেন তাঁর ঠাকুমা। সেই সময় বাইরের জগৎ সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। আমার ঠাকুমা ছিলেন একজন সাহসী মহিলা। গ্রামে কেউ বিপদে পড়লে তিনি তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। গ্রামে সবাই তাঁকে খুব সম্মান করতেন’।  ১৯৭০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রপতি মুর্মু আলমা মাতের ক্যাপিটাল স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ১৮১ কিমি ভ্রমণে কখনো ৪০ কখনো ৭৫ ভাড়া, একই ট্রেনে ভিন্ন ভাড়া রেলের

এদিন সেই স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। ২০ মিনিট স্কুলে ছিলেন তিনি। এদিন স্কুল ক্যাম্পাস, নয়া গড়ে ওঠা স্মার্ট ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন তিনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন।  এদিন রাষ্ট্রপতির স্কুলের যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শিক্ষিকা, পড়ুয়া সহ কর্মকর্তারা। এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল অধ্যাপক গণেশি লাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: ফের বন্দেভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ, ক্ষতিগ্রস্ত কোচের জানালা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘মেঝে ছিল মাটির, নিজেরাই গোবর দিয়ে মুছতাম’, ভুবনেশ্বরে নিজের গ্রামের স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ রাষ্ট্রপতি মুর্মু

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভুবনেশ্বরে নিজের গ্রামের স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্মৃতিচারণায় ভেসে উঠল শৈশবের কথা। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সেই আবেগ ভাগ করে নিলেন রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে উপরবেদায় আলমা মাতের শহরে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানেই জন্ম তাঁর। সেখান থেকেই খন্ডগিরিতে তপোবন হাইস্কুল ও আলমা মাতের ক্যাপিটাল স্কুলে যান তিনি। স্কুলে গিয়ে রাষ্ট্রপতি শৈশবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সময় স্কুলের ঘর ছিল মাটির তৈরি, ছাদ ছিল ছাউনি দিয়ে ঘেরা, স্কুলের মেঝেটাও ঠিক মতো ছিল না। শৈশবে আমরা আমাদের ক্লাসরুমগুলি নিজেরাই পরিষ্কার করতাম। মেঝে মাটির ছিল, তাই নিজেরাই সপ্তাহে একদিন গোবর দিয়ে সেই ঘর মুছতাম। এদিন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করে পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যেতে বলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আমাদের প্রত্যেককে জীবনে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। চ্যালেঞ্জ সামনে আসবেই, কিন্তু আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা আমাদের জীবনে যা হতে চাই তা অর্জন করা’।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গাফিলতির অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

রাষ্ট্রপতি বলেন, তবে এখন সময় পাল্টেছে, অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেই সময়ের মতো অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না।  ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় শৈশবের দিনগুলিতে তিনি কিভাবে কষ্ট করে তার স্বপ্নগুলিকে সফল করতে এগিয়ে গিয়ে ছিলেন সেই নিয়ে কথাও বলেন তিনি।  পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে খুশি ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার আদর্শ ছিলেন তাঁর ঠাকুমা। সেই সময় বাইরের জগৎ সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। আমার ঠাকুমা ছিলেন একজন সাহসী মহিলা। গ্রামে কেউ বিপদে পড়লে তিনি তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। গ্রামে সবাই তাঁকে খুব সম্মান করতেন’।  ১৯৭০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রপতি মুর্মু আলমা মাতের ক্যাপিটাল স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ১৮১ কিমি ভ্রমণে কখনো ৪০ কখনো ৭৫ ভাড়া, একই ট্রেনে ভিন্ন ভাড়া রেলের

এদিন সেই স্কুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। ২০ মিনিট স্কুলে ছিলেন তিনি। এদিন স্কুল ক্যাম্পাস, নয়া গড়ে ওঠা স্মার্ট ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন তিনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন।  এদিন রাষ্ট্রপতির স্কুলের যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শিক্ষিকা, পড়ুয়া সহ কর্মকর্তারা। এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল অধ্যাপক গণেশি লাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: ফের বন্দেভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ, ক্ষতিগ্রস্ত কোচের জানালা