২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালনের মৃত্যুতে সিআইডিকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সিঙ্গেল বেঞ্চের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 39

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গেল বেঞ্চে বীরভূমের বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন সেখের রহস্য মৃত্যু নিয়ে মামলার শুনানি চলে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হেফাজতে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কীভাবে চলছে?

এই তদন্তের অগ্রগতিই বা কতদূর? তা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডিকে।

আরও পড়ুন: মহেশতলার ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে এবার সিআইডি-র দ্বারস্থ পুলিশ

 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টেই গ্রেপ্তার দম্পতি, সিআইডি’র ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

সিবিআই হেফাজতে লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। দাবি, ‘খুন করা হয়েছে লালনকে’। সেই অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। হাইকোর্টে নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। তবে তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

আরও পড়ুন: মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার ‘প্রমোটার’ শান্তি রঞ্জন দে

 

এদিন হাইকোর্টে সিবিআই জানায়, ‘এই ঘটনার তদন্ত এনএইচআরসি গাইডলাইন মেনে হচ্ছে না’। ময়নাতদন্তের আগে কেন এফআইআর করা হয়েছে? তা নিয়েও এদিন হাইকোর্টে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

 

এদিনের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইয়ের কাছে তাদের সমস্ত অভিযোগ হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের কাছেও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন।

 

লালন সেখের মৃত্যু ঠিক কী কারণে হয়েছিল? সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে কেন জমা পড়েনি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত!

 

তিনি এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন এজলাসে জানান, মৃত্যুর কারণ না জানতে পারলে বিচার করব কীভাবে?

এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে সিঙ্গেল বেঞ্চে।’

 

এখন দেখার সিআইডি তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্টে কি জানায়? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেখানে উল্লেখ থাকে কি না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লালনের মৃত্যুতে সিআইডিকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সিঙ্গেল বেঞ্চের

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গেল বেঞ্চে বীরভূমের বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন সেখের রহস্য মৃত্যু নিয়ে মামলার শুনানি চলে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হেফাজতে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কীভাবে চলছে?

এই তদন্তের অগ্রগতিই বা কতদূর? তা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডিকে।

আরও পড়ুন: মহেশতলার ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে এবার সিআইডি-র দ্বারস্থ পুলিশ

 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টেই গ্রেপ্তার দম্পতি, সিআইডি’র ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

সিবিআই হেফাজতে লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। দাবি, ‘খুন করা হয়েছে লালনকে’। সেই অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। হাইকোর্টে নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। তবে তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

আরও পড়ুন: মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার ‘প্রমোটার’ শান্তি রঞ্জন দে

 

এদিন হাইকোর্টে সিবিআই জানায়, ‘এই ঘটনার তদন্ত এনএইচআরসি গাইডলাইন মেনে হচ্ছে না’। ময়নাতদন্তের আগে কেন এফআইআর করা হয়েছে? তা নিয়েও এদিন হাইকোর্টে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

 

এদিনের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইয়ের কাছে তাদের সমস্ত অভিযোগ হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের কাছেও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন।

 

লালন সেখের মৃত্যু ঠিক কী কারণে হয়েছিল? সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে কেন জমা পড়েনি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত!

 

তিনি এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন এজলাসে জানান, মৃত্যুর কারণ না জানতে পারলে বিচার করব কীভাবে?

এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে সিঙ্গেল বেঞ্চে।’

 

এখন দেখার সিআইডি তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্টে কি জানায়? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেখানে উল্লেখ থাকে কি না।