২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চেনা ছন্দে ফিরছে নিজামউদ্দিন মারকায এলাকা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 99

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দু-বছর আগে যখন কোভিড-১৯ তীব্রভাবে হানা দিয়েছিল দেশে, তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নিজামউদ্দিন মারকায। তবলিগ জামাতের এক সমাবেশের ফলে এই এলাকায় করোনা ছড়িয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রশাসন সিল করে দিয়েছিল মারকায। দু-বছর পর আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে নিজামউদ্দিন মারকায। ফলে সেখানকার মানুষ জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছেন।

 

আরও পড়ুন: হামলার আশঙ্কা, খালি করে দেওয়া হল দিল্লির ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন এলাকা

আশেপাশের রাস্তাগুলিতে বসছে নানা ধরনের পসরা। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নিজামউদ্দিন মারকাযের উন্মুক্ত দরজা দেখে। রাস্তা সাজানো হয়েছে রঙিন আলো দিয়ে। সব দোকানপাট খুলে গেছে। এলাকায় মানুষের সমাগম হওয়ায় বেড়েছে কেনাবেচাও। শুকনো ফল। খেজুর , টুপি, সূরমা, আতরের কেনাবেচা বেড়েছে। নিজামউদ্দিনের দরগাতেও বেড়েছে ভক্তদের আগমন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন তবলিগের সদস্যরাও। তাদের মুখে ফিরে এসেছে হাসি।

আরও পড়ুন: হজ শেষে আজ বাংলায় ফিরছেন হাজীরা

এই এলাকার বাসিন্দা মেহবুব আলি জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে তবলিগের হেডকোয়ার্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন সমাবেশের অনুমতি দিয়েও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য প্রচার করা হয়েছিল যে তারা নাকি করোনা ছড়াচ্ছে। কিন্তু এই জামাতের সদস্যরাই যখন প্লাজমা দিয়ে কোভিড-১৯ রোগীদের বাঁচিয়েছিল তখন কোনও মিডিয়া সেটি ভালোভাবে প্রচার করেনি।

আরও পড়ুন: খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর শিল্পকর্ম ভারতকে ফেরত দিচ্ছে আমেরিকা

নিজামউদ্দিন মারকাযের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচারণার পর দেশজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। মুসলিম ব্যবসায়ী, সবজিওয়ালাদের বয়কট করার ঘটনাও সামনে আসে প্যানডেমিকের সময়। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগমুক্ত হয়েছেন তাবলিগিরা। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানবির ফজল বলেন, মুসলিমদেরকে কুচক্রী বানানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঢাকতে। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। তবে সেই সময় মুসলিদের উপর যেসব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল, তার দায় কে নেবে? এই প্রশ্ন অনেকেরই।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চেনা ছন্দে ফিরছে নিজামউদ্দিন মারকায এলাকা

আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দু-বছর আগে যখন কোভিড-১৯ তীব্রভাবে হানা দিয়েছিল দেশে, তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নিজামউদ্দিন মারকায। তবলিগ জামাতের এক সমাবেশের ফলে এই এলাকায় করোনা ছড়িয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রশাসন সিল করে দিয়েছিল মারকায। দু-বছর পর আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে নিজামউদ্দিন মারকায। ফলে সেখানকার মানুষ জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছেন।

 

আরও পড়ুন: হামলার আশঙ্কা, খালি করে দেওয়া হল দিল্লির ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন এলাকা

আশেপাশের রাস্তাগুলিতে বসছে নানা ধরনের পসরা। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নিজামউদ্দিন মারকাযের উন্মুক্ত দরজা দেখে। রাস্তা সাজানো হয়েছে রঙিন আলো দিয়ে। সব দোকানপাট খুলে গেছে। এলাকায় মানুষের সমাগম হওয়ায় বেড়েছে কেনাবেচাও। শুকনো ফল। খেজুর , টুপি, সূরমা, আতরের কেনাবেচা বেড়েছে। নিজামউদ্দিনের দরগাতেও বেড়েছে ভক্তদের আগমন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন তবলিগের সদস্যরাও। তাদের মুখে ফিরে এসেছে হাসি।

আরও পড়ুন: হজ শেষে আজ বাংলায় ফিরছেন হাজীরা

এই এলাকার বাসিন্দা মেহবুব আলি জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে তবলিগের হেডকোয়ার্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন সমাবেশের অনুমতি দিয়েও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য প্রচার করা হয়েছিল যে তারা নাকি করোনা ছড়াচ্ছে। কিন্তু এই জামাতের সদস্যরাই যখন প্লাজমা দিয়ে কোভিড-১৯ রোগীদের বাঁচিয়েছিল তখন কোনও মিডিয়া সেটি ভালোভাবে প্রচার করেনি।

আরও পড়ুন: খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর শিল্পকর্ম ভারতকে ফেরত দিচ্ছে আমেরিকা

নিজামউদ্দিন মারকাযের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচারণার পর দেশজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। মুসলিম ব্যবসায়ী, সবজিওয়ালাদের বয়কট করার ঘটনাও সামনে আসে প্যানডেমিকের সময়। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগমুক্ত হয়েছেন তাবলিগিরা। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানবির ফজল বলেন, মুসলিমদেরকে কুচক্রী বানানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঢাকতে। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। তবে সেই সময় মুসলিদের উপর যেসব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল, তার দায় কে নেবে? এই প্রশ্ন অনেকেরই।