০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবি ইকবাল আমার প্রেরণা, তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী  বলা হবে?

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 129

 

ইকবালের বিখ্যাত  কাব্যগ্রন্থ ‘বাং-এ-দারা’ কবি নিজেই আমার বাবাকে দিয়েছিলেন ৮৮ বছর আগে। ইকবালের নিজের হাতে সেই বইয়ে  লেখা আছে, ‘আলিগড়, ২২ ডিসেম্বর, ১৯৩৪’। আমার কাছে সেই বইটি আজও রয়েছে এবং বলতে দ্বিধা নেই, ইকবাল কবি হিসেবে আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তাহলে বেরেলির স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের মতো আমাকেও কি দেশদ্রোহী’ বলা হবে? প্রশ্ন তুলেছেন সঈদা হামিদ

কবি ইকবাল আমার প্রেরণা, তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী  বলা হবে?

 

বেরেলির একটি সরকারি স্কুলে বিখ্যাত কবি  আল্লামা ইকবালের একটি ‘ইসলামি’ প্রার্থনার পংক্তি ছাত্রদের দ্বারা আবৃত্তি করানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক অধিকর্তা। বিশ্ব  হিন্দু পরিষদ আমার বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর  দায়ের করতে পারে, কারণ আমি কবি ইকবালের সেই প্রার্থনার পংক্তি এক ছোট হিন্দু ছেলের সামনে  আবৃত্তি করেছিলাম। যে কবিতার পংক্তি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত সেটি ইকবালের কাব্যগ্রন্থে সংযোজিত। আমরা সেই  বিখ্যাত কবি ইকবালের কথা বলছি যিনি ভারতকে ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁন হামারা’-র মতো কবিতা উপহার দিয়ে  গেছেন। ইকবালের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বাং-এ-দারা’ (কাফেলার ঘণ্টাগুলি) কবি নিজেই আমার বাবাকে দিয়েছিলেন ৮৮ বছর আগে। ইকবালের নিজের হাতে সেই বইয়ে লেখা আছে, ‘আলিগড়, ২২  ডিসেম্বর, ১৯৩৪’। আমার কাছে ইকবালের সেই বই আজও রয়েছে এবং বলতে দ্বিধা নেই, ইকবাল কবি হিসেবে আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হবে?

যে বিষাক্ত পরিবেশে আমরা বাস করছি তাতে আমি আর এসব গ্রাহ্য করি না। কবিতার  শব্দগুলিই তাঁর হয়ে কথা বলবে। যে কবিতাকে নিয়ে বিতর্ক তার শীর্ষক হল ‘বাচ্চে কী দোওয়া’ অর্থাৎ শিশুর প্রার্থনা। শিশু কীসের প্রার্থনা করছে? সে প্রার্থনা করছে তার জীবন যেন প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের মতো উজ্জ্বল হয়। তারপর শিশুটি ঈশ্বরের কাছে তার প্রার্থনায় বলছে, দুস্থদের সাহায্য করার যেন শক্তি দেওয়া হয় তাকে। সে যেন বৃদ্ধদের দুঃখ দূর করতে পারে। তার প্রচেষ্টায় বিশ্বে যেন নিরাশার অন্ধকার দূর হয়। প্রতিটি কোনায় যেন সে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। প্রার্থনায় শিশুটি আরও বলছে, সে যেন তার দেশের গৌরব হতে পারে, যেমন বাগানের গৌরব প্রস্ফুটিত ফুল। তার জীবন যেন মথ নামক পতঙ্গের মতো হয়। কারণ সে চায় মথ যেভাবে প্রদীপের চারিদিকে উড়ে বেড়ায়, তেমনি সে যেন জ্ঞানের আলোর চারপাশে থাকতে পারে। সে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা  করে বলে, তাকে যেন সমস্ত ভুল কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয় এবং তাকে যেন সৎপথে চালানো  হয়। ইকবালের কবিতার প্রার্থনায় ফুটে উঠেছে এক শিশুর সারল্য, যে পাপকে বর্জন করে পুণ্যের পথে চলতে চায়।

