২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিলকিস বানোর আবেদনে সাড়া,  ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শুনানি  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 42

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে  পুনরায় বিবেচনার আর্জি  জানিয়ে  শীর্ষ কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিলকিস বানো। সূত্রের খবর অনুসারে,  সুপ্রিম কোর্টে তার আবেদন গৃহীত হয়েছে।  সেই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে  শুরু হবে শুনানি। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে।

 

আরও পড়ুন: টেট মামলায় মতপার্থক্য ডিভিশন বেঞ্চের,  শুনানি বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাসে

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ভয়াবহ মুসলিম বিরোধী গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণ ও খুনের ১১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে গত ৩০ নভেম্বর বিলকিস বানোর তরফে আইনজীবী শোভা গুপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই আবেদন উল্লেখ করেন। এবার এই আবেদনের ভিত্তিতেই আগামী ১৩ নভেম্বর শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ: আবেদনের সময়সীমা বাড়লো

 

আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে মামলা দাখিল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি ১২ জুন!

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মুক্তির পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নায়কোচিত সম্মানে ভূষিত করে। ফুল এবং মিষ্টি বিতরণ করে ১১ জন অপরাধীকে বরণ করা হয়। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ১১ জন অপরাধীর মুক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএম নেত্রী সুভাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল, টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার মীরান চাড্ডা বোরওয়ানকর প্রমুখ।

 

গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করে বলেছিল ১১ জন অপরাধীর ভালো চালচলনের জন্য তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

 

আরও উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাতে সহিংসতার সময়ে ১১জনের হাতে গণধর্ষিতা হন ২১ বছরের বিলকিস বানো। ঘটনার সময়  অন্তঃস্বত্বা ছিলেন বিলকিস। এখানেই শেষ নয় বিলকিসের তিনবছরের মেয়েকে আছড়ে হত্যা করা হয়। বিলকিসের পরিবারের মোট সাতজনকে হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিলকিস বানোর আবেদনে সাড়া,  ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শুনানি  

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে  পুনরায় বিবেচনার আর্জি  জানিয়ে  শীর্ষ কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিলকিস বানো। সূত্রের খবর অনুসারে,  সুপ্রিম কোর্টে তার আবেদন গৃহীত হয়েছে।  সেই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে  শুরু হবে শুনানি। বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হবে।

 

আরও পড়ুন: টেট মামলায় মতপার্থক্য ডিভিশন বেঞ্চের,  শুনানি বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাসে

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ভয়াবহ মুসলিম বিরোধী গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণ ও খুনের ১১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে গত ৩০ নভেম্বর বিলকিস বানোর তরফে আইনজীবী শোভা গুপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই আবেদন উল্লেখ করেন। এবার এই আবেদনের ভিত্তিতেই আগামী ১৩ নভেম্বর শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ: আবেদনের সময়সীমা বাড়লো

 

আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে মামলা দাখিল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি ১২ জুন!

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মুক্তির পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নায়কোচিত সম্মানে ভূষিত করে। ফুল এবং মিষ্টি বিতরণ করে ১১ জন অপরাধীকে বরণ করা হয়। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ১১ জন অপরাধীর মুক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএম নেত্রী সুভাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল, টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার মীরান চাড্ডা বোরওয়ানকর প্রমুখ।

 

গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করে বলেছিল ১১ জন অপরাধীর ভালো চালচলনের জন্য তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

 

আরও উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাতে সহিংসতার সময়ে ১১জনের হাতে গণধর্ষিতা হন ২১ বছরের বিলকিস বানো। ঘটনার সময়  অন্তঃস্বত্বা ছিলেন বিলকিস। এখানেই শেষ নয় বিলকিসের তিনবছরের মেয়েকে আছড়ে হত্যা করা হয়। বিলকিসের পরিবারের মোট সাতজনকে হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল ।