০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে শান্তি চায় পাকিস্তান সরকার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 56

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ন্যাটো ও মার্কিনি সেনা আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করছে। এমতাবস্থায় আমেরিকাকে পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে একদিন আগেই জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এবার তিনি বললেন, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিলেও আফগান যুদ্ধে জিততে পারবে না আমেরিকা। আশঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান বলেন, আমেরিকার কথা রাজি হয়ে গেলে পাকিস্তানে আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে যাবে এবং এর ফলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে ইমরান মূলত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিগত ২ দশকে ওয়াশিংটনের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে মদত জোগাতে গিয়ে ইসলামাবাদকেই ভুগতে হয়েছে। বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌‍‌‌‌‌‌‌’আমেরিকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর পাকিস্তানকে সহযোগী মনে করে নিশানা বানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন ইমরান খান!

আমেরিকার ড্রোন হামলার ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছিলাম। ওটা কোনও যুদ্ধ জেতাতে না পারলেও মার্কিনিদের প্রতি ঘৃণার জন্ম দিয়েছিল। দুই দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছিল।’ তাই পাকিস্তান আমেরিকার পাশে থাকার মতো একই ভুল আবার করবে না বলে ইমরান জানান, ‍‌‌‌‌‌‌’আমাদের আর সামর্থ্য নেই। এর আগে ভারী মূল্য পরিশোধ করেছি। মার্কিনি সেনাবাহিনী যদি আফগানিস্তানের ভেতরে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থেকে যুদ্ধ জয় না করতে পারে তাহলে তারা আমাদের ঘাঁটি ব্যবহার করে কি করবে?’ ইমরানের কথা থেকে স্পষ্ট হয়, মূলত আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে প্রস্তুত পাকিস্তান। এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান সংঘাতের ঝুঁকি এড়াতে চাইছে। দীর্ঘদিন দুর্ভোগে থাকা দেশটির এমনিতে নিজেদেরই রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে, দেশের অর্থনীতি নিয়েও নাজেহাল ইসলামাবাদ। এমতাবস্থায় আফগানিস্তানে যেকোনও সামরিক আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছেন ইমরান। স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের কাছ থেকে ওয়াশিংটনের আর কিছু আশা করা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন: ‘সবার সুখ শান্তির জন্য দোয়া চাইলাম’, নামায শেষে বললেন ফিরহাদ

আরও পড়ুন: বাঁকড়ায় ঈদে অংশ নিলেন বহু মানুষ, শান্তির বার্তা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আফগানিস্তানে শান্তি চায় পাকিস্তান সরকার

আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ন্যাটো ও মার্কিনি সেনা আফগানিস্তানের মাটি ত্যাগ করছে। এমতাবস্থায় আমেরিকাকে পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে একদিন আগেই জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এবার তিনি বললেন, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিলেও আফগান যুদ্ধে জিততে পারবে না আমেরিকা। আশঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান বলেন, আমেরিকার কথা রাজি হয়ে গেলে পাকিস্তানে আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে যাবে এবং এর ফলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে ইমরান মূলত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিগত ২ দশকে ওয়াশিংটনের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে মদত জোগাতে গিয়ে ইসলামাবাদকেই ভুগতে হয়েছে। বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌‍‌‌‌‌‌‌’আমেরিকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর পাকিস্তানকে সহযোগী মনে করে নিশানা বানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন ইমরান খান!

আমেরিকার ড্রোন হামলার ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছিলাম। ওটা কোনও যুদ্ধ জেতাতে না পারলেও মার্কিনিদের প্রতি ঘৃণার জন্ম দিয়েছিল। দুই দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছিল।’ তাই পাকিস্তান আমেরিকার পাশে থাকার মতো একই ভুল আবার করবে না বলে ইমরান জানান, ‍‌‌‌‌‌‌’আমাদের আর সামর্থ্য নেই। এর আগে ভারী মূল্য পরিশোধ করেছি। মার্কিনি সেনাবাহিনী যদি আফগানিস্তানের ভেতরে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থেকে যুদ্ধ জয় না করতে পারে তাহলে তারা আমাদের ঘাঁটি ব্যবহার করে কি করবে?’ ইমরানের কথা থেকে স্পষ্ট হয়, মূলত আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশীদার হতে প্রস্তুত পাকিস্তান। এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান সংঘাতের ঝুঁকি এড়াতে চাইছে। দীর্ঘদিন দুর্ভোগে থাকা দেশটির এমনিতে নিজেদেরই রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে, দেশের অর্থনীতি নিয়েও নাজেহাল ইসলামাবাদ। এমতাবস্থায় আফগানিস্তানে যেকোনও সামরিক আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছেন ইমরান। স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের কাছ থেকে ওয়াশিংটনের আর কিছু আশা করা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন: ‘সবার সুখ শান্তির জন্য দোয়া চাইলাম’, নামায শেষে বললেন ফিরহাদ

আরও পড়ুন: বাঁকড়ায় ঈদে অংশ নিলেন বহু মানুষ, শান্তির বার্তা