ছাত্ররা এই কবিতা আবৃত্তি করেছিল বলে প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের শাস্তি হয়েছে। আমি দেশের ১.৪ বিলিয়ন মানুষকে চ্যালেঞ্জ করছি, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক, এই কবিতা ছাত্রদের দ্বারা আবৃত্তি করালে সেটা কি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে? কিন্তু প্রিন্সিপ্যাল নাহিদ সিদ্দিকি এবং শিক্ষামিত্র ওয়াজিরুদ্দিনের শাস্তি হয়েছে।

আমার স্কলে আমাকে নিয়ে খুব কম মুসলিম ছাত্রী   ছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনগুলি কাটিয়েছি আমি স্কুলে।  স্কুলে আমাদের সকালের প্রভাতী সঙ্গীত গাইতে হত ‘মেরে প্রভুবর, মেরি তুঝ সে ইয়ে প্রার্থনা হ্যায়।’ এ ছাড়াও আমাদের স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীতে গাইতে হত ‘লব পে আতি হ্যায় দুয়া বনকে তামান্না মেরি’, ‘অ্যাবাইড উইথ মি ফাস্ট ফলস দ্য ইভেনটাইড’ এবং ‘নানক নে জিস ওয়াতন মে ওহাদাত কে গীত গায়ে, মেরা ওয়াতন ওয়াহি হ্যায়।’ এই প্রার্থনা সঙ্গীত বেছে দিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় হিন্দি   শিক্ষক বেদব্যাস। আমরা এই গানগুলি স্কুলে বাড়িতে— সব জায়গায় গাইতাম। আমাদের বাড়ির গুরুজনদের সামনে আমি ও আমার ভাই দুজনে মিলে এই গানগুলি গাইতাম। গুরুজনেরাও আমাদের উৎসাহ দিতেন। এটাই ছিল আমার দেশ, দেশের বহুত্ববাদের সংস্কৃতি, আমাদের ‘গঙ্গা যমুনা তাহজিব’।

গত সপ্তাহে দিল্লির ত্রিবেণী কলা সঙ্গমে আমি এক বন্ধুর সঙ্গে এক কাশ্মীরি শিল্পীর সুন্দর নৃত্যানুষ্ঠান  দে’তে গিয়েছিলাম। কাশ্মীরি শিল্পীর নাম ছিল তামান্না টিকু। নৃত্যানুষ্ঠান ‘মধ্যম’ নামে পরিচিত। এই অনুষ্ঠানের যুগ্মভাবে আয়োজন করেছিল ‘গুফতাগু ফাউন্ডেশন’ এবং ‘অলকানন্দা  ডান্স ফাউন্ডেশন’। শিল্পী শাম্মি নারাং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত করেছিলেন  কত্থক, ভরতনাট্যম এবং ওড়িশি নৃত্য। শেষে দেখানো হয় হযরত আমির খুসরুর সুফিয়ানা   সালাম ‘আজ রঙ হ্যায় রি মা রং হ্যায় রি।’ নিজামুদ্দিন আউলিয়ার আধ্যাত্মিক আভায় বিভোর হয়ে পড়েছিলেন দর্শকমণ্ডলী। রাহাত ফাতেহ আলি খানের সঙ্গীতে একাকার হয়ে  গিয়েছিল হিন্দু, উর্দু এবং ফারসি। এটাকেই আমরা ভারত বলি, যেখানে  উপস্থাপনের শব্দের যাদুতে জাতপাত, ধর্মের বিভেদ মুছে যায়। এটাই ক্রিসমাসের সবচেয়ে ভালো বার্তা। আমাদের দেশের স্কুলগুলিতে নাহিদ এবং ওয়াজিরুদ্দিনের  প্রয়োজন আছে যাঁরা নিষ্পাপ স্কুলের শিশুদের  ভারতবর্ষের প্রকৃত অর্থ বোঝাবেন।

লেখিকা যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কবি ইকবাল আমার প্রেরণা, তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী  বলা হবে?

