২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য উদার নীতিমালা প্রণয়নের কারণে তাকে এ সম্মান দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের রাজধানী ইয়ামোসুক্রোয় বুধবার এ পুরস্কার গ্রহণ করতে যাবেন মার্কেল।  ইউনেস্কোর সহায়তায় আইভরি কোস্টের ফেলিক্স হুফেত বোনি ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার দিচ্ছে। “ফেলিক্স হুফেত বোনি পুরস্কার ২০২২”-এর বিজয়ী হিসেবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ইউরো, একটি স্বর্ণপদক ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত একটি সনদপত্র পাবেন মার্কেল।  বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ‘আমরা পারব’–তার এই স্লোগান প্রশংসা ও সমালোচনা দু’টোই কুড়ায় সে সময়। উদ্বাস্তুদের প্রতি সদয় হওয়ায় অনেকেই মার্কেলকে ‘উদ্বাস্তুদের মা’ বলে ডাকতেন। ২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য ডেনিস মুকওয়েগে বলেন, ‘২০১৫ সালে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও ইরিত্রিয়ার প্রায় ১২ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার যে সাহসী সিদ্ধান্ত মার্কেল নিয়েছিলেন, তা জুরি বোর্ডের সব সদস্যেরই মন ছুঁয়ে গেছে। তিনি ঐতিহাসিক ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’ মার্কেলের প্রশংসা করে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেছেন, ‘তার প্রচেষ্টা শান্তি আনার পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার মানুষের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে।’  উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে ‘ফেলিক্স হুফেত বোনি’ শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মানবাধিকার ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সাবিনা কন্যাকে এসআইআর-এর নোটিস, ‘হয়রানি’র অভিযোগে সরব সেচ দফতরের মন্ত্রী
প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.
সর্বধিক পাঠিত

উত্তরপ্রদেশ: কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন ছাত্রকে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য উদার নীতিমালা প্রণয়নের কারণে তাকে এ সম্মান দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের রাজধানী ইয়ামোসুক্রোয় বুধবার এ পুরস্কার গ্রহণ করতে যাবেন মার্কেল।  ইউনেস্কোর সহায়তায় আইভরি কোস্টের ফেলিক্স হুফেত বোনি ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার দিচ্ছে। “ফেলিক্স হুফেত বোনি পুরস্কার ২০২২”-এর বিজয়ী হিসেবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ইউরো, একটি স্বর্ণপদক ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত একটি সনদপত্র পাবেন মার্কেল।  বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ‘আমরা পারব’–তার এই স্লোগান প্রশংসা ও সমালোচনা দু’টোই কুড়ায় সে সময়। উদ্বাস্তুদের প্রতি সদয় হওয়ায় অনেকেই মার্কেলকে ‘উদ্বাস্তুদের মা’ বলে ডাকতেন। ২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য ডেনিস মুকওয়েগে বলেন, ‘২০১৫ সালে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও ইরিত্রিয়ার প্রায় ১২ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার যে সাহসী সিদ্ধান্ত মার্কেল নিয়েছিলেন, তা জুরি বোর্ডের সব সদস্যেরই মন ছুঁয়ে গেছে। তিনি ঐতিহাসিক ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’ মার্কেলের প্রশংসা করে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেছেন, ‘তার প্রচেষ্টা শান্তি আনার পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার মানুষের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে।’  উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে ‘ফেলিক্স হুফেত বোনি’ শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মানবাধিকার ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সাবিনা কন্যাকে এসআইআর-এর নোটিস, ‘হয়রানি’র অভিযোগে সরব সেচ দফতরের মন্ত্রী