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

 

ইকবালের বিখ্যাত  কাব্যগ্রন্থ ‘বাং-এ-দারা’ কবি নিজেই আমার বাবাকে দিয়েছিলেন ৮৮ বছর আগে। ইকবালের নিজের হাতে সেই বইয়ে  লেখা আছে, ‘আলিগড়, ২২ ডিসেম্বর, ১৯৩৪’। আমার কাছে সেই বইটি আজও রয়েছে এবং বলতে দ্বিধা নেই, ইকবাল কবি হিসেবে আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তাহলে বেরেলির স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের মতো আমাকেও কি দেশদ্রোহী’ বলা হবে? প্রশ্ন তুলেছেন সঈদা হামিদ

কবি ইকবাল আমার প্রেরণা, তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী  বলা হবে?

 

বেরেলির একটি সরকারি স্কুলে বিখ্যাত কবি  আল্লামা ইকবালের একটি ‘ইসলামি’ প্রার্থনার পংক্তি ছাত্রদের দ্বারা আবৃত্তি করানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক অধিকর্তা। বিশ্ব  হিন্দু পরিষদ আমার বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর  দায়ের করতে পারে, কারণ আমি কবি ইকবালের সেই প্রার্থনার পংক্তি এক ছোট হিন্দু ছেলের সামনে  আবৃত্তি করেছিলাম। যে কবিতার পংক্তি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত সেটি ইকবালের কাব্যগ্রন্থে সংযোজিত। আমরা সেই  বিখ্যাত কবি ইকবালের কথা বলছি যিনি ভারতকে ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁন হামারা’-র মতো কবিতা উপহার দিয়ে  গেছেন। ইকবালের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বাং-এ-দারা’ (কাফেলার ঘণ্টাগুলি) কবি নিজেই আমার বাবাকে দিয়েছিলেন ৮৮ বছর আগে। ইকবালের নিজের হাতে সেই বইয়ে লেখা আছে, ‘আলিগড়, ২২  ডিসেম্বর, ১৯৩৪’। আমার কাছে ইকবালের সেই বই আজও রয়েছে এবং বলতে দ্বিধা নেই, ইকবাল কবি হিসেবে আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তাহলে আমাকেও কি দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হবে?

যে বিষাক্ত পরিবেশে আমরা বাস করছি তাতে আমি আর এসব গ্রাহ্য করি না। কবিতার  শব্দগুলিই তাঁর হয়ে কথা বলবে। যে কবিতাকে নিয়ে বিতর্ক তার শীর্ষক হল ‘বাচ্চে কী দোওয়া’ অর্থাৎ শিশুর প্রার্থনা। শিশু কীসের প্রার্থনা করছে? সে প্রার্থনা করছে তার জীবন যেন প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের মতো উজ্জ্বল হয়। তারপর শিশুটি ঈশ্বরের কাছে তার প্রার্থনায় বলছে, দুস্থদের সাহায্য করার যেন শক্তি দেওয়া হয় তাকে। সে যেন বৃদ্ধদের দুঃখ দূর করতে পারে। তার প্রচেষ্টায় বিশ্বে যেন নিরাশার অন্ধকার দূর হয়। প্রতিটি কোনায় যেন সে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। প্রার্থনায় শিশুটি আরও বলছে, সে যেন তার দেশের গৌরব হতে পারে, যেমন বাগানের গৌরব প্রস্ফুটিত ফুল। তার জীবন যেন মথ নামক পতঙ্গের মতো হয়। কারণ সে চায় মথ যেভাবে প্রদীপের চারিদিকে উড়ে বেড়ায়, তেমনি সে যেন জ্ঞানের আলোর চারপাশে থাকতে পারে। সে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা  করে বলে, তাকে যেন সমস্ত ভুল কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয় এবং তাকে যেন সৎপথে চালানো  হয়। ইকবালের কবিতার প্রার্থনায় ফুটে উঠেছে এক শিশুর সারল্য, যে পাপকে বর্জন করে পুণ্যের পথে চলতে চায়।

ছাত্ররা এই কবিতা আবৃত্তি করেছিল বলে প্রিন্সিপ্যাল এবং শিক্ষামিত্রের শাস্তি হয়েছে। আমি দেশের ১.৪ বিলিয়ন মানুষকে চ্যালেঞ্জ করছি, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক, এই কবিতা ছাত্রদের দ্বারা আবৃত্তি করালে সেটা কি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে? কিন্তু প্রিন্সিপ্যাল নাহিদ সিদ্দিকি এবং শিক্ষামিত্র ওয়াজিরুদ্দিনের শাস্তি হয়েছে।

আমার স্কলে আমাকে নিয়ে খুব কম মুসলিম ছাত্রী   ছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনগুলি কাটিয়েছি আমি স্কুলে।  স্কুলে আমাদের সকালের প্রভাতী সঙ্গীত গাইতে হত ‘মেরে প্রভুবর, মেরি তুঝ সে ইয়ে প্রার্থনা হ্যায়।’ এ ছাড়াও আমাদের স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীতে গাইতে হত ‘লব পে আতি হ্যায় দুয়া বনকে তামান্না মেরি’, ‘অ্যাবাইড উইথ মি ফাস্ট ফলস দ্য ইভেনটাইড’ এবং ‘নানক নে জিস ওয়াতন মে ওহাদাত কে গীত গায়ে, মেরা ওয়াতন ওয়াহি হ্যায়।’ এই প্রার্থনা সঙ্গীত বেছে দিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় হিন্দি   শিক্ষক বেদব্যাস। আমরা এই গানগুলি স্কুলে বাড়িতে— সব জায়গায় গাইতাম। আমাদের বাড়ির গুরুজনদের সামনে আমি ও আমার ভাই দুজনে মিলে এই গানগুলি গাইতাম। গুরুজনেরাও আমাদের উৎসাহ দিতেন। এটাই ছিল আমার দেশ, দেশের বহুত্ববাদের সংস্কৃতি, আমাদের ‘গঙ্গা যমুনা তাহজিব’।

গত সপ্তাহে দিল্লির ত্রিবেণী কলা সঙ্গমে আমি এক বন্ধুর সঙ্গে এক কাশ্মীরি শিল্পীর সুন্দর নৃত্যানুষ্ঠান  দে’তে গিয়েছিলাম। কাশ্মীরি শিল্পীর নাম ছিল তামান্না টিকু। নৃত্যানুষ্ঠান ‘মধ্যম’ নামে পরিচিত। এই অনুষ্ঠানের যুগ্মভাবে আয়োজন করেছিল ‘গুফতাগু ফাউন্ডেশন’ এবং ‘অলকানন্দা  ডান্স ফাউন্ডেশন’। শিল্পী শাম্মি নারাং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত করেছিলেন  কত্থক, ভরতনাট্যম এবং ওড়িশি নৃত্য। শেষে দেখানো হয় হযরত আমির খুসরুর সুফিয়ানা   সালাম ‘আজ রঙ হ্যায় রি মা রং হ্যায় রি।’ নিজামুদ্দিন আউলিয়ার আধ্যাত্মিক আভায় বিভোর হয়ে পড়েছিলেন দর্শকমণ্ডলী। রাহাত ফাতেহ আলি খানের সঙ্গীতে একাকার হয়ে  গিয়েছিল হিন্দু, উর্দু এবং ফারসি। এটাকেই আমরা ভারত বলি, যেখানে  উপস্থাপনের শব্দের যাদুতে জাতপাত, ধর্মের বিভেদ মুছে যায়। এটাই ক্রিসমাসের সবচেয়ে ভালো বার্তা। আমাদের দেশের স্কুলগুলিতে নাহিদ এবং ওয়াজিরুদ্দিনের  প্রয়োজন আছে যাঁরা নিষ্পাপ স্কুলের শিশুদের  ভারতবর্ষের প্রকৃত অর্থ বোঝাবেন।

লেখিকা যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য